ছোট বোনকে বাঁচাতে গিয়ে পানিতে ডুবে বড় বোনের মৃত্যু
Published: 8th, October 2025 GMT
চাঁদপুরে পুকুরের পানিতে ডুবতে যাওয়া ছোট বোনকে বাঁচাতে গিয়ে বড় বোনের মৃত্যু হয়েছে। ছোট বোনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (৮ অক্টোবর) সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। মৃত শিশুর নাম খাদিজা আক্তার (১২)। চিকিৎসাধীন শিশুর নাম আদিয়া আক্তার (৫)। সম্পর্কে তারা খালাতো বোন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দুপুরে ছোট বোন আদিয়া আক্তারকে লাইফ জ্যাকেট পড়ে সাঁতার শেখা দেখাচ্ছিল খাদিজা। হঠাৎ আদিয়া পানিতে পড়ে গেলে লাইফ জ্যাকেট খুলে তাকে উদ্ধারে গিয়ে পানিতে ডুবে যায় খাদিজা। স্থানীয়রা দুই বোনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক খাদিজাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান স্বপন মাহমুদ বলেন, ‘‘পানিতে ডুবে বড় বোন খাদিজার মৃত্যু হয়েছে। ছোট বোন আদিয়ার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’’
ঢাকা/অমরেশ/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে বলাৎকারের অভিযোগ মাদ্রাসা শিক্ষক আটক, গণপিটুনি
সিদ্ধিরগঞ্জে দশ বছরের এক মাদরাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে এক শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি প্রকাশ পেলে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযুক্ত শিক্ষক ও মাদরাসার প্রিন্সিপালকে গণপিটুনি দেয়।
বুধবার (৮ অক্টোবর) রাতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৯নং ওয়ার্ডের জালকুড়ি ইসলামিয়া ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার ৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই মাদরাসার শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম (২৭) ভয়-ভীতি দেখিয়ে তৃতীয় তলার বাথরুমে নিয়ে দশ বছরের এক ছাত্রকে বলাৎকার করেন।
ঘটনাটি পরদিন ছাত্রটি মাদরাসার প্রিন্সিপাল মিজানুর রহমানকে জানালে তিনি কাউকে কিছু না বলতে ভয় দেখান বলে অভিযোগ রয়েছে।
ঘটনাটি বুধবার রাতে স্থানীয়দের মধ্যে জানাজানি হলে ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী রাত পৌনে ৯টার দিকে অভিযুক্ত শিক্ষক ও প্রিন্সিপালকে ধরে গণপিটুনি দেয়।
খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসি। এলাকাবাসী উত্তেজিত ছিল। অপ্রিতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অভিযুক্ত শিক্ষককে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে। স্থানীয়রা অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।