রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ ও রাকসুর জিএস সালাহউদ্দীন আম্মারের বাকবিতণ্ডার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে শাখা  জিয়া পরিষদ ও জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) জিয়া পরিষদ ও জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত পৃথক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

রাজকীয় সাজে টুকু স্যারকে বিদায় দিলেন হাকিমপুরবাসী

বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত, চাকরি গেল প্রাথমিক শিক্ষিকার

বিবৃতিতে জিয়া পরিষদ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, রাবির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড.

ইফতিখারুল আলম মাসউদের আফিস কক্ষে গত ৯ নভেম্বর রাকসুর নির্বাচিত জিএস সালাউদ্দিন আম্মার কর্তৃক সংগঠিত ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে শাখা জিয়া পরিষদ।

প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, জোরপূর্বক অফিসে প্রবেশ করে সালাউদ্দিন আম্মারকে বারবার বলতে শোনা যায় অফিস কক্ষে মহানগর বিএনপির প্রোগ্রাম চলছে। অথচ প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে মহানগর বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে সেখানে দেখা যায়নি। উল্লেখ্য সেখানে রাজশাহীর এনসিপি নেতাদের সঙ্গে রেজিস্ট্রারের মতবিনিময় সভা চলছিল।

এটা বিএনপির বিরুদ্ধে নেতিবাচক কোনো কিছু প্রচার করে ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা মাত্র। রেজিস্ট্রার ও বিএনপিকে নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করায় রাবি শাখা জিয়া পরিষদ তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

অন্যদিকে, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের বিবৃতিতে তারা বলেছেন, গত ৯ নভেম্বর বেলা ২টায় রেজিস্ট্রারের কক্ষে তিনি বাইরের কিছু অতিথির সঙ্গে আলাপ করছিলেন। এ সময় রাকসুর সাধারণ সম্পাদক আম্মার রেজিস্ট্রারের কক্ষে প্রবেশের অনুমতি চাইলে তিনি তাকে ১০ মিনিট পরে প্রবেশ করতে বলেন।

ওই সময় ফিশারিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান রেজিস্ট্রারের সঙ্গে সাক্ষাতের অপেক্ষায় ছিলেন। তিনিও আম্মারকে ভিতরে গেস্ট আছে জানিয়ে অপেক্ষা করতে বলেন। তিনি নির্বাচিত জিএস, তাই তার যে কোন সময় প্রবেশাধিকার আছে বলে দাবি করে। 

তিনি রেজিস্ট্রার ও ডিনের অনুরোধ উপেক্ষা করে রেজিস্ট্রারের কক্ষে জোরপূর্বক কয়েকজন শিক্ষার্থীসহ ঢুকে পড়ে এবং কোনো একটি ফাইলের ব্যাপারে মিথ্যা দোষারোপ করে উচ্চবাচ্য শুরু করে অফিসের পরিবেশ বিঘ্নিত করে।

তিনি নির্বাচিত জিএস হলেও প্রশাসনিক কাজে খবরদারী করা তার এখতিয়ার বহির্ভূত কাজ। নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকে বিভিন্নভাবে প্রশাসনিক কাজে হস্তক্ষেপ ও শিক্ষক লাঞ্ছনাসহ নানা কাজে সংশ্লিষ্ট থাকা সত্ত্বেও অজ্ঞাত কারণে বিশ্বদ্যিালয় প্রশাসন তার বিষয়ে নীরব থেকেছে এবং সে আইনের আওতার বাইরেই থেকে যাচ্ছে। ফলে তার দুঃসাহস ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার এসব কার্যকলাপে রাবির জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম গভীর উদ্বেগ, তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে।

একইসঙ্গে তার অতীত ঘটনাবলীর তদন্ত রিপোর্ট অনতিবিলম্বে প্রকাশ করে তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম জোর দাবি জানিয়েছে।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ প রব শ প রক শ আম ম র ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা মেকার্সের এবারের আয়োজনে কী থাকছে

‎ছবি: ফারদীন-ই-হাসান ফুয়াদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