সম্প্রতি এই স্বাভাবিক কাজেরও একটি বিশেষ উপকারিতা খুঁজে পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব কলম্বিয়ার গবেষকেরা। যেসব শিশু পরিবারের সঙ্গে বসে নিয়মিত খাবার খায়, তারা অন্যদের চেয়ে পড়াশোনায় ভালো করে।

পরিবারের সঙ্গে খাওয়াদাওয়ার ফলে শিশুদের বেশ কিছু দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। যেমন আবেগ নিয়ন্ত্রণ, যোগাযোগের দক্ষতা ও শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ হওয়া। খাবার টেবিল ভদ্রতা ও পারিবারিক মূল্যবোধ শেখার দারুণ স্থানও বটে।

খাবার টেবিলে পরিবারের সবার সঙ্গে নিয়মিত কথাবার্তা হলে অনেক বদভ্যাস থেকেও দূরে থাকা যায়। এটি সামগ্রিকভাবে আমাদের সুস্থতা ও সাফল্যের জন্য জরুরি।
পরিবারের সবাই মিলে খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে পড়াশোনায় ভালো করার এই সম্পর্ক সত্যিই কৌতূহল–জাগানিয়া। এই গবেষণা থেকে বোঝা যায়, শিশুর শিক্ষায় পরিবারের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ‘ন্যাশনাল সেন্টার অন অ্যাডিকশন অ্যান্ড সাবস্ট্যান্স অ্যাবিউজ’ কয়েকজন টিনএজারের ওপর গবেষণাটি চালায়। অংশগ্রহণকারী টিনএজাররা নিয়মিত তাদের পরিবারের সঙ্গে রাতের খাবার খায়, সপ্তাহে পাঁচ দিন কিংবা তারও বেশি।

গবেষণাটিতে দেখা গেছে, এই টিনএজাররা তাদের বাকি সহপাঠীদের চেয়ে বেশি ‘এ গ্রেড’ পেয়েছে। পিছিয়ে থাকা সহপাঠীরা এগিয়ে থাকাদের তুলনায় পরিবারের সঙ্গে বসে তুলনামূলকভাবে কম খাওয়াদাওয়া করেছিল।

আরও পড়ুনবেডরুম পরিবার নাকি লিভিংরুম পরিবার, কোন ধরনের চর্চা ভালো?০৮ জানুয়ারি ২০২৫পরিবারের সবাই মিলে খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে পরীক্ষার ফলাফলের সম্পর্ক

গবেষকদের ধারণা, একসঙ্গে বসে খাওয়াদাওয়া করলে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আন্তরিকতা বাড়ে। এখন চারপাশে কেবলই প্রতিযোগিতা। ছেলেমেয়েরা সারাক্ষণই ক্লাস, কোচিং, অ্যাসাইনমেন্ট, বাড়ির কাজ নিয়ে অস্থির। সঙ্গে আছে সহশিক্ষা কার্যক্রম।

‘তোমাকে সেরা হতেই হবে’—এই চাপও থাকে সব সময়। সারা দিনের এই ইঁদুরদৌড়ের পর ডাইনিং টেবিল হয়ে ওঠে শিক্ষার্থীদের দম ফেলার জায়গা। সেখানেই তারা মানসিক সমর্থন খুঁজে পায়। পারিবারিক সম্পর্কের উষ্ণতা অনুভব করে।

আরও উপকারিতা

একসঙ্গে বসে খাওয়ার এই উপকারিতা শুধু পরীক্ষার ফলাফলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। খাবার টেবিলে আলোচনার সুযোগ তৈরি হয়। শিশু-কিশোরেরা প্রশ্ন করার এবং মা-বাবার কথা শোনার সুযোগ পায়।

বাড়ির সদস্যরা নিজেদের সারা দিনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। নিজেদের মূল্যবোধ এবং একে অন্যের কাছে তাদের প্রত্যাশা নিয়েও আলোচনার সুযোগ পান। এতে শিশুরা চিন্তা করতে শেখে। নিজেদের ভাবনা মা-বাবার কাছে প্রকাশেরও সুযোগ পায়।

এসব আলোচনার ফলে তারা দ্রুত সমস্যা সমাধান করতে শেখে, সেটা হোক বাড়ি কিংবা ক্লাসে। প্রতিদিনের আলোচনার এই অভ্যাসে শিশু সুন্দরভাবে, গুছিয়ে কথা বলতে শেখে। এই গুণ পর্যায়ক্রমে ভালো ফলাফলের দিকে তাদের কয়েক ধাপ এগিয়ে দেয়।

