যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি শেরিফ রবার্ট লুনা বলেছেন, গোয়েন্দারা (দাবানলের) সম্ভাব্য সব কারণ খতিয়ে দেখছেন। সবকিছু পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসের যে কয়েকটি অঞ্চল দাবানলে জ্বলছে, সেগুলোর মধ্যে প্যালিসেইডস ও ইটন অন্যতম। যুক্তরাষ্ট্রে দাবানলের সাধারণ কারণ হিসেবে বজ্রপাতকে দায়ী করা হয়। কিন্তু এবার এ দুই অঞ্চলে বজ্রপাতের কারণে দাবানল হয়নি।

কেউ আগুন দিয়েছে বা গ্যাস-বিদ্যুতের সংযোগ থেকে দাবানলের সূত্রপাত হয়েছে; এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে এমন কোনো ইঙ্গিতও দেওয়া হয়নি। বজ্রপাতের পর এ দুটি উৎসকেই দাবানলের সবচেয়ে বড় দুই কারণ হিসেবে ধরা হয়।

ক্যালিফোর্নিয়া ২০২২-২৩ সালে বেশ আর্দ্র ছিল। ফলে ওই সময়ে সেখানে বিপুল গাছপালা জন্মেছে। কিন্তু পরের বছরের খরার কারণে সেই আর্দ্রতা শুকিয়ে গিয়েছিল। এতে সেখানে প্রচুর পরিমাণে ছোটখাটো দাবানলের সৃষ্টি হয়েছিল।

গত বছরের অক্টোবর থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসের বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্রগুলোতে কেবল দশমিক ৪ সেন্টিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এই নজিরবিহীন শুষ্ক সময় এবং সান্তা অ্যানা হিসেবে পরিচিত সমুদ্রের শক্তিশালী ঝোড়ো হাওয়া একসঙ্গে মিলে দাবানল সৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছিল।

প্যালিসেইডস অঞ্চলের দাবানলের যে অংশটি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে সেটিকে আগুনের অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করছেন অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা। তাঁরা যাতে দেখতে পান সে জন্য হেলিকপ্টার থেকে আলো ফেলা হচ্ছে। ১১ জানুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

তিন দিনে ইরানের ৭২০ সামরিক স্থাপনা ধ্বংস: ইসরায়েল

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তেহরানে অন্তত ৮০টি লক্ষ্যবস্তুতে রাতভর হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলায় ডজনখানেক ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান অংশ নেয়। ইরানের রাজধানী তেহরানে টানা তৃতীয় দিনে এ হামলা চালানো হলো। খবর বিবিসির

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের হামলার লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে ছিল ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর, সামরিক গবেষণা ও উন্নয়ন শাখা বলে দাবি করা হয়েছে।

রয়টার্স এক সামরিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানায়, ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে ছিল দুটি ‘দ্বৈত-ব্যবহারের’ জ্বালানি কেন্দ্র। ওই জ্বালানি কেন্দ্র সামরিক ও পারমাণবিক কাজে ব্যবহার করা হতো।

আইডিএফ আরও জানিয়েছে, ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর অংশ হিসেবে তিন দিনের কম সময়ের মধ্যে তারা ইরানের ১৭০টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। ইরানের ৭২০টির মতো সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