নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় নদীভাঙন রোধে বাঁধ (ক্রস ড্যাম) নির্মাণের দাবিতে পদযাত্রা করেছে জামায়াতে ইসলামী। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার চর এলাহী বাজারের কাছে নদীভাঙনকবলিত এলাকায় ওই পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পদযাত্রা উপলক্ষে সকাল থেকে জামায়াতে ইসলামীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিট থেকে দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা চর এলাহী বাজারে সমবেত হতে থাকেন। বেলা ১১টার দিকে তাঁরা চর এলাহী বাজার থেকে নদীভাঙনকবলিত এলাকার উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করেন। দলীয় নেতা-কর্মীরা প্রায় এক কিলোমিটার সড়কে হেঁটে চর এলাহী ঘাট–সংলগ্ন বামনী নদীর ভাঙনকবলিত এলাকায় গিয়ে পদযাত্রা শেষ করেন। পদযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে নদীভাঙন রোধে দ্রুত ক্রস ড্যাম নির্মাণের পাশাপাশি নোয়াখালী খালের ওপর নির্মিত স্লুইসগেট খুলে দেওয়া, নদীতে সিসি ব্লক স্থাপন ও ভাঙনে ঘর হারানো মানুষজনকে পুনর্বাসনের দাবি জানান জামায়াত নেতারা।

সমাবেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন উপজেলা জামায়াতের আমির ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৫ আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী মো.

বেলায়েত হোসেন। সমাবেশ শেষে চর এলাহী ঘাট এলাকায় জামায়াত নেতারা সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় উপজেলা জামায়াতের আমির বেলায়েত হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চর এলাহী, চরহাজারী ও মুছাপুর এলাকা বামনী নদী ও ছোট ফেনী নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে। এর মধ্যে বামনী নদীর ভাঙনে চর এলাহী ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার পরিবার গৃহহীন হয়েছে। ২৫ হাজার একরের বেশি ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদীর ভাঙনের তীব্রতা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে এরই মধ্যে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে নদীভাঙন রোধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

জামায়াত নেতা বেলায়েত হোসেন নদীভাঙন রোধে অবিলম্বে ক্রস ড্যাম নির্মাণের দাবি জানান। পাশাপাশি নদীভাঙনের কবলে পড়ে গৃহহীন হওয়া লোকজনকে পুনর্বাসনেরও দাবি জানান তিনি।

উপজেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক আইউব আলীর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা জামায়াতের আমির মোশাররফ হোসেন। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মিজানুর রহমান, উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মহিউদ্দিন, জামায়াতের নেতা জিয়াউল হক, চরপার্বতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী হানিফ আনসারী প্রমুখ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পদয ত র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সিরাজ–কৃষ্ণাতে ম্যাচে ফিরল ভারত

অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে মোহাম্মদ সিরাজের মতো আর কোনো পেসার নেই, এভাবে বলাই যায়। কারণ, সিরাজ ও ক্রিস ওকসই এই সিরিজের সব কটি ম্যাচ খেলেছেন। সেই ওকসও ওভাল টেস্টের প্রথম দিনে চোট পেয়ে টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন, টিকে আছেন সিরাজ।

টিকে থাকা সিরাজ কী করেছেন? গতকাল ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৮ ওভারের এক স্পেলে ফিরিয়েছেন ওলি পোপ, জো রুট, জ্যাকব বেথেলকে। এরপর আরও এক উইকেট। সিরাজকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন প্রসিধ কৃষ্ণা। দ্বিতীয় সেশনের শেষ ওভারে দুই উইকেটসহ তিনিও নিয়েছেন ৪ উইকেট। ভারতের ২২৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে ২৪৭ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভারত কাল দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ২ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে। দুই ‘জীবন’ পাওয়া যশস্বী জয়সোয়াল ৫১ ও আকাশ দীপ ৪ রান নিয়ে উইকেটে আছেন।

অথচ কাল প্রথম সেশন শেষে ম্যাচের চিত্র ছিল আলাদা। ইংল্যান্ড প্রথম ১৬ ওভারেই তোলে ১ উইকেটে ১০৯ রান। দুই ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট ৭৭ বলে গড়েন ৯২ রানের জুটি। এমন বাজবলীয় শুরুর পর চিত্র পুরোপুরি বদলে যায় দ্বিতীয় সেশনে। শুরুটা করেন কৃষ্ণা। তাঁর শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন ক্রলি। পরের গল্পটা সিরাজের। প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে ৩১ রান দেওয়া সিরাজকে অধিনায়ক গিল যখন বোলিংয়ে আনেন, তখন ইংল্যান্ডের রান ২৪ ওভারে ২ উইকেটে ১৪২। তিনি একে একে ফেরান দুই সেট ব্যাটসম্যান পোপ (২২), রুটকে (২৯) ও বেথেলকে (৬)। এরপর কৃষ্ণার দুই উইকেটে দ্বিতীয় সেশনটা পুরোপুরি ভারতের হয়ে যায়। ইংল্যান্ড দ্বিতীয় সেশনে ১০৬ রান তুলতে হারায় ৬ উইকেট। তৃতীয় সেশনে আর ৩২ রান যোগ করতে পারে তারা।

আরও পড়ুনকাঁধের চোটে ভারতের বিপক্ষে আর খেলতে পারবেন না ওকস১১ ঘণ্টা আগেলোকেশ রাহুলকে আউট করার পর অ্যাটকিনসনের আনন্দ

সম্পর্কিত নিবন্ধ