চারপাশে সবুজে ঘেরা গ্রাম। গ্রামের চারদিক থেকে চারটি পাকা সড়ক এসে মিলেছে এক জায়গায়, একটি বাজারে। সেই বাজারটির নাম পরিষ্কার বাজার। নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের উত্তর চরজব্বর গ্রামের এই বাজারের নাম শুনলেই যে কারওই মনে কৌতূহল জাগতে পারে, বাজারটি আসলেই কি পরিষ্কার? কেনই–বা বাজারের এমন নাম হলো?

এসব জানতে সম্প্রতি গিয়েছিলাম সুবর্ণচরের চরজব্বর এলাকায়। সেখানে পরিষ্কার বাজার ঘুরে রাস্তা-দোকানপাট বেশ পরিচ্ছন্নই দেখা গেছে। কিন্তু এমন নামকরণের পেছনে কেবল বাজারের পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতাই নয়, আছে আরও এক কাহিনি। বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীর মুখে শোনা সে গল্প বেশ কৌতূহলোদ্দীপক। আজ থেকে অর্ধশতাব্দীর বেশি বছর আগের কথা। আক্তারুজ্জামান নামের এক ব্যক্তি ছিলেন এই এলাকার বাসিন্দা। ব্যক্তিজীবনে লেনদেন থেকে সবকিছুতে স্বচ্ছতা বজায় রাখতেন। যাঁকে, যে কথা দিতেন, সেটি অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করতেন। গ্রামবাসীর কথায় ‘ওয়াদার বরখেলাপ’ তিনি কখনোই করতেন না। পোশাক–পরিচ্ছদেও তিনি সব সময় থাকতেন পরিচ্ছন্ন। এসব কারণে গ্রামের সবাই ‘পরিষ্কার’ নামে ডাকতেন।

সত্তরের দশকে আক্তারুজ্জামান তাঁর বাড়ির পাশের সড়কের মোড়ে একটি মুদিপণ্যের দোকান নিয়ে বসা শুরু করেন। তাঁর দোকান ঘিরেই গভীর রাত অবধি চলত আশপাশের এলাকার মানুষজনের আড্ডা। পরে সেখানে আরও কয়েকটি দোকান হয়। পরে দোকানগুলো ঘিরে সেখানে হাট মেলান আক্তারুজ্জামান ওরফে পরিষ্কার। প্রতি রোববার ও বৃহস্পতিবার হাট বসতো। গ্রামের লোকজন তাঁর নাম অনুসারে বাজারের নাম দেন পরিষ্কার বাজার। এর পর থেকে ওই বাজারটি সবার কাছে পরিষ্কার বাজার নামে পরিচিতি পায়। বর্তমানে সরকারিভাবেও এই এলাকার নাম পরিষ্কার বাজার।

এমন নামকরণের পেছনে কেবল বাজারের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাই নয়, আছে আরও এক কাহিনি। বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীর মুখে শোনা সে গল্প বেশ কৌতূহলোদ্দীপক। আজ থেকে অর্ধশতাব্দীর বেশি বছর আগের কথা। আক্তারুজ্জামান নামের এক ব্যক্তি ছিলেন এই এলাকার বাসিন্দা। ব্যক্তিজীবনে লেনদেন থেকে সবকিছুতে স্বচ্ছতা বজায় রাখতেন। যাঁকে, যে কথা দিতেন, সেটি অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করতেন। গ্রামবাসীর কথায় ‘ওয়াদার বরখেলাপ’ তিনি কখনোই করতেন না। পোশাক–পরিচ্ছদেও তিনি সব সময় থাকতেন পরিচ্ছন্ন। এসব কারণে গ্রামের সবাই ‘পরিষ্কার’ নামে ডাকতেন। তাঁর নাম অনুসারেই এই বাজার।

আক্তারুজ্জামানের নাতি কামাল হোসেন একটি বেসরকারি কলেজের শিক্ষক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘দাদা ছিলেন অত্যন্ত স্বচ্ছ জীবনযাত্রার অধিকারী। লেনদেনসহ সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতাই ছিল তাঁর অন্যতম মাপাকাঠি। এ কারণে এলাকার লোকজন তাঁকে পরিষ্কার নামে ডাকতেন। পরে তাঁর নামেই বাজারের নামকরণ করা হয়। দাদার স্বচ্ছ জীবনাচারণের কথা যখন মানুষের মুখ থেকে যখন শুনি তখন গর্ব হয়।’

স্থানীয় সরকারবিভাগের ফলকে পরিষ্কার বাজারের নাম.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ষ ক র ব জ র এমন ন ম এল ক র করত ন

এছাড়াও পড়ুন:

ফেসবুকের সেফটি চেক ফিচার কী, কীভাবে কাজ করে

প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা জরুরি সংকটের পরপরই দুর্গত এলাকার আশপাশে অবস্থান করা ব্যবহারকারীদের জন্য সেফটি চেক ফিচার চালু করে থাকে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ফিচারটির চালুর পর নোটিফিকেশন পাঠিয়ে দুর্গত এলাকার আশপাশে থাকা ব্যবহারকারীরা নিরাপদ আছেন কি না, তা জানতে চাওয়া হয়। ফলে সহজেই দুর্গত এলাকার মানুষজন দ্রুত অন্যদের কাছে তাঁদের নিরাপদ থাকার খবর প্রকাশ করতে পারেন। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা জরুরি সংকটের সময় পরিচিত ব্যক্তিরা নিরাপদ রয়েছেন কি না, তা সহজেই ফেসবুকের মাধ্যমে জানা যায়।

২০১১ সালের জাপানের টোহোকু ভূমিকম্প ও সুনামির পরে সেফটি চেক ফিচার চালুর উদ্যোগ নেয় ফেসবুক। তৈরির সময় ফিচারটির নামকরণ করা হয়েছিল ডিজাস্টার মেসেজ বোর্ড। তবে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর সেফটি চেক নামকরণ করে ফিচারটি উন্মুক্ত করা হয়।

২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল‌ নেপালে ভূমিকম্পের পর সেফটি চেক ফিচার প্রথম বড় আকারে ব্যবহৃত হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দেশে আঘাত হানা ভূমিকম্পের পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় ও সন্ত্রাসী হামলার পর ফিচারটি চালু করে ফেসবুক। ২০১৫ সালের নভেম্বরে ফ্রান্সের প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলা ছিল প্রথম ঘটনা, যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, এমন ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সেফটি চেক ফিচার চালু করেছিল ফেসবুক। ২০১৬ সালের ২২ মার্চ ব্রাসেলসের একটি বিমানবন্দর ও রেলস্টেশনে বিস্ফোরণের পরও ফিচারটি চালু করা হয়েছিল।

সম্প্রতি বাংলাদেশে আঘাত হানা একাধিক ভূমিকম্পের পর সেফটি চেক ফিচার চালু করেছিল ফেসবুক। ফলে ফিচারটি ব্যবহার করে নিজেরা নিরাপদে রয়েছেন বলে জানানোর পাশাপাশি সহজেই পরিচিত ব্যক্তিদের তথ্য জানতে পেরেছেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।

সূত্র: মেটা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফেসবুকের সেফটি চেক ফিচার কী, কীভাবে কাজ করে