নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, আগামী নির্বাচনে দেশের জনগণ যদি বিএনপিকে ভোট দিয়ে বিজয় করে তাহলে ৩১দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। আমাদের নেতা বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বলেছেন 'জনগণের সকল ক্ষমতার উৎস'।

সেই জনগণকে নিয়ে আমরা রাজনীতি করতে চাই। কারন আমাদের রাজনীতি হলো জনগনের জন্য। আমাদের নেতার তারেক রহমানের রাজনীতি হল উৎপাদনমুখী রাজনীতি ও জনগণকে নিয়ে রাজনীতি। জনগণের যদি উন্নয়ন হয় তাহলে দেশ  উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হবে।


নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন বন্দর উপজেলার অন্তর্গত মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির কর্মীসভা ও বিএনপি' পরর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নে লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠান পূর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। 

সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে ধামগড় ইউনিয়নের কামতাল  মালিভিটায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন,ধামগড় ইউনিয়ন হলো বিএনপির ঘাঁটি। গোগনগর ইউনিয়নের মানুষ বিএনপিকে অনেক ভালোবাসে এবং পছন্দ করে। গত ১৫ বছর ফ্যাসিসরা এই ইউনিয়নে অনেক অন্যায় অত্যাচার করেছে। আমরা আপনাদের প্রতি আর কোন অন্যায়- অত্যাচার মেনে নেব না। আমরা আপনাদের সাথে আছি যে কোন বিপদ-আপদে আপনাদের পাশে থাকব ইনশাল্লাহ।

এই ইউনিয়নে যারাই আছেন সবাই আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকেন। শুধুমাত্র ফ্যাসিস ছাড়া যারা বিগত ১৫ টি বছর জনগণকে নিস্পৃত করেছে তারা ছাড়া সবাই আমাদের দলে অংশগ্রহণ করতে পারবে। আমাদের দলের একটি নীতি সেই নীতি হলো আমাদের এই দেশকে বিদেশি সম্রাজ্যবাদের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। এবং এই দেশকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য কিন্তু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ঘোষণা করেছেন। 

তিনি আরও বলেন, আগামীতে যে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচন হলো এই দেশকে দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য। সেটার জন্য কিন্তু আগামী নির্বাচনে আপনাদেরকেই নির্ধারণ করতে হবে। এবং সেই নির্বাচন কিন্তু দেশ এবং জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সামনে অনেক দল আসবে তারা বিভিন্ন মত বুলানো কথাবার্তা বলবে বলে তারা দেশ ও জাতির ক্ষতি করবে।

যারা ধর্মের ক্ষতি করবে ধর্মে ধর্মে লাগিয়ে দিয়ে তারা অশান্তি সষ্টি করবে। আমরা বিএনপি সেটা হতে দিতে চাই না। আমরা চাই একটি উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশে আমরা সবাই মিলেমিশে একসাথে বসবাস গণতান্ত্রিক দেশ গড়ে তুলবো। 

ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মহসীন মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.

সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশীদ লিটন।

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন শিশির, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদুল্লাহ মুকুল, তাওলাদ মাহমুদ, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন, সহ- সভাপতি কবির হোসেন, সহ- সভাপতি মোশারফ মৃধা, সহ- সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান আপন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সালাউদ্দিনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র জন ত ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স ইউন য ন আপন দ র র জন য আম দ র র জন ত রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

টাঙ্গাইল জেলাকে ময়মনসিংহ বিভাগে অন্তর্ভুক্তির ‘গুজবে’, মহাসড়ক অবরোধ

টাঙ্গাইল জেলাকে ময়মনসিংহ বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন ওই জেলার মানুষেরা। প্রতিবাদে যমুনা সেতুর পূর্ব প্রান্তে সোমবার বিক্ষোভ হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন বিক্ষোভকারীরা। জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, এ বিষয়ে তারা কোনো তথ্য পায়নি। বিষয়টি গুজব।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত শনিবার রাত থেকে সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের একটি প্রতিবেদনের অনুলিপি ছড়িয়ে পড়ে। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বরাবর দেওয়া ওই প্রতিবেদনে কারও কোনো স্বাক্ষর নেই। সেখানে ঢাকা, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ জেলা নিয়ে ঢাকা বিভাগ গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে বলে দেখানো হয়। টাঙ্গাইল জেলা ময়মনসিংহ বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

স্বাক্ষরবিহীন প্রতিবেদনটি বিভিন্ন গ্রুপে ছড়িয়ে পড়ে। এতে অনেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেন। টাঙ্গাইল শহর ও প্রতিটি উপজেলায় সাধারণ মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইল জেলাকে ময়মনসিংহ বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
জেলাটির বাসিন্দা কবি অনার্য অধীর তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, টাঙ্গাইল জেলার ৪২ লাখ মানুষের মধ্যে একজন মানুষও ময়মনসিংহ বিভাগে অন্তর্ভুক্ত চায় না। মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করার এ সিদ্ধান্ত কার স্বার্থে? আয়ারল্যান্ডপ্রবাসী টাঙ্গাইলের সন্তান সংগীতশিল্পী ফরিদ আহমেদ ফেসবুকে লেখেন, ‘বেশি বুঝলে, টাঙ্গাইল বিভাগ চাই। ময়মনসিংহ হবে টাঙ্গাইল বিভাগের জেলা।’

