2025-10-04@10:36:36 GMT
إجمالي نتائج البحث: 12

«ভ ঙনকবল ত ম ন ষ»:

    ‘পা ধরি বাবা, হামার বাড়িটা বাঁচান বাবা। কয়টা বস্তা দিয়া ভাঙা বন্ধ করি দেও। আল্লাহ তোমার ভালো করবে বাবা।’ সম্প্রতি ব্রহ্মপুত্র নদের বাঁ তীরে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী-রাজীবপুর উপজেলায় ভাঙন পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলাম। তখন রৌমারী উপজেলার ঘুঘুমারিতে ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে বয়স্ক এক নারী হাতজোড় করে কথাগুলো বলছিলেন। ওই স্থানে অনেকেই যখন ভাঙন বন্ধের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করছিলেন, তখন আমার পাশের চেয়ারে বসা পার্শ্ববর্তী মসজিদের ইমাম আবদুল মজিদের দুচোখ গড়িয়ে পানি পড়ছে। অশ্রুসিক্ত ইমাম। তাঁর ভিটেমাটি এখন যেকোনো সময় নদীগর্ভে বিলীন হবে। ভাঙনের আশঙ্কায় ঘর তুলে একটু দূরে রেখেছেন। ৪০টি ফলবান সুপারিগাছসহ সব গাছ কেটে ফেলতে হয়েছে। কোথায় যাবেন, কী করবেন জানেন না। কেবলই দুচোখ গড়িয়ে পানি পড়ছে।রৌমারী উপজেলার পাখি ধরা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক রইচ উদ্দীন ভাঙনের কথা বলতে গিয়ে ডুকরে ডুকরে কাঁদছিলেন। তাঁর...
    চার সন্তানকে বুকে জড়িয়ে এক রাতে ঘর ছাড়তে বাধ্য হন শেরপুর সদর উপজেলার গৃহিণী নাজমা বেগম (৪৬)। চোখের সামনে নিজেদের শেষ আশ্রয়স্থলটি নদীতে বিলীন হতে দেখেন। এই অবস্থায় কোথায় যাবেন, কী করবেন—কিছুই বুঝতে পারছেন না। এমন অসহায়ত্ব প্রকাশ করে কান্নাজড়িত কণ্ঠে ভাগলঘর গ্রামের এই বাসিন্দা বলেন, ‘চোখের সামনে বসতবাড়ি ভাইঙ্গা নিল (ব্রহ্মপুত্র নদ), পোলাপান লইয়া কই যামু?’আপাতত দিনমজুর স্বামী আবদুল্লাহ ও সন্তানদের নিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন নাজমা। তবে ভবিষ্যতে কোথায় যাবেন, এই ভেবে চোখেমুখে অন্ধকার দেখছেন। ব্রহ্মপুত্র নদে বসতভিটা হারানোর এই কষ্ট কিংবা অসহায়ত্ব শুধু নাজমা বেগমের একার নয়, চরপক্ষীমারি ইউনিয়নের দক্ষিণ ভাগলঘর গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবারের একই দুর্দশা। পরিবারগুলোর অভিযোগ, সরকারি উদ্যোগে ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা না থাকায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছে তারা।গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা যায়, চরপক্ষীমারি ইউনিয়নের...
    কুড়িগ্রামের পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদীতে পানি বাড়লেও এখনো বিপৎসীমার নিচে আছে। নিচু এলাকাগুলোতে প্রবেশ করছে বন্যার পানি। তবে, এখনো বাসবাড়িতে পানি প্রবেশ করেনি। এদিকে, পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দুধকুমার, তিস্তা, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদীপাড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। দুধকুমারের ভাঙনে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর, তিস্তার ভাঙনে উলিপুর উপজেলার থেতরাই ও ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে উলিপুরের বেগমগঞ্জ এলাকার মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অন্তত ৩০টি পয়েন্টে নদ-নদীর ভাঙন অব্যাহত আছে। এক সপ্তাহের নদীভাঙনে এসব এলাকার শতাধিক ঘর-বাড়িসহ মসজিদ, ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের হুমকিতে আছে আরো শত শত ঘর-বাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা। ভাঙনকবলিতরা জানিয়েছেন, নদীভাঙনের কবলে পড়ে ঘর-বাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন তারা। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্ট...
    গোপালগঞ্জে কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়ায় মধুমতি নদীর বাঁধে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরইমধ্যে পাড়ের কিছু অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে। ভাটিয়াপাড়া বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকান-পাট ও মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। ভাঙনকবলিত এলাকায় দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এরইমধ্যে ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভাটিয়াপাড়া বাজারের মধুমতি নদী ভাঙনপ্রবণ এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে নেওয়া হয়েছে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা। তবে বরাদ্দ পেলে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার অন্যতম বাজার ভাটিয়াপাড়া বাজার। বাজারটি গড়ে উঠেছে মধুমতি নদীর কোল ঘেঁষে। নদীবন্দর হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার পাশাপশি এ বাজারে রয়েছে রেল স্টেশন। হঠাৎ করে শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাতে মধুমতি নদীর বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরইমধ্যে...
    গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানিকদাহ এলাকায় মধুমতি নদীর ভাঙনে বসতবাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে অনেক পরিবার। উদ্বাস্তু হতে হয়েছে অনেক মানুষকে। এবার ভাঙনকবলিত এলাকায় ৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১ হাজার ২০০ মিটার প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করায় স্বস্তি ফিরেছে এলাকাবাসীর মনে। আরো ৩০০ মিটার বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের গোপালগঞ্জ কার্যালয় জানিয়েছে, বরাদ্দ পেলে বাকি অংশের কাজও করা হবে।  সম্প্রতি মানিকদাহ এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা দীর্ঘদিন ধরেই মধুমতি নদীর ভাঙনের শিকার। কয়েক বছরের ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বসতবাড়ি, ফসলি জমি, মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা, স্কুল, খেলার মাঠ ও পাকা রাস্তা। খোলা আকাশের নিচে বাস করতে হয়েছে অনেক পরিবারকে। এলাকাবাসীর দাবির মুখে ওই এলাকায় নদীভাঙন রোধে ১ হাজার ২০০...
    শরীয়তপুরে পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা রক্ষা বাঁধের ভাঙনকবলিত স্থান পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা। বুধবার দুপুরে অর্থ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ জালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জাজিরার নাওডোবা এলাকায় আসেন। তাঁরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তা, স্থানীয় জনসাধারণ ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।আরও পড়ুনপদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা রক্ষা বাঁধে ভাঙন, স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক২২ ঘণ্টা আগেউপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, নদীভাঙনের কারণ নদীর গতিপথ পরিবর্তন ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। অবৈধভাবে ড্রেজার (খননযন্ত্র) চালানোর ফলে পদ্মা নদীর আশেপাশের এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছি। তবে জেলা প্রশাসনের লোকজন ড্রেজার শ্রমিকদের ধরেন। তাঁদের ধরে লাভ নেই। আমরা বলেছি ড্রেজারগুলো...
    নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় নদীভাঙন রোধে বাঁধ (ক্রস ড্যাম) নির্মাণের দাবিতে পদযাত্রা করেছে জামায়াতে ইসলামী। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার চর এলাহী বাজারের কাছে নদীভাঙনকবলিত এলাকায় ওই পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পদযাত্রা উপলক্ষে সকাল থেকে জামায়াতে ইসলামীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিট থেকে দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা চর এলাহী বাজারে সমবেত হতে থাকেন। বেলা ১১টার দিকে তাঁরা চর এলাহী বাজার থেকে নদীভাঙনকবলিত এলাকার উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করেন। দলীয় নেতা-কর্মীরা প্রায় এক কিলোমিটার সড়কে হেঁটে চর এলাহী ঘাট–সংলগ্ন বামনী নদীর ভাঙনকবলিত এলাকায় গিয়ে পদযাত্রা শেষ করেন। পদযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে নদীভাঙন রোধে দ্রুত ক্রস ড্যাম নির্মাণের পাশাপাশি নোয়াখালী খালের ওপর নির্মিত স্লুইসগেট খুলে দেওয়া, নদীতে সিসি ব্লক স্থাপন ও ভাঙনে ঘর হারানো মানুষজনকে পুনর্বাসনের দাবি জানান জামায়াত নেতারা।সমাবেশে...
    সিলেট নগরকে উত্তর ও দক্ষিণ—দুই ভাগে বিভক্ত করেছে সুরমা নদী। কয়েক বছর ধরে বর্ষা মৌসুমে নগরের বিভিন্ন অংশে নদীর দুই পারই ভাঙছে। এ ছাড়া ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পার উপচে পানি ঢুকে বন্যাও দেখা দিচ্ছে। এবার বর্ষা আসার আগেই শুরু হয়েছে নদীভাঙন। এ অবস্থায় শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের দাবি উঠেছে।ভাঙনকবলিত এলাকার লোকজন বলছেন, নগরের উত্তর অংশে কালীঘাট আমজাদ আলী রোড গাঙপার এবং দক্ষিণ অংশে খোজারখলা এলাকায় চলতি বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই নদীভাঙন শুরু হয়েছে। এতে উভয় অংশে বাসাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ঝুঁকিতে পড়েছে। এ ছাড়া নগরের কুশিঘাট এলাকায় নদীর উভয় পারই ক্রমাগত ভাঙছে। অন্যান্য বছর এ তিনটি এলাকায় নদীভাঙন থাকলেও চলতি বছর ভাঙনের তীব্রতা বেশি।আমজাদ আলী রোড গাঙপার এলাকার পাশেই মাছিমপুর এলাকা। ওই এলাকার বাসিন্দা আবদুল্লাহ (২৪) সোবহানীঘাট...
    সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন চুনকুড়ি নদীর বেড়িবাঁধে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে বাঁধ সংলগ্ন মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের সিংহড়তলী ও চুনকুড়ি গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী ১০ থেকে ১৫টি গ্রামের হাজারো মানুষ।  রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নদীতে জোয়ার বৃদ্ধি পেলে হঠাৎ করে ফাটল ধরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের একাংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এ ঘটনায় চুনকুড়ি নদী তীরবর্তী এলাকার গ্রামবাসীর মধ্যে ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। দ্রুত তারা ভাঙনকবলিত বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে হরিনগর বাজারের কাছে সিংহরতলী গ্রামের চুলকুড়ি নদীর বেড়িবাঁধের ৩০-৩৫ মিটার এলাকাজুড়ে বড় ফাটল দেখা দেয়। এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসীর সহায়তায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা বেড়িবাঁধের ফাটল পয়েন্টে আধুনিক মানের জিও টিউব দিয়ে বাঁধের ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু করেন। কিন্তু এ...
    আশাশুনির বিছট এলাকার খোলপেটুয়া নদীর ভেঙে যাওয়া বাঁধে ৪৮ ঘণ্টা পর আজ বুধবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ভাটার সময় ধীরগতিতে শুরু হয়েছে রিং বাঁধ (বিকল্প বাঁধ) দেওয়ার কাজ। কাজ তদরক করছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় আনুলিয়া ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম নদীর পানিতে তলিয়ে ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পাঁচ শতাধিক পরিবার ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। কয়েক শ কাঁচা ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে।আরও পড়ুনহঠাৎ বাঁধ ভেঙে আশাশুনিতে ডুবছে একের পর এক গ্রাম০১ এপ্রিল ২০২৫সাতক্ষীরা থেকে আশাশুনির দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার। সেখান থেকে আরও ২৫ কিলোমিটার গেলে আনুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ। পরিষদের দক্ষিণে আরও তিন কিলোমিটার গেলে বিছট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়–সংলগ্ন খোলপেটুয়া নদীর ভাঙনকবলিত এলাকা। সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙনকবলিত এলাকায় যত...
    বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নবাসীর ঈদের দিন রাত কেটেছে নির্ঘুম। খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভেঙে জোয়ারের তোড়ে গতকাল সোমবার রাতে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ইউনিয়নের ২০ হাজারের বেশি মানুষ। ভেসে গেছে চার শতাধিক মৎস্যঘের। তলিয়ে গেছে ৫০০ বিঘা বোরো ধান। ঘরবাড়ি ছেড়ে তিন শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে অন্যত্র। অনেকেই ঘরবাড়ি ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।পরিস্থিতির ভয়াবহতা ঠেকাতে গত ৩০ ঘণ্টাও বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু করা যায়নি। দ্রুত সংস্কার করা না গেলে শুধু আনুলিয়া ইউনিয়ন নয়, পার্শ্ববর্তী আরও তিনটি ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে অসংখ্য মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।সাতক্ষীরা থেকে আশাশুনি ২৫ কিলোমিটার। সেখান থেকে আরও ২৫ কিলোমিটার গেলে আনুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ। পরিষদের দক্ষিণে আরও তিন কিলোমিটার গেলে বিছট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়–সংলগ্ন খোলপেটুয়া নদীর ভাঙন এলাকা।আজ...
    সম্প্রতি পুলিশ সংস্কার কমিশন তাদের সুপারিশমালা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর দাখিল করেছে। এতে মোট ১৫টি ক্ষেত্রে ১১৩টি সুপারিশ প্রদান করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় পরিচয়পত্রধারী চাকরিপ্রার্থীদের স্থায়ী ঠিকানা অনুসন্ধানের বাধ্যবাধকতা রহিত করা যেতে পারে।’ সুপারিশটা নিয়ে ভাবতে ভালোই লাগছে। যারা চাকরি করছেন বা করেছেন তারা ভাবছেন, কথিত পুলিশ ভেরিফিকেশনে কতটা ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। আর যারা ভবিষ্যতে চাকরিতে আসবেন তারা পুলকিত হচ্ছেন পুলিশ ভেরিফিকেশনের কথিত ভোগান্তি থেকে নিষ্কৃতি ঘটছে বলে। সুপারিশটার ভালোমন্দ একটু তল্লাশি করা যাক। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন মূলত দানা বেঁধেছিল সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতিপুতিদের বরাদ্দকৃত ৩০% কোটাকে যুক্তিসংগত পর্যায়ে নামিয়ে আনা বিষয়ে। ২০১৮ সালে এই কোটা ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি উত্থাপিত হলে তৎকালীন সরকারপ্রধান গোস্বা করে সব ধরনের কোটা বিলুপ্তির অনুশাসন দেন। ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর ৯ম...
۱