বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পরিষদে একঝাক নতুন মুখ। মোট ২৫ জন সদস্যের মধ্যে ১৯ জন এবারই প্রথম বোর্ডের দায়িত্ব নিয়েছেন। সংখ্যাটা একটা বাড়তেও পারে। 

ক্লাব ক্যাটাগরি থেকে আসা ১২ পরিচালকের মধ্যে ৯ জনই এবার প্রথম। জেলা ও ক্রীড়া সংস্থা থেকে ১০ জনের মধ্যে ৮ জনই প্রথমবার পরিচালক হয়েছেন। আর সাবেক ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রথমবার বিসিবি পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন খালেদ মাসুদ পাইলট।
তাতে তো বলাই যায় আমিনুলের পরিচালনা পরিষদে অভিষিক্তের সংখ্যাটাই বেশি। অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে। 

ক্লাব ক্যাটাগরি থেকে নতুন মুখ ইশতিয়াক সাদেক ও শানিয়ান তানিন নাভিন সর্বোচ্চ ৪২টি করে ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া আদনান রহমান দীপন (৪০), ফায়াজুর রহমান (৪০), আবুল বাশার (৪০), আমজাদ হোসেন (৪১), মোখছেদুল কামাল (৪১), এম নাজমুল ইসলাম (৩৪) ও মেহরাব আলম চৌধুরী (৪১) প্রথমবার বিসিবি পরিচালক হয়েছেন।

চট্টগ্রাম বিভাগের আসিফ আকবর ও আহসান ইকবাল চৌধুরী, খুলনা বিভাগের আব্দুর রাজ্জাক ও জুলফিকার আলী খান, সিলেট বিভাগের রাহাত শামস এবং বরিশাল বিভাগের শাখাওয়াত হোসেন এবারই প্রথম বিসিবিতে পরিচালকের পদে বসবেন।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে মনোনীত হয়েছেন ইয়াসির মোহাম্মদ ফয়সাল আশিক। তারও অভিষেক হচ্ছে। এম ইসফাক আহসানের পরিচালক পদ বাতিল হয়েছে। নয়তো তারও হতো প্রথমবার।
এছাড়া এর আগে পরিচালক হয়েছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল, নাজমুল আবেদীন ফাহিম, ফারুক আমহেদ, মনজুর আলম ও ইফতেখার রহমান।

নতুনদের নিয়ে কাজ করার সঙ্গে চ্যালেঞ্জের সঙ্গে বড় স্বপ্নও দেখছেন আমিনুল, ‘’এটা চ্যালেঞ্জ হবে। তবে এখানে যে যে যার যার থেকে প্রমাণ করে এসেছে। তাদের যেই কোয়ালিটি আছে সেটা নিয়ে এসেছে। আমরা সবাই শিখতে শিখতে এগুবো। ক্রিকেট খেলা চালাতে গেলে বিভিন্ন এক্সপারটিজের দরকার হয়। ফাইনান্স, কমার্শিয়ালের দরকার হয়। সারাদেশ থেকে যে দলটা এসেছে হয়তো নতুন, বোর্ডের সঙ্গে কাজ করবে কিন্তু তারা এক্সপার্টাইজ বিভিন্ন জায়গায়। একসাথে কাজ করলে সেরা আউটকাম পাবো।’’

ঢাকা/ ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রথমব র আম ন ল হয় ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় প্রথমবার আমিরাতের তরুণী

সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রথমবারের মতো মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাচ্ছেন এক তরুণী। ২৬ বছর বয়সী ওই তরুণীর নাম মরিয়ম মোহাম্মদ। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে কঠোর বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে। অবশেষে কয়েক শ আবেদনকারীর মধ্য থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। সম্প্রতি মিস ইউনিভার্স ইউএই-২০২৫ নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী মাসে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি।

মরিয়ম মোহাম্মদ ফ্যাশন নিয়ে পড়াশোনা করছেন। তিনি বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাত আমাকে বড় স্বপ্ন দেখার আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। আমি সেসব নারীর কণ্ঠস্বর হতে চাই, যাঁরা উচ্চাকাঙ্ক্ষী ও কৌতূহলী। মিস ইউনিভার্স ইউএই শুধু সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা নয়, অনেক কিছুর ওপর এর প্রভাব রয়েছে।’

অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন মরিয়ম। বর্তমানে ইএসএমওডি দুবাই-এ ফ্যাশন ডিজাইনে পড়াশোনা করছেন। তিনি পড়াশোনা, শিল্প ও সামাজিক সচেতনতার মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করেছেন। তাঁর লক্ষ্য দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে ভালোবাসা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।

আমিরাতের এই তরুণী টেকসই ফ্যাশনের নকশা করেছেন। তিনি রামাদান আমান ও দ্য গিভিং ফ্যামিলি ইনিশিয়েটিভের মতো দাতব্য কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক নারী উদ্যোক্তা কর্মসূচিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

মরিয়মের আগ্রহে ঐতিহ্য ও উদ্ভাবনের দারুণ সমন্বয় ফুটে উঠেছে। বাজ পাখি শিকার ও উট চালানো থেকে শুরু করে টেকসই ফ্যাশন ও বৈশ্বিক সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। তিনি সৌন্দর্য ও দৃঢ়তার সঙ্গে আরব আমিরাতের মূল্যবোধকে ধারণ ও প্রতিনিধিত্ব করছেন।

মরিয়মের প্রত্যাশা, তিনি আমিরাতের নতুন প্রজন্মের নারীদের অনুপ্রেরণার উৎস হবেন। পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্ষমতায়ন, টেকসই এবং উদ্ভাবনের গল্পকে বিশ্বব্যাপী দর্শকের সামনে তুলে ধরবেন বলে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তিনি।

মিস ইউনিভার্স ইউএইর জাতীয় পরিচালক পপি ক্যাপেলা প্রতিযোগিতায় মরিয়ম বিজয়ী হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘মরিয়ম শুধু তাঁর কথাবার্তা ও দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে নয়, বরং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ঐতিহ্য, ক্ষমতায়ন এবং বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশের ক্ষমতার মাধ্যমে নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় প্রথমবার আমিরাতের তরুণী