চাল রপ্তানিতে ভারতের নতুন শর্ত, তবে প্রভাব পড়ছে না বাংলাদেশের বাজারে
Published: 10th, October 2025 GMT
চালের মজুত ঠিক রাখতে বাংলাদেশ আমদানির একটি বড় অংশ করে ভারত থেকে। সেই ভারত রপ্তানিতে দিয়েছে নতুন শর্ত। তবে তার প্রভাব দেখা যাচ্ছে না বাংলাদেশের বাজারে।
খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, পর্যাপ্ত মজুত থাকার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম কমে এসেছে, ভারতের বিকল্প উৎসও আছে। ফলে চালের বাজার স্থিতিশীলই থাকবে। ব্যবসায়ীরাও বলছেন, ভারতের নতুন শর্তে চাল আমদানিতে কোনো অসুবিধার মুখে পড়ছেন না তাঁরা।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর বাসমতী ছাড়া অন্য চাল রপ্তানিতে কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রপ্তানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এপিইডিএ) নিবন্ধন নিতে রপ্তানিকারকদের নতুন শর্ত বেঁধে দেয় ভারত। দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য দপ্তর (ডিজিএফটি) এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করে এ নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করে। শর্ত অনুযায়ী, চাল (নন–বাসমতী) কেবল এপিডিএর সঙ্গে চুক্তি নিবন্ধনের পরই রপ্তানি করা যাবে।
বাংলাদেশ ভারত থেকে মূলত নন–বাসমতী বা সাধারণ চালই আমদানি করে। গত অর্থবছরে ভারত থেকে ছয় লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করেছিল বাংলাদেশ। এই অর্থবছরেও লক্ষ্যমাত্রা প্রায় একই।
নতুন শর্ত অনুযায়ী নিবন্ধন নেওয়ার যে বিষয়, তাতে আমদানি বিঘ্নিত হবে না। আমরা যাদের কাছ থেকে চাল কিনি, তারা এ নিবন্ধন এরই মধ্যে নিয়ে নিয়েছে।খাদ্য অধিদপ্তরের সংগ্রহ বিভাগের পরিচালক মো.মনিরুজ্জামানপাইকারিতে বিক্রির জন্য চট্টগ্রামের পাহাড়তলী বাজারে আড়তে সাজিয়ে রাখা হয়েছে চালের নমুনা
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আমদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
১০ মাসে সাড়ে ২৮ লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করেছে চট্টগ্রাম বন্দর
চট্টগ্রাম বন্দর চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে সাড়ে ২৮ লাখের বেশি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করেছে। পাশাপাশি বন্দরে কার্গো ও জাহাজ হ্যান্ডলিং বেড়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক।
বন্দর সূত্র জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে ২৮ লাখ ৪৯ হাজার ৫৪২ টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে। কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ১১ কোটি ৫০ লাখ ৬৭ হাজার ২০০ মেট্রিক টন। একই সময়ে জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩ হাজার ৫৫২টি।
আরো পড়ুন:
‘চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত ৪১ শতাংশ মাশুল স্থগিত করুন’
হিলি বন্দরে কাঁচা মরিচ আমদানিতে ১৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়
সূত্রটি জানায়, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কন্টেইনার বেড়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩২৮ টিইইউএস। কার্গো বেড়েছে এক কোটি ২৯ লাখ ৮ হাজার ১৭৪ মেট্রিক টন। জাহাজ বেড়েছে ৩৫১টি। কনটেইনার হ্যান্ডলিং প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ। কার্গো প্রবৃদ্ধি ১২ দশমিক ৬৪ শতাংশ। জাহাজ প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
বন্দরের পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত হ্যান্ডলিং হয়েছে ১২ লাখ ১৩ হাজার ৮০৫ টিইইউএস কন্টেইনার। কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে চার কোটি ৫২ লাখ ৮২ হাজার ৯০৭ মেট্রিক টন। হ্যান্ডলিং হয়েছে এক হাজার ৪২২টি জাহাজ।
আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কন্টেইনার বেড়েছে এক লাখ ১১ হাজার ৮৮৮ টিইইউএস। কার্গো বেড়েছে ৬১ লাখ ৬৬ হাজার ৪০৫ মেট্রিক টন। জাহাজ বেড়েছে ১৪১টি। প্রবৃদ্ধি হয়েছে কন্টেইনারে ১০ দশমিক ১৫ শতাংশ। কার্গোতে ১৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ। জাহাজে ১১ শতাংশ।
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, “জাহাজের ওয়েটিং টাইম এখন উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। সেপ্টেম্বরে ৯ দিন, অক্টোবরে ১৮ দিন ও নভেম্বরে ১৯ দিন বন্দরে কোনো ওয়েটিং টাইম ছিল না। জাহাজ অন অ্যারাইভাল বার্থ পাচ্ছে। ফলে আমদানিকারকরা দ্রুত সময়ের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি নিতে পারছেন। রপ্তানি পণ্যও সময়মতো জাহাজীকরণ হচ্ছে। ফলে পোর্ট লিড টাইম কমেছে।”
তিনি বলেন, “আধুনিক কার্গো কন্টেইনার হ্যান্ডলিং সরঞ্জাম যোগ হয়েছে। ইয়ার্ড ক্যাপাসিটি বেড়েছে। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের পরিশ্রম এবং ব্যবহারকারীদের সহযোগিতায় কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রমে প্রবৃদ্ধি বজায় আছে।”
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