আলহামদুলিল্লাহ, আমার জীবনের সেরা দিন: ফারহান
Published: 11th, October 2025 GMT
ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা মুশফিক আর ফারহান সম্প্রতি ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে গেছেন। পবিত্র নগরী মক্কা থেকে ভক্তদের জন্য আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন তিনি, যা ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেল ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করেন ফারহান। ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি এহরামের সাদা পোশাকে পবিত্র কাবা শরীফের সামনে বসে আছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, “আলহামদুলিল্লাহ, আমার জীবনের সেরা দিন।”
সেখানে আবেগভরা কণ্ঠে অভিনেতা বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, জীবনে প্রথমবার আমার এখানে আসা। কাবা শরীফের সামনে এই প্রথমবার ঢুকেই হাজরে আসওয়াদ (কালো পাথর) এ চুমু দিতে পেরেছি, যা ভাগ্যের চেয়েও ভাগ্যের ব্যাপার। আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া। জীবনে আর বড় কোনো চাওয়া নেই, পাওয়া নেই, আলহামদুলিল্লাহ।”
তিনি আরও বলেন, “আল্লাহ সবাইকে এই পবিত্র স্থানে আসার তাওফিক দিন। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।” ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ হতেই ভক্তরা শুভকামনা ও দোয়ার বার্তায় ভরিয়ে দেন।
ওমরা পালন শেষে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে দেশে ফেরার কথা রয়েছে এই অভিনেতার। জানা যায়, দেশে ফিরে নতুন নাটকের শুটিংয়ে অংশ নেবেন তিনি।
ঢাকা/রাহাত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘ফিরে চল মাটির টানে’ স্লোগানে প্রথমবার ব্রজমোহন কলেজে নবান্ন উৎসব অনুষ্ঠিত
বরিশালে সরকারি ব্রজমোহন কলেজে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো নবান্ন উৎসব-১৪৩২। আজ বুধবার দিনভর এই উৎসবের আয়োজন করে কলেজের সাংস্কৃতিক ইউনিয়ন। এবারের এই উৎসবের মূল স্লোগান ‘ফিরে চল মাটির টানে’। বাংলা কৃষিভিত্তিক সমাজ, লোকজ জীবন ও গ্রামীণ সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে দিনব্যাপী এই বর্ণিল আয়োজন সাজানো হয়।
কলেজের কবি জীবনানন্দ মঞ্চে (মুক্তমঞ্চ) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলে নবান্ন উদ্যাপনের নানা পর্ব। এর মধ্যে ছিল শোভাযাত্রা, লোকগীতি ও ঐতিহ্যবাহী আচার, লোকজ খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পুরো ক্যাম্পাসে তৈরি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ।
সকালে সাড়ে ৯টায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় উৎসব। উদ্বোধনী পর্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি ব্রজমোহন কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জাবের আহমেদ। এ সময় বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘লোকসংস্কৃতি নানা চাপের মুখে টিকে আছে, এই চাপ ও ভয়ের পরিবেশ আমাদের সংস্কৃতির জন্য একটি বড় হুমকি। শিক্ষার্থীদের শিকড়ের দিকে ফিরে তাকানোর এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, প্রশংসনীয়।’
নবান্ন উৎসবে এসে ছবি তুলে আনন্দে মেতেছে শিক্ষার্থীরা