বৃষ্টির কারণে ম্যাচটা নেমে এসেছিল ১৬ ওভারে। শুরুতে ব্যাট করে সিলেট করে ফেলেছিল ১৩৬ রান। তাদের ৬ উইকেটের ৪টিই নেন শেখ পারভেজ রহমান। সিলেটের হয়ে ২৩ বলে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন খালিদ হাসান।

রান তাড়ায় নেমে খুলনার সব ব্যাটসম্যানই শুরু থেকে মেরে খেলতে থাকেন। সৌম্য সরকার ১২ বলে ২৪ রান করে আউট হয়ে গেলেও এনামুল হক ১৯ বলে ৩৩ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। খুলনা ১১ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রান করার পর আবার বৃষ্টিতে ম্যাচ বন্ধ হয়ে যায়। ম্যাচ আর শুরু করা যায়নি। ডিএলএস পদ্ধতিতে ১১ রানে জিতে যায় খুলনা।

৭ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট পাওয়া খুলনা প্রথম পর্ব শেষ করেছে দ্বিতীয় হয়ে। সমান পয়েন্ট নিয়েও নেট রেটে এগিয়ে থেকে প্রথম হওয়া চট্টগ্রামের বিপক্ষে আগামীকাল প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলবে খুলনা।

আজ দিনের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রামে হারিয়েছে ঢাকা বিভাগকে। এই ম্যাচেও ছিল বৃষ্টির বাধা। ম্যাচটি নেমে আসে ১৩ ওভারে। ৬ উইকেট হারিয়ে চট্টগ্রামের সামনে ১১৯ রানের লক্ষ্য দেয় ঢাকা। দলটির হয়ে ২৭ বলে ৩২ রান আসে মোসাদ্দেক হোসেনের ব্যাটে। চট্টগ্রামের হয়ে ৩ উইকেট নেন হাসান মুরাদ। রান তাড়ায় ইয়াসির আলীর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৪ বল হাতে রেখেই জয় পায় চট্টগ্রাম। ২৭ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন ইয়াসির।

এই ম্যাচে হেরে তৃতীয় হয়েছে ঢাকা। আগামী পরশু এলিমিনেটরে রংপুরের বিপক্ষে খেলবে দলটি।

আরও পড়ুনআসিফ মাহমুদ ডেকে নিয়ে ভোটারদের হুমকি দিয়েছেন, অভিযোগ আমিনুলের৪ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ন কর উইক ট প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

লিও তলস্তয়ের গ্রামে

আমি এখন যে গ্রামে এসেছি, সেই গ্রামে ১৮২৮ সালে লেখক লিও তলস্তয় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। রাশিয়ার ইয়াস্নায়া পলিয়ানা নাম গ্রামটির। এটি আসলে তাঁদের পারিবারিক জমিদারির একটি অংশ। এখানে তিনি জীবনের অনেকখানি সময় কাটিয়েছেন। এখানেই লিখেছেন অমর উপন্যাস ‘ওয়ার অ্যান্ড পিস’, ‘আনা কারেনিনা’ এবং অসংখ্য গল্প।

তলস্তয়কে আইন পড়তে কাজান শহরে পাঠানো হয়েছিল কিন্তু পড়তে তাঁর ভালো লাগেনি। জমিদারি ছিল, তাই রোজগারের চিন্তাও করতে হয়নি। মাঝখানে সন্তানদের পড়ালেখার জন্য আট বছর মস্কোতে একটি বাড়ি কিনে বসবাস করেছিলেন।

লিও তলস্তয় শেষ জীবনে আধ্যাত্মিকতার দিকে ঝুঁকেছিলেন এবং খুব সাধারণ জীবনযাপন করতেন। একসময় গৃহত্যাগ করেছিলেন। ১৯১০ সালে ৮২ বছর বয়সে আস্তাপোভো রেলস্টেশনে প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে একাকী, আত্মীয়, বন্ধু থেকে দূরে, নীরবে তিনি দেহত্যাগ করেন। এরপর তাঁকে ইয়াস্নায়া পলিয়ানায় এনে সমাহিত করা হয়।

ইয়াস্নায়া পলিয়ানা গ্রামে আমি যখন পৌঁছালাম, তখন রোদ ঝলমল করছে। গত কয়েক দিন খুব বৃষ্টি পড়েছে মস্কো শহরে। মস্কো থেকে আমাকে পাড়ি দিতে হয়েছে ২২০ কিলোমিটার। সরাসরি মস্কো থেকে তলস্তয়ের গ্রামে আসার কোনো ট্রেন বা বাস নেই। আমাকে ট্রেনে করে আসতে হয়েছে প্রথমে তুলা শহরে৷

ট্রেনে করে আসার পথে রাশিয়ার সবুজ গ্রামের যে রূপ আমি দেখেছি, তার তুলনা হয় না। পথের পাশে ফুটে আছে হলুদ বুনো ফুল আর হঠাৎ হঠাৎ করে একটা বা দুটো দোচালা বাড়ি। মাঝে পড়ে গেল একটা নদী, আবার এসে গেল ঘন সবুজ জঙ্গল। এমন অসামান্য প্রকৃতি যে দেশের আছে, সে দেশের প্রতি এমনিতেই মায়া জন্মে যায়।

রাশিয়ার ইয়াস্নায়া পলিয়ানা গ্রামে ১৮২৮ সালে লেখক লিও তলস্তয় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এটি তাঁদের পারিবারিক জমিদারির একটি অংশ। এখানে তলস্তয় জীবনের অনেকখানি সময় কাটিয়েছেন। এখানেই লিখেছেন অমর উপন্যাস ‘ওয়ার অ্যান্ড পিস’, ‘আনা কারেনিনা’।মাঝখানে ধূসর লম্বা পথ আর দুপাশে ঘন বনানী

সম্পর্কিত নিবন্ধ