জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পদ্ধতি বদলে গেল, প্রজ্ঞাপন জারি
Published: 10th, November 2025 GMT
স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, প্রতি কোর্সের পূর্ণমানের ৮০% নম্বর ফাইনাল পরীক্ষায়, ২০% ধারাবাহিক মূল্যায়নে বরাদ্দ থাকবে। ৬ নভেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ হতে তত্ত্বীয় কোর্স ফাইনাল পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন এবং ধারাবাহিক মূল্যায়ন পদ্ধতির পরিবর্তন করা হয়েছে।
আরও পড়ুনসহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১১ করতে মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব, হলে কত টাকা লাগবে১৭ ঘণ্টা আগেপরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন—৪ ক্রেডিট কোর্সে ১২টি প্রশ্নের মধ্যে ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, মোট নম্বর ৮০ (৮*১০), সময় ৪ ঘণ্টা।
৩ ক্রেডিট কোর্সে ৯টি প্রশ্নের মধ্যে ৬টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, মোট নম্বর ৬০ (৬*১০), সময় ৩ ঘণ্টা।
২ ক্রেডিট কোর্সে ৬টি প্রশ্নের মধ্যে ৪টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, মোট নম্বর ৪০ (৪*১০), সময় ২ ঘণ্টা।
প্রয়োজনে প্রতিটি প্রশ্নে সর্বোচ্চ তিনটি উপ-প্রশ্ন (ক, খ, গ বা a, b, c) রাখা যাবে।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে কোথায় পড়বেন: সিদ্ধান্ত নিতে মনে রাখুন ‘থ্রি–সি’০৯ নভেম্বর ২০২৫ধারাবাহিক মূল্যায়নের ধরন—
প্রতিটি তত্ত্বীয় কোর্সের মোট নম্বরের ২০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত হবে।
৪ ক্রেডিট তত্ত্বীয় কোর্সে মূল্যায়নের মানবণ্টন—
অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি ও উপস্থাপনা, কুইজে ৫ নম্বর, ক্লাস উপস্থিতিতে ৫ নম্বর ও ইন-কোর্স পরীক্ষায় (দুটি ইন-কোর্সের গড়) ১০ নম্বর — মোট ২০ নম্বর।
৩ ক্রেডিট তত্ত্বীয় কোর্সে মূল্যায়নের মানবণ্টন-
অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি ও উপস্থাপনা, কুইজে ৪ নম্বর, উপস্থিতিতে ৩ নম্বর, ইন-কোর্সে ৮ নম্বর — মোট ১৫ নম্বর।
২ ক্রেডিট তত্ত্বীয় কোর্সে মূল্যায়নের মানবণ্টন-
অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি ও উপস্থাপনা, কুইজে ৩ নম্বর, উপস্থিতিতে ২ নম্বর, ইন-কোর্সে ৫ নম্বর — মোট ১০ নম্বর।
ব্যবহারিক কোর্সের মূল্যায়ন—
ব্যবহারিক কোর্সের মূল্যায়ন সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সিলেবাস অনুযায়ী পরিচালিত হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনএইচএসসি পরীক্ষা ২০২৬: আপাতত নির্বাচনী পরীক্ষা নয়, চলবে ক্লাস১৮ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: তত ত ব য় ক র স ব শ বব দ য ইন ক র স পর ক ষ উপস থ
এছাড়াও পড়ুন:
লতিফ সিদ্দিকীর জামিন বহাল, মঞ্জুরুল আলমের বিষয়ে শুনানি এক সপ্তাহ মুলতবি
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর জামিন বহাল রয়েছে। তাঁর জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
একই মামলায় সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন এক সপ্তাহের জন্য স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রেখেছেন আদালত।
মামলায় ৬ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও মঞ্জুরুল আলমকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। এই জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক আবেদন করেছিল। যা চেম্বার আদালত হয়ে আজ আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক শুনানি করেন।
লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না এবং আইনজীবী এম আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া ও জাকির হোসেন মাসুদ।
মঞ্জুরুল আলমের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন ও রমজান আলী শিকদার এবং আইনজীবী প্রিয়া আহসান চৌধুরী।
পরে আইনজীবী এম আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফলে তাঁর কারামুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই।
আটকের ১২ ঘণ্টার বেশি সময় পর গত ২৮ আগস্ট দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়। রাজধানীর শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
গত ২৮ আগস্ট সকালে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, শেখ হাফিজুর রহমানসহ অন্যরা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিতে গেয়েছিলেন। ‘আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের সংবিধান’ শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজক ছিল ‘মঞ্চ ৭১’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম।
আলোচনা সভায় প্রথমে বক্তব্য দেন শেখ হাফিজুর রহমান। শেখ হাফিজুর রহমানের বক্তব্য শেষ হওয়ার পরই মিছিল নিয়ে একদল ব্যক্তি ডিআরইউ মিলনায়তনে ঢোকেন। এ সময় তাঁরা ‘জুলাইয়ের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’, ‘জুলাইয়ের যোদ্ধারা, এক হও লড়াই করো’ প্রভৃতি স্লোগান দেন। একপর্যায়ে তাঁরা গোলটেবিল আলোচনার ব্যানার ছিঁড়ে আলোচনায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। সেদিন দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পুলিশের (ডিএমপি) একটি দল এলে তাঁরা পুলিশের কাছে লতিফ সিদ্দিকী, শেখ হাফিজুর রহমান, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমসহ অন্তত ১৬ জনকে তুলে দেন।