এই ১০ লক্ষণেই বুঝবেন, আপনি পেয়েছেন এক অসাধারণ স্বামী
Published: 9th, October 2025 GMT
১. তিনি ভালোবাসার কথা বলেন
ভালোবাসা শুধু অনুভব নয়, প্রকাশও জরুরি। যদি আপনার স্বামী প্রায়ই বলেন, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’, তাহলে সেটা তাঁর আন্তরিকতারই প্রকাশ। তিনি চান আপনি জানুন, আপনিই তাঁর জীবনের সবচেয়ে প্রিয় মানুষ।
২. তিনি সব সিদ্ধান্তে পাশে থাকেনআপনার কাজ, স্বপ্ন বা সিদ্ধান্তে যদি তিনি পাশে থাকেন, ধরে নেবেন তিনি আপনাকে বোঝেন এবং আপনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আপনি মুখ ফুটে কিছু না বললেও আপনার মন খারাপ হলে তিনি টের পান, আর এটাই সত্যিকারের যত্ন।
৩.তিনি মন দিয়ে শোনেন
অনেকে কান দিয়ে শুনলেও মন দিয়ে শোনেন না। কিন্তু যদি আপনার স্বামী মনোযোগ দিয়ে আপনার কথা শোনেন, পরামর্শ দেন, সমাধান খোঁজেন, তাহলে বুঝবেন, তিনি শুধু সঙ্গী নন, নির্ভরযোগ্য বন্ধু।
৪. তিনি আপনাকে সম্মান করেনএকজন ভালো স্বামী স্ত্রীকে নিজের সমান মর্যাদা দেন। যদি তিনি আপনার মতামতকে গুরুত্ব দেন, সীমারেখা মানেন এবং আপনাকে মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করেন, তবে সম্পর্কটা সঠিক জায়গায় আছে।
৫. তিনি আপনার ভেতরের সৌন্দর্যও দেখেনওজন, বয়স বা চেহারার পরিবর্তন যা–ই হোক, যদি তাঁর চোখে আপনি আগের মতোই প্রিয় থাকেন, তাহলে জানবেন, তিনি শুধু আপনাকে নয়, আপনার ভেতরের মানুষটাকেও ভালোবাসেন।
৬. তিনি আপনাকে অনুপ্রাণিত করেনযদি তিনি চান আপনি নিজের মতো করে বেড়ে উঠুন, সফল হন, নিজের স্বপ্ন পূরণ করুন, তাহলে বুঝবেন, তিনি আপনার সাফল্যেই নিজের আনন্দ খুঁজে পান। এমন সম্পর্কই সবচেয়ে টেকসই।
আরও পড়ুনএক যুগ পরও দাম্পত্যজীবনে সুখে থাকার পাঁচ সূত্র০৭ অক্টোবর ২০২৫৭. তিনি নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেনঅনেক পুরুষ আবেগ লুকিয়ে রাখেন। কিন্তু যদি আপনার স্বামী খোলাখুলি তাঁর ভালোবাসা, ভয় বা দুঃখের কথা বলেন; তাহলে বুঝবেন, তিনি আপনাকে বিশ্বাস করেন। এমন বিশ্বাস গভীর সম্পর্কের ভিত্তি।
৮. তিনি আপনার পরামর্শ চানছোটখাটো বা বড়—যেকোনো বিষয়ে যদি তিনি আপনার মতামত জানতে চান; তাহলে বুঝবেন, তিনি আপনাকে সমান অংশীদার মনে করেন। এটা পারস্পরিক শ্রদ্ধার সবচেয়ে সুন্দর রূপ।
৯. তিনি আপনাকে হাসাতে চানজীবনের ব্যস্ততায় হাসি ভুলে যাওয়া সহজ। কিন্তু যদি তিনি আপনাকে হাসানোর জন্য সময় দেন, গল্প করেন বা কোথাও নিয়ে যান, তাহলে জানবেন, আপনার সুখই তাঁর অগ্রাধিকার।
১০. তিনি বিশ্বস্তসবশেষে, সবচেয়ে বড় গুণ বিশ্বস্ততা। প্রলোভন যা–ই আসুক, যদি তিনি শুধু আপনাকেই বেছে নেন, তাহলে আপনি নিশ্চিতভাবে পেয়েছেন একজন সত্যিকারের ভালো মানুষ।
শেষ কথাসম্পর্কে পরিপূর্ণ মানুষ হয়তো কেউই নয়। কিন্তু কেউ যদি আপনাকে ভালোবাসে, সম্মান করে এবং পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেয়, তাহলেই তো সম্পর্কটা হয় পূর্ণ। যাঁদের জীবনে এমন একজন আছেন, তাঁরা সত্যিই ভাগ্যবান।
সূত্র: মিডিয়াম
আরও পড়ুনদীর্ঘদিন সুস্থ শরীর পেতে চাইলে হার্ভার্ডের গবেষণা অনুযায়ী এই ৫ অভ্যাস চর্চা করুন০৮ অক্টোবর ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আপন র স আপন ক সবচ য়
এছাড়াও পড়ুন:
ডিপো থেকে তেল চুরি তদন্তে কমিটি করেছে জ্বালানি বিভাগ
রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি যমুনা অয়েলের ফতুল্লা ডিপো থেকে তেল চুরির ঘটনা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। এর আগে ‘সরকারি ডিপো থেকে পৌনে ৪ লাখ লিটার ডিজেল গায়েব’ শিরোনামে ১ অক্টোবর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল প্রথম আলো।
একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রস্তাবিত কমিটি করে গতকাল সোমবার অফিস আদেশ জারি করেছে জ্বালানি বিভাগ। এতে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা সংস্থার প্রধানকে একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি মনোনয়নের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অফিস আদেশে বলা হয়, যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ফতুল্লা ডিপো থেকে তেল চুরি–সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর সঙ্গে প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনের অনুলিপিও যুক্ত করা হয়েছে।
কমিটির কার্যপরিধিতে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে দায় নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ রোধকল্পে সুপারিশ প্রদান করবে কমিটি। এতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি), যমুনা অয়েল কোম্পানি, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে একজন করে প্রতিনিধি রাখার কথা বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জ্বালানি তেল চুরি ও অপচয় রোধে ঢাকা-চট্টগ্রাম পাইপলাইন নির্মাণ করেছে সরকার। এ পাইপলাইনে তেল সরবরাহ চালু হয়েছে গত জুনে। চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় মূল টার্মিনাল থেকে সরাসরি তেল আসছে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায়। এর মধ্যেও যমুনা অয়েল কোম্পানির ফতুল্লা ডিপোয় দুই দফায় গায়েব হয়ে গেছে ৩ লাখ ৭৫ হাজার লিটার ডিজেল।
তেল গায়েবের বিষয়টি ইতিমধ্যে আমলে নিয়ে ফতুল্লা ডিপোর ২২ ও ২৩ নম্বর ট্যাংকের সক্ষমতা পুনরায় যাচাই করতে নির্দেশনা দিয়েছে যমুনা অয়েল কোম্পানি। একই সঙ্গে বিষয়টি তদন্ত করতে একটি কমিটি করা হয়েছে।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর যমুনার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো অপারেশন বিভাগের এক চিঠি বলছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম পাইপলাইনের মাধ্যমে ২৪ জুন তেল সরবরাহ শুরু হয়। ফতুল্লা ডিপোতে তেল গ্রহণ সমাপ্ত হয় ৪ জুলাই। এতে ২ লাখ ৬২ হাজার ৮০৪ লিটার তেল ক্ষতি হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ১৪ সেপ্টেম্বর তেল আসা শুরু হয়, যা শেষ হয় ২২ সেপ্টেম্বর। এবার ক্ষতি হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৪ লিটার।
যমুনার চিঠিতে আরও বলা হয়, ট্যাংকে গভীরতা অনুযায়ী তেলের পরিমাণগত পার্থক্য রয়েছে। তাই পুনরায় সক্ষমতা যাচাই করতে ঠিকাদারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এরপর ২৮ সেপ্টেম্বর আরেকটি চিঠিতে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এতে পাইপলাইন কোম্পানির একজনকেও রাখা হয়েছে। কমিটি ইতিমধ্যে ফতুল্লা পরিদর্শন করেছে। সবকিছু যাচাই-বাছাই করে দেখছে। এ সপ্তাহের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে যমুনার ফতুল্লা ডিপোয় তেল চুরির ঘটনা তদন্তে ২ অক্টোবর মহাব্যবস্থাপককে (বণ্টন ও বিপণন) প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে বিপিসি। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা তাদের।
আজ মঙ্গলবার বিপিসির চেয়ারম্যান আমিন উল আহসান প্রথম আলোকে বলেন, জ্বালানি তেল চুরি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত মোটামুটি শেষের দিকে। শিগগিরই এ নিয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
আরও পড়ুনসরকারি তেলের ডিপো থেকে পৌনে ৪ লাখ লিটার ডিজেল গায়েব০১ অক্টোবর ২০২৫