একসঙ্গে বসে খাওয়াদাওয়া করলে পরিবারের সবার সঙ্গে শিশু–কিশোরদের বন্ধন দৃঢ় হয়, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ গড়ে ওঠে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ব র র সব র ব র র সব ফল ফল

এছাড়াও পড়ুন:

ইসলামে ভিন্ন ধর্মের মানুষের সঙ্গে সহাবস্থানের সংস্কৃতি

ইসলামে “সহাবস্থান” বা “তাআয়ুশ” হল এক বিশাল সমুদ্রের শান্ত স্রোতের মতো, যা বিভিন্ন ধর্ম, জাতি, সংস্কৃতির মানুষকে একসঙ্গে বয়ে নিয়ে যায়। প্রাচীন ইসলামি গ্রন্থগুলো “সহাবস্থান” শব্দটা সচরাচর পাওয়া যায় না, কারণ তখন ভিন্নতা নিয়ে উদ্বেগ ছিল না। ধর্মে জোর খাটানোর কোনো প্রশ্নই ওঠেনি।

কোরআনের স্পষ্ট নির্দেশনা, “ধর্মে কোনো জোরজবরদস্তি নেই” (সুরা বাকারা, আয়াত: ২৫৬); “যে চায় ইমান আনুক, যে চায় কুফর করুক” (সুরা কাহফ, আয়াত: ২৯)। এই স্বাধীনতা ইসলামের মূল ভিত্তি। তবে জুলম বা নিপীড়ন যেই ধর্মের মানুষই করুক, ইসলাম সেখানে ছাড় দিতে রাজি নয়।

ভিন্নতা তো আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ম। কোরআন বলে, “তাঁর নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে আসমান-জমিনের সৃষ্টি, তোমাদের ভাষা ও রঙের ভিন্নতা—এতে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।” (সুরা রূম, আয়াত: ২২)

এই আয়াতটা যেন একটা জানালা খুলে দেয় বিশ্বের সৌন্দর্যের দিকে। খ্যাতিমান তাফসিরকার তাহের ইবনে আশুর এর ব্যাখ্যায় বলেন, মানুষ একই প্রজাতি হয়েও ভাষার ভিন্নতা একটা মহান নিদর্শন। এটি দেখায় আল্লাহ মানুষের স্বভাবে কত রকমের চিন্তা, অভিব্যক্তি দিয়েছেন—লেহাজ, সংক্ষেপণ, যোগ-বিয়োগ করে একই মূল থেকে হাজারো ভাষা গড়ে উঠেছে। (আত-তাহরির ওয়াত তানভির, ২১/১৪৫-১৪৭, দার আল-মাআরিফ, তিউনিস, ১৯৮৪)

তাঁর নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে আসমান-জমিনের সৃষ্টি, তোমাদের ভাষা ও রঙের ভিন্নতা—এতে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।কোরআন, সুরা রূম, আয়াত: ২২

এই ভিন্নতা কোনো অভিশাপ নয়, বরং আল্লাহর রহমত—যা মানুষকে একে অপরের কাছাকাছি নিয়ে আসে, শেখায় সহনশীলতা।

সহাবস্থানের সংজ্ঞা খুব সহজ: মুসলিম ও অমুসলিমের মধ্যে সব ধরনের ভালো সম্পর্ক—সহযোগিতা, সমন্বয়, দয়া, যত্ন, পরিচর্যা। এটি ব্যক্তি থেকে সমাজ পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকে। আজকের বিশ্বে এর জন্য দরকার পারস্পরিক সম্মানের সংস্কৃতি। বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, মত, রাজনৈতিক ধারার মধ্যে এই সম্মান না থাকলে সহাবস্থান অসম্ভব। কোরআনের নির্দেশ, “তিনি তোমাদের মনোনীত করেছেন, ধর্মের ব্যাপারে তিনি তোমাদের উপর কোন কঠোরতা আরোপ করেননি... যাতে রাসুল তোমাদের সাক্ষী হন, তোমরা মানুষের সাক্ষী হও।” (সুরা হজ, আয়াত: ৭৮)

এই আয়াতটা একটা দায়িত্ব বাতলে দেয়—মুসলিমরা হবেন সারা বিশ্বের জন্য সাক্ষী, ন্যায়ের প্রতীক।

