অসম বিয়ে: ভাঙা সংসার জোড়া লাগল সুদীপ-পৃথার
Published: 10th, October 2025 GMT
ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেতা সুদীপ মুখার্জি। ৫৭ বছর বয়সি এই অভিনেতা হাঁটুর বয়সি নায়িকা পৃথা চক্রবর্তীর সঙ্গে ঘর বাঁধেন। এ নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে এই দম্পতি খুব ভালো সময় পার করছিলেন। হঠাৎ তাদের দাম্পত্য জীবনে ছন্দপতন ঘটে। ৬ মাস আগে সংসার ভাঙার ঘোষণা দেন পৃথা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক পোস্টে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন পৃথা। এ অভিনেত্রী লেখেন, “আমি আর সুদীপ আর দম্পতি নেই। আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। আমরা আজীবন বন্ধু হয়ে থাকব।”
আরো পড়ুন:
দিতিপ্রিয়ার অস্ত্রোপচার
আমার মনের কথা বলার লোক নেই: দেব
পৃথা এ ঘোষণা দেওয়ার পর নানা গল্প রচিত হয়েছে। টালমাটাল সময় কাটিয়েছেন এই যুগল। সুদীপ মুখার্জি এবার জানালেন, তাদের ভাঙা সংসার জোড়া লেগেছে। দুই ছেলের কথা ভেবে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে সুদীপ মুখার্জি বলেন, “কোন সম্পর্কে মতবিরোধ হয় না, একটু বলবেন? আমরা সবাই স্বতন্ত্র মানুষ। সুতরাং নিজস্ব ভাবনা-চিন্তা, মতামত তো থাকবেই। তবে হ্যাঁ, এখন আমরা একসঙ্গে থাকছি।”
সুদীপ-পৃথা দম্পতির দুই পুত্রসন্তান রয়েছে। তাদের বয়সও কম। এ দম্পতি চান না তাদের সন্তানদের উপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়ুক। সুদীপ মুখার্জি বলেন, “ওরা সত্যি আমাকে ‘সুপারহিরো’ ভাবে। আমার ছবি বা ধারাবাহিক দেখার মতো বয়েসে ওরা পৌঁছায়নি। তবে ওরা ভাবে, বাবা সব পারে। দুই ছেলেকে শান্তিপূর্ণ শৈশব, উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেওয়ার জন্যই আবার আমরা একসঙ্গে।”
এ বিষয়ে পৃথার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে দুর্গাপূজার আনন্দ স্বামী-সন্তানদের সঙ্গে উপভোগ করেন পৃথা। আর সেসব মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নেন। ফলে নেটিজনদের কটাক্ষের শিকার হন। অনেকে প্রশ্ন তুলেন—বিচ্ছেদের পরও শাঁখা-পলা কেন পরেছেন? এ প্রশ্নের উত্তরে পৃথা বলেছিলেন, “শাঁখা-পলা পরা আমার ইচ্ছে। আমরা এখনো বালি ও ঋদ্ধির বাবা আর মা, আর সেটা চিরকালের জন্য। সে (সুদীপ) আর আমি আবার বিয়ে করি, কি না করি, প্রতি বছর মায়ের বরণ করবই আর শাঁখা-পলা, সিঁদুর, নোয়া সব পরব.
সুদীপ মুখার্জি প্রথম সংসার বাঁধেন অভিনেত্রী দামিনি বেণী বসুর সঙ্গে। এ সংসার ভাঙার পর পৃথার সঙ্গে ঘর বাঁধেন। কিন্তু এই জার্নি সহজ ছিল না। আপত্তি জানিয়েছিলেন পৃথার বাবা-মা। কারণ পৃথার এটি প্রথম বিয়ে।
তাছাড়া সুদীপ মুখার্জি ও পৃথার বয়সের পার্থক্য ২৪ বছরের। তাই অসম এই বিয়ে নিয়ে নানাজন নানা মন্তব্যও করেছিলেন। অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন—সুদীপের টাকা দেখে বিয়ে করেছেন পৃথা। এ বিষয়ে পৃথা বলেছিলেন—“কোনো অল্প বয়সি পুরুষের মধ্যে মনের মানুষকে খুঁজে পাইনি। আর সুদীপের টাকা থাকলেও, আমি টাকার জন্য ওকে বিয়ে করিনি।”
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র র বয়স
এছাড়াও পড়ুন:
একসঙ্গে হাজির দুই জলি, এরপর...