টাঙ্গাইল ঢাকা বিভাগে আছে থাকবে, অন্য কিছু করতে চাইলে কোনো দিন টাঙ্গাইলবাসী মানবে না বলে ফেসবুকে লিখেছেন সংবাদিক আশরাফ সরকার। শফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি লেখেন, ‘টাঙ্গাইল নিয়ে টানাটানির ফল ভালো হবে না।’

কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আত্মগোপনে থাকা নেতা–কর্মীরাও এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব। তাঁরা টাঙ্গাইল জেলাকে ঢাকা বিভাগে রাখার দাবি জানিয়েছেন। আত্মগোপনে থাকা টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের আওয়ামী লীগদলীয় সাবেক সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ সোমবার তাঁর ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘টাঙ্গাইল জেলাকে ময়মনসিংহ বিভাগের সঙ্গে সংযুক্ত করার ঘৃণিত প্রস্তাব বাতিল করুন! না হলে টাঙ্গাইলের সর্বস্তরের জনগণ দ্রুত সময়ের মধ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।’

গতকাল রোববার জেলা আইনশৃঙ্খলা উন্নয়ন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই কমিটির সদস্য বিভিন্ন রাজনৈতিক, পেশাজীবী, ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতারা। তাঁরা টাঙ্গাইল জেলাকে ঢাকা বিভাগে রাখার দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে স্মারকলিপি দেন।

এদিকে টাঙ্গাইল জেলাকে ঢাকা বিভাগেই রাখার দাবিতে সোমবার যমুনা সেতুর পূর্ব প্রান্তে গোলচত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ছাত্র–জনতার ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভকারীরা প্রায় আধা ঘণ্টা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অবরোধ তুলে নেন।

ছাত্র ফেডারেশন টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি ফাতেমা রহমান বীথি বলেন, টাঙ্গাইল জেলা ময়মনসিংহ বিভাগে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু জেলা প্রশাসক আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো বিবৃতি দিচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসন যদি নীরব থাকে, তাহলে জনগণ কোন উৎস থেকে সত্যটা জানবে?

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সঞ্জয় কুমার মহন্ত সোমবার দুপুরে প্রথম আলোকে জানান, টাঙ্গাইল জেলা ঢাকা বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে অন্তর্ভুক্তির কোনো তথ্য তাঁরা পাননি। এটা গুজব।

টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল বলেন, টাঙ্গাইল জেলা ঢাকা বিভাগেই আছে থাকবে। ফেসবুকে টাঙ্গাইল জেলা ময়মনসিংহ বিভাগের সঙ্গে সংযুক্তির যে তথ্যটি ছড়িয়ে পড়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সরকারিভাবে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত বা প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়নি।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ময়মনসিংহ বিভাগ ঘোষণার সময় টাঙ্গাইল জেলাকে সেখানে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এর প্রতিবাদে জেলার সর্বত্র আন্দোলন গড়ে তোলা হয়। পরে সরকার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।

টাঙ্গাইল নাগরিক অধিকার সুরক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নূর মোহাম্মদ ওরফে রাজ্য বলেন, ‘টাঙ্গাইল জেলা ময়মনসিংহ বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে বলে যে খবর ছড়িয়েছে, সেটা সঠিক নয় বলে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। যদি এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়, আমরা গণ–আন্দোলন গড়ে তুলব।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টাঙ্গাইল জেলাকে ময়মনসিংহ বিভাগে অন্তর্ভুক্তির ‘গুজবে’, মহাসড়ক অবরোধ
  • আগামী নির্বাচনে জনগণ আরেকবার রায় দেবে, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক: মির্জা ফখরুল
  • পর্দায় আড়াল করা নীতি থেকে সরে আসুন
  • সেনাবাহিনীর পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে জামায়াত
  • পিআর আন্দোলনের লক্ষ্য নির্বাচন বিলম্বিত করা: মির্জা ফখরুল
  • পাকিস্তানের ৫৮ সেনা হত্যার দাবি কাবুলের, ১৯ আফগান ফাঁড়ি ‘দখল’ ইসলামাবাদের
  • সোনারগাঁয়ে মুষলধারে বৃষ্টিতেই ড. ইকবালের গণসংযোগ  
  • পিআর পদ্ধতিতে জনগণের কোনো সুবিধা নেই: মঈন খান
  • জোটের বিষয়ে কোনো দলের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক হয়নি: আখতার