ইলিয়াস কাঞ্চনের জন্য দোয়া চাইলেন দিতিকন্যা লামিয়া
Published: 7th, October 2025 GMT
বাংলা চলচ্চিত্রের এক সময়ের সাড়া জাগানো নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের মস্তিষ্কে টিউমার ধরা পড়েছে। অসুস্থতার খবরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন তার ভক্ত, সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। এবার তার অসুস্থতার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন প্রয়াত চিত্রনায়িকা দিতির কন্যা লামিয়া চৌধুরী।
ইলিয়াস কাঞ্চনের বহু জনপ্রিয় সিনেমার নায়িকা ও প্রাক্তন স্ত্রী অভিনেত্রী দিতি। তার কন্যা লামিয়া চৌধুরী গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাতে ইলিয়াস কাঞ্চনকে একজন ‘অসাধারণ মানুষ’ বলে উল্লেখ করেন লামিয়া।
আরো পড়ুন:
শিল্পা শেঠিকে সাড়ে ৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ
শর্বরীকে সঙ্গে নিয়ে ‘সাইয়ারা’ সিনেমার নায়কের নয়া মিশন
এ পোস্টে দিতি-সোহেল চৌধুরীর কন্যা লামিয়া লেখেন, “কাঞ্চন আংকেলের অসুস্থতার খবরটা মাত্রই শুনলাম। তিনি একজন অসাধারণ মানুষ, সমাজের জন্য করেছেন অসংখ্য ভালো কাজ। বিশেষ করে সড়ক নিরাপত্তায় তার অবিরাম লড়াই অনুপ্রেরণার উদাহরণ। আল্লাহ যেন তার সব কষ্ট দূর করে তাকে পূর্ণ সুস্থতা দান করেন। আমিন।”
দিতি ও ইলিয়াস কাঞ্চন নব্বই দশকে ছিলেন পর্দার অন্যতম জনপ্রিয় জুটি। একসঙ্গে কাজ করতে করতে বাস্তব জীবনেও তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। যদিও পরবর্তীতে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। তবু ব্যক্তিগত সম্পর্কের উষ্ণতা বজায় ছিল শেষ সময় পর্যন্ত। ২০১৬ সালের ২০ মার্চ দিতির মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কাঞ্চনের সঙ্গে তার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা শিল্পীজগতের অনেকেই স্মরণ করেন।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
সৌদি যুবরাজের সমালোচক জামাল খাশোগি যেভাবে মারা হয়েছিলো
জামাল খাশোগি ছিলেন একজন বিশিষ্ট সৌদি সাংবাদিক, কলামিস্ট এবং লেখক। একসময়ের রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ছিলেন। পরে রাজপরিবারের একজন সমালোচক হিসেবে পরিচিতি পান। সৌদি রাজপরিবারের বৃত্তি নিয়ে জামাল খাশোগি যুক্তরাষ্ট্রে সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। তিনি আল-আরাব নিউজ চ্যানেল-এর মহাব্যবস্থাপক ছিলেন এবং ওয়াশিংটন পোস্ট-এর একজন নিয়মিত কলামিস্ট ছিলেন। কিন্তু খাশোগির লেখায় ক্রমাগত স্থান পাচ্ছিলো সৌদি রাজতন্ত্রের নানা নেতিবাচক দিক। বিশেষ করে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের।
২০১৭ সালের জুনে যুবরাজ মোহাম্মদ ক্রাউন প্রিন্স হওয়ার পর কড়া সমালোচক হিসেবে খাশোগি তার রোষানলে পড়েন। অবস্থা বুঝতে পেরে নিজেকে বাঁচাতে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে সৌদি আরব ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছানির্বাসনে চলে যান। এরপর যুক্তরাষ্ট্র থেকে চলে যান তুরস্কে।
আরো পড়ুন:
খাশোগি হত্যাকাণ্ডের কিছুই জানতেন না সৌদি যুবরাজ: ট্রাম্প
সৌদি আরবকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দিতে রাজি ট্রাম্প
২০১৮ সালে সৌদি আরব থেকে ১৫ সদস্যদের দল উড়ে গিয়ে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে গত ২ অক্টোবর তাকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলে। সে সময় আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলোতে স্থান পায় খাশোগির মৃত্যুর খবর। সমালোচনায় বলা হয়, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এমন উচ্চ নিরাপত্তার স্থানে হত্যাকাণ্ড ঘটানো অসম্ভব।
তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দেওয়া বিবৃতির ভিত্তিতে স্পষ্ট হয়, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষক মূলত সৌদি আরবের ক্ষমতাধর ব্যক্তি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।
খাশোগিকে হত্যার পর আন্তর্জাতিক মহলে এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠলে প্রথমে এ হত্যাকাণ্ডের কথা অস্বীকার করে সৌদি আরব। কিন্তু সমালোচনা আরও বাড়তে থাকে। পরে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে কনস্যুলেট ভবনে হত্যার কথা স্বীকার করে সৌদি আরব। তবে এ হত্যার পেছনে যুবরাজ মোহাম্মদের সংশ্লিষ্টতা জোরের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছে সৌদি আরব।
ঢাকা/লিপি