আরও পড়ুনধর্ম ও বিজ্ঞানের সম্পর্ক: পশ্চিমা অনুকরণ থেকে মুক্তির পথ২২ আগস্ট ২০২৫

ইসলাম আকিদা (বিশ্বাস) ও সহাবস্থান (সামাজিক জীবন) আলাদা করে দেখে। আকিদা শরিয়াহর ভিত্তি এবং সহাবস্থান সমাজের বাস্তবতা। রাসুল (সা.)-এর হাদিস, “যে কোনো অঙ্গীকারভুক্ত লোককে জুলুম করে, তার অধিকার কমায়, তার সাধ্যের বাইরে কাজ চাপায় বা তার সম্মতি ছাড়া কিছু নেয়—কিয়ামতে আমি তার বিরুদ্ধে দাঁড়াব।” (সুনান আবু দাউদ, হাদিস: ৩০৫২)

এই হাদিস অমুসলিমদের অধিকার রক্ষার জন্য একটি ঢালস্বরূপ। অনেক ভুল বোঝাবুঝি আসে ধর্মীয় নির্দেশের ভুল ব্যাখ্যা থেকে। যা অকাট্য বিধান নয়, তাতে ইজতিহাদের জায়গা থাকে, দ্বিমত থাকে। ভিন্নতা গ্রহণ করা হলে অতিরিক্ত কঠোরতা এড়ানো যায়।

ইসলামি ঐতিহ্যে সহাবস্থানের বহু উদাহরণ রয়েছে। ফিকহ, কালামের গ্রন্থগুলো অন্যদের সঙ্গে সম্পর্কের আলোচনায় ভরপুর। এই চিন্তা ইতিহাসে প্রতিফলিত হয়েছে। প্রথম দিকের ফিকহে এই বিষয় “সিয়ার” নামে পরিচিত—যা মুসলিমদের সঙ্গে অন্যদের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করে থাকে।

যারা ধর্মে তোমাদের সঙ্গে লড়েনি, তোমাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করেনি—তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে, ন্যায় করতে আল্লাহ বারণ করেন না। আল্লাহ ন্যায়কারীদের ভালোবাসেন।কোরআন, সুরা মুমতাহিনা, আয়াত: ৮

সারাখসি (মৃ. ৪৯০ হি.) শাইবানির (মৃ. ১৮৯ হি.) আস-সিয়ার আস-সাগির বইয়ের ব্যাখ্যায় বলেন, এটা মুসলিমদের সঙ্গে যুদ্ধরত মুশরিক, চুক্তিবদ্ধ, জিম্মি, বিদ্রোহীদের সম্পর্ক তুলে ধরেছে। এমনকি বিদ্রোহীরা মুসলিম হলেও তাদের সঙ্গে আচরণ করা হবে মুশরিকদের মতো, কারণ তারা ভুল তাফসির করছে। (শারহ কিতাব আস-সিয়ার আল-কাবির, ১/৫-১০, দার আল-কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, বৈরুত, ১৯৯৩)

এই সম্পর্কের মূল কথা “আদল” বা ন্যায়। কোরআনের নির্দেশ, “যখন কথা বলো, ন্যায় বলো—যদি আত্মীয়ও হয়... এটা আমার সরল পথ, এটি অনুসরণ করো, অন্য পথে যেও না।” (সুরা আনআম, আয়াত: ১৫২-১৫৩)

ন্যায় মানে অন্যের বিশ্বাস নিয়ে ঠাট্টা নয়, জুলুম নয়। একই সঙ্গে যত্রতত্র কোনো মুসলিমকে কাফির বলে জাহান্নামের ফয়সালা করাও নয়। মুসলিমের কাজ সবার প্রতি ইহসান—রঙ, জাতি, বিশ্বাস যাই হোক না কেন। কোরআন বলে, “যারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের সঙ্গে লড়েনি, তোমাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করেনি—তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে, ন্যায় করতে আল্লাহ বারণ করেন না। আল্লাহ ন্যায়কারীদের ভালোবাসেন।” (সুরা মুমতাহিনা, আয়াত: ৮)

হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, “ন্যায়নুগ আচরণকারীরা কিয়ামতে আলোর অধিষ্ঠানে (নুরের মিম্বরে) থাকবে, আল্লাহর আরশের ডানে। এরা হল তারা, যারা বিধানের ক্ষেত্রে এবং পরিবার ও দায়িত্ব পালনে ন্যায় বজায় রাখে।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৮২)

