পিআর সিস্টেম সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে ইসরায়েল: বিএনপি নেতা রিপন
Published: 13th, October 2025 GMT
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের সমালোচনা করে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, ‘পিআর সিস্টেম সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে ইসরায়েল। যারা গাজায় মুসলমান শিশু ও মানুষ হত্যা করেছে, সেই খুনি নেতানিয়াহুর সবচেয়ে প্রিয় বিষয় এই পিআর সিস্টেম। ইহুদিদের ওই পিআর সিস্টেমটা আমাদের ভালো লাগবে কেন? ওই উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তির নির্বাচন পদ্ধতি বাংলাদেশের মানুষ কোনো সময়ই মেনে নেবে না।’
আজ সোমবার বিকেলে খুলনার পাইকগাছা পৌরসভা মাঠে উপজেলা ও পৌর যুবদল আয়োজিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রিপন।
জামায়াতে ইসলামীকে ইঙ্গিত করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একটি দল এখন শুধু পিআর পিআর করছে, কিন্তু তারা এই পদ্ধতি কী তা বোঝেই না, পিআর হলে প্রার্থী দেওয়ার সুযোগ থাকে না—দলকেই ভোট দিতে হয়, প্রার্থীকে নয়। ভোটের অনুপাতে দল সংসদে প্রতিনিধি পাঠায়, জনগণের সঙ্গে এমপিদের কোনো সরাসরি সম্পর্ক থাকে না। ফলে জনগণ তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে গিয়ে দুঃখ–দুর্দশার কথা বলতে পারে না। পিআর একধরনের হাওয়াই সিস্টেম। অথচ যারা পিআর চায়, তারাই আবার প্রতিটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে পোস্টার লাগাচ্ছে। আসলে তারা পিআর নয়, ঝামেলা চায়।’
আওয়ামী লীগের অনেক নেতা এখন অন্য দলের ছায়ায় আশ্রয় নিতে চাইছে উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, তাদের আশ্রয় দেওয়া যাবে না। সুযোগ পেলে বিষধর সাপের মতো তারাই প্রথমে আঘাত করবে। বিএনপি জনগণের শক্তিতে, দুর্বৃত্তদের ছাড়াই বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ না থাকলেও নির্বাচনের অগ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠবে না বলে মনে করেন রিপন। ১৯৭৩ সালের নির্বাচনের উদাহরণ টেনে রিপন বলেন, তখন মুসলিম লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, কারণ তারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল। তবু নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ছিল। একইভাবে যদি আওয়ামী লীগকে এখন নিষিদ্ধ করা হয়, তাহলেও নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে। কারণ, জনগণই গণতন্ত্রের আসল উৎস।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারকে দিয়ে ভারত অনেক লাভবান হয়েছে উল্লেখ করে রিপন বলেন, ‘শেখ হাসিনা বলতেন, “ভারতকে এত কিছু দিয়েছি তারা সারা জীবন মনে রাখবে”। জনগণকে না দিয়ে অন্য দেশকে দিয়ে ক্ষমতায় থাকা যায় না—তার প্রমাণ শেখ হাসিনার পতন। আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস জনগণ নয়, ছিল ভারত। তাদের নেতারা নিজের মুখেই বলতেন, “আমরা আছি তো দিল্লি আছে, দিল্লি আছে তো আমরা আছি”। কিন্তু আমরা বলি, জনগণ আছে, তাই আমরা আছি। কারণ আমরা জনগণের পক্ষের শক্তি।’
পাইকগাছা উপজেলা যুবদলের সভাপতি তহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ও সদস্যসচিব শেখ আবু হোসেন (বাবু)।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন খুলনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলাম, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইবাদুল হক রুবায়েদ, সদস্যসচিব নাদিমুজ্জামান, পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল মজিদ ও পৌর বিএনপির সভাপতি আসলাম পারভেজ প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প আর স স ট ম ব এনপ র আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করছি : সাখাওয়াত
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচির অন্যতম দফা হলো স্বাস্থ্যসেবা। এই স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, “আগামী দিনে যদি জনগণ বিএনপিকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনে, তাহলে স্বাস্থ্য খাতকে সম্পূর্ণ সংস্কার করা হবে। প্রতিটি পরিবারের প্রধানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে একটি করে স্বাস্থ্য কার্ড দেওয়া হবে।
এই কার্ডের মাধ্যমে পরিবারের সব সদস্য বিনামূল্যে চিকিৎসা থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় ওষুধ গ্রহণ করতে পারবেন। নির্ধারিত যে কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাধ্য থাকবে। এভাবেই দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হবে।”
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ১০টায় শহরের মিশনপাড়া হোসিয়ারি কমিউনিটি কেন্দ্রের সামনে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত “সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প”-এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সাখাওয়াত আরও বলেন, “বাংলাদেশের অনেক মানুষ উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে যায়। এতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে চলে যাচ্ছে। জনগণের এই কষ্ট কমাতে এবং দেশের টাকা দেশে রাখতেই বিএনপি আধুনিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেবে। উন্নত দেশের মানের চিকিৎসা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।”
অনুষ্ঠানে সব ধরনের রোগের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। ক্যাম্পে আগত সাধারণ মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ গ্রহণের সুযোগ পান। সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, এ ধরনের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে চলমান থাকবে।
অনুষ্ঠানৈ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডাঃ মজিবুর রহমান, বরকত উল্লাহ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক, মহানগর ১৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আল আরিফ, ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিরা সরদার, ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ রানা, ১২নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি শাহাবুদ্দিন, সহ সাধারণ সম্পাদক মাসুম, ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান চুন্নু সাউদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক দুলাল হোসেন, সদস্য আব্দুর রশিদ, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাজাদা আলম রতন, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন, মহানগর ওলামা দলের আহ্বায়ক হাফেজ শিবলী, মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক সুলতানাসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন নেতৃবৃন্দ।