মহেশখালীতে মুখোমুখি সংঘর্ষে ডুবল স্পিডবোট, ১০ যাত্রী জীবিত উদ্ধার
Published: 11th, January 2025 GMT
মহেশখালী-কক্সবাজার নৌপথে দুটি স্পিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১০ জন যাত্রীসহ ডুবে যায় একটি স্পিডবোট। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আশপাশ থেকে অন্য স্পিডবোট এসে যাত্রীদের সবাইকে জীবিত উদ্ধার করে। এ সময় মোরশিদা বেগম (৪০) নামে একজন যাত্রী আহত হন।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাঁকখালী চ্যানেলে এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই নারী যাত্রীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে মহেশখালীর ইউএনও মোহাম্মদ হেদায়েত উল্যাহ প্রথম আলোকে জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মহেশখালী জেটিঘাট থেকে স্পিডবোটচালক মোহাম্মদ মোস্তফা ১০ জন যাত্রী নিয়ে বাঁকখালী চ্যানেল পাড়ি দিয়ে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন। একই সময়ে কক্সবাজার জেটিঘাট থেকে আরেক স্পিডবোটচালক মোহাম্মদ নয়ন ১০ জন যাত্রী নিয়ে মহেশখালী ফিরছিলেন। বাঁকখালী চ্যানেলে পৌঁছে স্পিডবোট দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ১০ জন নিয়ে যাত্রী নিয়ে চালক মোহাম্মদ নয়নের স্পিডবোটটি ডুবে যায়। পরে মোহাম্মদ মোস্তফার বোটসহ অন্যান্য স্পিডবোট ঘটনাস্থলে এসে সাগর থেকে জীবিত অবস্থায় যাত্রীদের উদ্ধার করেন।
মহেশখালী স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি আতাউল্লাহ বোখারি ও একটি স্পিডবোটচালক মোহাম্মদ মাহিন বলেন, ‘সকালে ১০ জন যাত্রী নিয়ে মহেশখালী থেকে কক্সবাজার যাচ্ছিলাম। পথে বাঁকখালী চ্যানেলে দুটি স্পিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষে একটি স্পিডবোট ডুবে যায়। এ সময় যাত্রীদের বাঁচাতে দ্রুত স্পিডবোট নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে আরও চালকেরা এগিয়ে আসেন। সবাই মিলে যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়।’
জানতে চাইলে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ হেদায়েত উল্যাহ বলেন, নৌপথে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে অতিরিক্ত স্পিডবোট ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। দুই স্পিডবোটের চালকদের ঘাট থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়াও ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য চালকদের সতর্ক করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পরিবারের কাছে ফিরে গেলেন অভিনেতা সমু চৌধুরী
অভিনেতা সমু চৌধুরী পরিবারের কাছে ফিরে গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার পর পুলিশ তাঁকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এর আগে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মাজারের গাছতলায় গামছাপরিহিত সমু চৌধুরীর ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নানা জল্পনা শুরু হয়।
গফরগাঁওয়ের পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম বলেন, অভিনেতা সমু চৌধুরীকে রাত ৩টা ২০ মিনিটের দিকে খালাতো ভাই অপু চৌধুরীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সময় অভিনয়শিল্পী সংঘের লোকজনও ছিলেন। তিনি বলেন, সমু চৌধুরী এর আগে মাজারটিতে কয়েকবার এলেও কেউ তাঁকে চিনতে পারেননি। এবারও মাজারে একাকী সময় কাটাতে এসেছিলেন তিনি।
এর আগে গত বুধবার রাতে ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে করে গফরগাঁও উপজেলার মশাখালী ইউনিয়নে অবস্থিত মুখী শাহ্ মিসকিনের মাজারে আসেন সমু চৌধুরী। পরদিন গতকাল দুপুরে মাজারের গাবগাছের নিচে শুয়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। মাজারের পাশের বাসিন্দা আল মামুন হৃদয় ফেসবুকে তাঁর গাছতলায় শুয়ে থাকার ছবি পোস্ট করেন। দ্রুত সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা সমু চৌধুরীকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলে দাবি করেন। সমু চৌধুরীকে এমন অবস্থায় দেখতে পেয়ে সেখানে ভিড় করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিকেল গাড়িয়ে সন্ধ্যা হলে পুলিশের অনুরোধেও থানায় যাননি সমু চৌধুরী। সন্ধ্যার পর লোকজন আরও বাড়তে থাকে। এ অবস্থায় পুলিশের পাশাপাশি মাজার প্রাঙ্গণে সেনাবাহিনী অবস্থান নেয়। এ সময় সমু চৌধুরী জানান, তিনি সুস্থ আছেন। সারা রাত মাজারে ধ্যানে ছিলেন।
আরও পড়ুনঅভিনেতা সমু চৌধুরীকে উদ্ধারের চেষ্টা করেছে পুলিশ, কী হয়েছিল তাঁর২১ ঘণ্টা আগেগতকাল রাত ৯টার দিকে সমু চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন গফরগাঁওয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এন এম আবদুল্লাহ-আল-মামুন। সমু চৌধুরী সুস্থ আছেন কি না, তা জানতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন সেখানে উপস্থিত হন।
ইউএনও এন এম আবদুল্লাহ-আল-মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এক ঘণ্টার বেশি সময় অভিনেতার সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় এবং তাঁকে সুস্থ পাওয়া যায়। তাঁর বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়, পুরো ঘটনা তাঁর জবানিতে শোনা হয়। অভিনেতা মাজারভক্ত মানুষ। এ মাজারে আগেও এসেছিলেন। তাঁকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিলেও গতকাল তাঁর ভাষায় গুরুবার ও গুরুত্বপূর্ণ রাত হওয়ায় তিনি মাজারেই অবস্থান করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবির কারণে বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়।’
সমু চৌধুরীর বয়স ৬২ বছর। তিনি ১৯৯০ সালে একটি নাটকের মাধ্যমে অভিনয়জীবনে প্রবেশ করেন। এ ছাড়া উদীচীর সঙ্গে ছিলেন ১২ বছর। ব্যক্তিজীবনে তিনি অবিবাহিত। তাঁর বাড়ি যশোর। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শুধু মা জীবিত আছেন। সমু চৌধুরী যশোরে থাকেন বলেও জানান ইউএনও।
আরও পড়ুনমাজার থেকে সরতে চাইছেন না সমু চৌধুরী১৮ ঘণ্টা আগে