আরও পড়ুনইসলাম কি কোনো ধর্ম নাকি জীবনবিধান?১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ইসলামের সহাবস্থান সংস্কৃতির চারটি মূল বৈশিষ্ট্য রয়েছে:

প্রথম, মানবিকতা: সহাবস্থান সকল মানুষের জন্য—শুধু মুসলিমদের জন্য নয়। কোরআন বলে, “তোমার প্রতিপালক চাইলে সবাইকে এক উম্মত বানাতেন, কিন্তু তারা ভিন্ন থাকবে—যাদের প্রতি রহমত করা হয়েছে, তারা ছাড়া। এজন্যই তাদের সৃষ্টি।” (সুরা হুদ, আয়াত: ১১৮-১১৯)

এই আয়াত বলছে, ভিন্নতা আল্লাহর ইচ্ছা—যা মানুষকে শেখায় সহনশীলতা, একতা।

দ্বিতীয়, পারস্পরিকতা: সহাবস্থান একতরফা নয়, দুই পক্ষের আদান-প্রদান। কোরআন বলে, “হে মানুষ, আমরা তোমাদের পুরুষ-নারী থেকে সৃষ্টি করেছি, জাতি-উপজাতি বানিয়েছি যাতে তোমরা একে অপরকে চিনতে পারে। আল্লাহর কাছে সবচেয়ে সম্মানিত সে, যে সবচেয়ে খোদাভীরু।” (সুরা হুজুরাত, আয়াত: ১৩)

এখানে “তাআরুফ” বা পরিচয়ের কথা বলা হয়েছে—যা সম্মান, সহযোগিতার ভিত্তি।

তৃতীয়, বাস্তব অভিজ্ঞতা: সহাবস্থান কেবল কথায় নয়, কাজে প্রমাণিত। কোরআন বলে, “মহান তিনি, যার হাতে রাজত্ব, তিনি সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান। যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন যাতে পরীক্ষা করেন কে সবচেয়ে ভালো কাজ করে।” (সুরা মুলক, আয়াত: ১-২)

জীবন একটা পরীক্ষা—যেখানে ভালো কাজ দিয়ে সহাবস্থানের পরিবেশ গড়তে হয়।

চতুর্থ, সর্বজনীনতা: একই দেশে, একই সমাজে সবার জন্য সমান সুযোগ। যতক্ষণ মানুষ একসঙ্গে থাকে, সহাবস্থান তাদের সকলের দায়িত্ব। এটি কোনো সীমানায় বাঁধা থাকতে পারে না।

ইতিহাসে এই নীতি কত সুন্দরভাবে প্রয়োগ হয়েছে দেখুন। মদিনায় গিয়েই রাসুল (সা.) ইহুদিসহ সকলের সঙ্গে চুক্তি করেন, তাদের যার যা ধর্ম তা রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেন। ওমর (রা.) জেরুজালেম জয়ের পর গির্জায় নামাজ পড়তে অস্বীকার করেন, যাতে পরে মুসলিমরা তা দখল না করে। এই ঘটনাগুলো দেখায়, সহাবস্থান কেবল কথায় নয়, কাজের প্রমাণিত হয়েছে মুসলিম সভ্যতায়।

আজকের বিশ্বে বিভেদ, ঘৃণা বাড়ছে। ফলে আমাদের ইসলামের শিক্ষার দিকেই ফিরতে হবে। ভিন্নতা মানেই বিভেদ নয়, সৌন্দর্য। ন্যায়, দয়া, সম্মান দিয়ে গড়ে তুলতে পারি আমরা একটি শান্তির সমাজ।

সূত্র: ইসলাম অনলাইন ডটনেট

আরও পড়ুনইসলাম বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল ধর্ম২৪ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘সিন্ডিকেট’ ছেড়ে আফসোস করি: তাসনুভা তিশা
  • বান্দরবানের বিএনপির ঐক্য কেবল মুখে মুখে
  • একসঙ্গে জন্মানো পাঁচ সন্তান লালন–পালনের খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় মা–বাবা
  • বিএনপির মুখে আগের রেজিমের সুর: জামায়াত নেতা হামিদুর
  • একসঙ্গে খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন ইতিহাস গড়লেন বাবা–ছেলে
  • ইসলামে ভিন্ন ধর্মের মানুষের সঙ্গে সহাবস্থানের সংস্কৃতি