সুভাষ কাপুর আগে ছিলেন সাংবাদিক, কাজের বিষয় ছিল রাজনীতি। পরে যখন নির্মাতা হন, সিনেমাতেও উঠে আসে রাজনীতি। তবে তিনি সিরিয়াস বিষয় পর্দায় তুলে ধরেন হাস্যরসের মাধ্যমে। ‘ফাঁস গায়ে রে ওবামা’, আর ‘জলি’ ফ্র্যাঞ্চাইজির দর্শকমাত্রই সেটা জানেন। আলোচিত ‘জলি এলএলবি’ আর ‘জলি এলএলবি ২’-এর পর এবার তিনি হাজির তৃতীয় কিস্তি নিয়ে। এবার তিনি কোর্ট রুম ড্রামার মোড়াকে ভারতের কৃষিসংকট, কৃষকদের আত্মহত্যা নিয়ে কড়া বার্তা দিতে চেয়েছেন। কিন্তু আগের দুই কিস্তির মতো এবারও তিনি ‘জলি এলএলবি ৩’-এর হাস্যরসের আড়ালে কঠিন রাজনৈতিক বার্তা দিতে পারলেন?
একনজরেসিনেমা: ‘জলি এলএলবি ৩’
ধরন: কোর্ট রুম ড্রামা
পরিচালক: সুভাষ কাপুর
অভিনয়: অক্ষয় কুমার, আরশাদ ওয়ার্সি, সৌরভ শুক্লা, গজরাজ রাও, হুমা করেশি
স্ট্রিমি: নেটফ্লিক্স
রানটাইম: ২ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট
‘জলি এলএলবি ৩’ নির্মাতার সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ, এবার তিনি সাহস করে অনেক জরুরি বিষয় নিয়ে ক্ষমতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। কিন্তু আফসোসের ব্যাপার হলো, সিনেমা হিসেবে সম্ভবত এটা এই ফ্র্যাঞ্চাইজির সবচেয়ে দুর্বল। দুই জলি আরশাদ ওয়ার্সি আর অক্ষয় কুমার এই সিনেমায় হাজির হয়েছেন একসঙ্গে কিন্তু দুর্বল চিত্রনাট্যের কারণে তাঁদের যুগলবন্দী আর মনে রাখার মতো হলো কই।
শুরুটা যদিও ছিল আশাজাগানিয়া। জগদীশ ত্যাগী (আরশাদ ওয়ার্সি) ও জগদীশ্বর মিশ্র (অক্ষয় কুমার)—দিল্লির একই আদালতে কাজ করছেন। জগদীশ্বর, যিনি নিজেকে ‘অরিজিনাল জলি’ দাবি করেন, ক্লায়েন্ট ছিনিয়ে নেন ও নিয়মিত ঝগড়া করেন। এবার নির্মাতা পুরোনো কয়েকটি চরিত্র ফিরিয়ে এনেছেন, তাঁদের দিনযাপনও আছে আগের মতোই। যেমন জগদীশ্বরের স্ত্রী পুষ্পা (হুমা কুরেশি) আগের মতোই সুরা আসক্ত। তবে বিচারক সুন্দরলাল ত্রিপাঠি (সৌরভ শুক্লা) বদলে গেছেন, এখন ফিটনেস প্রেমিক। নিয়মিত জিম করেন, প্রোটিন শেক নেন। এমনকি ডেটিং অ্যাপেও নাম লেখাতে ভোলেননি।
‘জলি এলএলবি ৩’ সিনেমায় আরশাদ ওয়ার্সি ও অক্ষয় কুমার। আইএমডিবি