মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কারও বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হলে সেই ব্যক্তি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এমন ব্যক্তি সরকারি চাকরিও করতে পারবেন না।

আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩-এ আনা সংশোধনে এসব বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য জানান।

আরও পড়ুনমানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিচার শুরু ০৩ আগস্ট ২০২৫

ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে ব্রিফিংয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩-এ আরেকটি সংশোধন আনা হয়েছে। এই সংশোধনীর মূল বিষয় হলো, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি ট্রাইব্যুনালে ফরমাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) দাখিল হয়, তাহলে তিনি বাংলাদেশের কোনো নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্য হবেন না। অর্থাৎ, তিনি জাতীয় নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না। স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও অংশ নিতে পারবেন না। একইভাবে সেই ব্যক্তি কোনো সরকারি চাকরি করতে পারবেন না।

আরও পড়ুনআওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু, তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ: চিফ প্রসিকিউটর১ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রব ন ন

এছাড়াও পড়ুন:

সীতাকুণ্ডে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে একাধিক স্থানে মানববন্ধন

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড ও চট্টগ্রাম নগরের আংশিক) আসনে বিএনপি-মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে একাধিক স্থানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন দলের একাংশের নেতা-কর্মীরা। আজ শনিবার বেলা ১১টায় একযোগে চট্টগ্রাম নগরের অলংকার মোড় থেকে সীতাকুণ্ডের বড় দারোগাহাট পর্যন্ত একাধিক স্পটে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে এসব মানববন্ধন হয়েছে।

মানববন্ধন কর্মসূচি শেষ হয় দুপুর ১২টায়। কর্মসূচিতে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের উপজেলা, পৌরসভা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। এসব নেতা-কর্মীরা বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আসলাম চৌধুরীর অনুসারী।

সরেজমিনে নগরের সিটি গেট থেকে ভাটিয়ারী বাজার পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনের পূর্ব পাশে একাধিক স্থানে মানববন্ধন চলছে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের একাংশের উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। মানববন্ধনে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।

ফৌজদারহাটের বাংলাবাজার এলাকায় মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় বিএনপি নেতা জাহেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সীতাকুণ্ডের রাজনীতিতে বিএনপির দুর্দিনে আসলাম চৌধুরীই ছিলেন। আমরা চাই প্রার্থী বদল করে আসলাম চৌধুরীকেই মনোনয়ন দেওয়া হোক।’

মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করা জান্নাতুল ফেরদৌস নামে ষাটোর্ধ্ব এক নারী বলেন, ‘দলের জন্য আসলাম চৌধুরী দীর্ঘদিন জেল খেটেছেন। দলে তাঁর যথাযথ মূল্যায়ন হবে, সেটিই আমরা প্রত্যাশা করি।’

জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড পৌর বিএনপির সদস্যসচিব সালেহ আহম্মদ বলেন, ‘তৃণমূলের কর্মীরা চান সীতাকুণ্ডে প্রার্থী বদল হোক। কেন্দ্রীয় নেতাদের নজরে বিষয়টি আনার জন্য আমরা প্রায় ৪০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মানববন্ধন করেছি।’

৩ নভেম্বর সীতাকুণ্ডে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন দলের উত্তর জেলা শাখার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তিনি উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব কাজী মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের ছোট ভাই।

সম্পর্কিত নিবন্ধ