ঢাকায় বাসের ধাক্কায় সড়কে ছিটকে পড়ে প্রাণ গেল অন্তঃসত্ত্বার
Published: 10th, July 2025 GMT
রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ীর মেয়র হানিফ উড়ালসড়কে আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে এক নারী নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম মেহেরুন্নেসা ঝুমি (২৬)। তিনি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
মেহেরুন্নেসা স্বামী মুসা কলিমউল্লাহর সঙ্গে মোটরসাইকেলে চড়ে চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছিলেন। মুসা মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। মেহেরুন্নেসা পেছনে বসেছিলেন।
মুসা কলিমউল্লাহ আজ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথম আলোকে বলেন, স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে মগবাজারে আদ্–দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছিলেন তিনি। মেয়র হানিফ উড়ালসড়কে এলে মঞ্জিল পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে তাঁদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে স্ত্রীসহ তিনি ছিটকে পড়ে যান এবং দুজনই আহত হন।
গুরুতর আহত অবস্থায় মেহেরুন্নেসাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো.
এ ঘটনায় মুসা নিজেও সামান্য আহত হয়েছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। তিনি জানান, স্থানীয় বাসিন্দারা বাসটিকে আটক করে পুলিশের জিম্মায় দিয়েছেন।
মুসা মুঠোফোনের যন্ত্রাংশের ব্যবসা করেন। তিনি থাকেন মাতুয়াইলের মুসলিম নগরে। মুসা–মেহেরুন্নেসা দম্পতির চার বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সিনেটে ট্রাম্পের পছন্দের ব্যক্তিকে নাকানি-চুবানি
সিঙ্গাপুরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মনোনীত প্রার্থী অঞ্জনী সিনহা তার সিনেটের অনুমোদনের শুনানিতে রীতিমতো নাকানি-চুবানি খেয়েছেন। সিঙ্গাপুর সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে ‘অযোগ্য’ বলে আখ্যা দিয়েছেন এক সিনেটর।
বুধবার সিনেটর ট্যামি ডাকওয়ার্থ সিঙ্গাপুরের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দ্বীপরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে ডা. সিনহাকে প্রশ্ন করেন। এক পর্যায়ে ডাকওয়ার্থ বলতে বাধ্য হন, ডা. সিনহা এই পদের জন্য ‘অযোগ্য’ এবং তাকে ‘কিছু হোমওয়ার্ক’ করতে হবে। এই মতবিনিময় তখন থেকে সিঙ্গাপুরে ভাইরাল হয়ে যায় এবং অনলাইনে সমালোচনামূলক মন্তব্য আসে।
ভারতে জন্মগ্রহণকারী, ডা. সিনহা একজন অর্থোপেডিক এবং স্পোর্টস মেডিসিন সার্জন। তিনি বর্তমানে ফ্লোরিডায় বসবাস করেন এবং নিউ ইয়র্কে বেশ কয়েকটি ক্লিনিক চালু করেছিলেন। ডা, সিনহার মনোনয়নের ঘোষণা প্রথম মার্চ মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প করেছিলেন। ট্রাম্প তাকে ‘অত্যন্ত সম্মানিত উদ্যোক্তা’ হিসেবে প্রশংসা করেছিলেন।
সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির নিশ্চিতকরণ শুনানির সময় রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম ডা. সিনহাকে ‘এক দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বন্ধু’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন।
শুনানিতে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সিনেটর মিসেস ডাকওয়ার্থ ডা. সিনহাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত সম্পর্কে প্রশ্ন করেন। এর উত্তরে সিনহা প্রথমে ৮০ বিলিয়ন এবং পরে ১৮ বিলিয়ন বলেছিলেন।
সিনেটর ডাকওয়ার্থ বলেন, সঠিক উত্তর হচ্ছে ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার।
এরপর সিনহার কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি সিঙ্গাপুরবাসীকে ট্রাম্পের ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কীভাবে রাজি করাবেন। জবাবে সিনহা বিভিন্ন উত্তর দিয়েছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত বলেন, ‘সংলাপ এখনো শেষ হয়নি।’
ডাকওয়ার্থ তাকে সিঙ্গাপুরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ান নেশনস অ্যাসোসিয়েশন (আসিয়ান) আঞ্চলিক ব্লকের দেশটির আসন্ন চেয়ারম্যান পদ এবং সিঙ্গাপুরে মার্কিন নৌবাহিনীর উপস্থিতি সম্পর্কেও প্রশ্ন করেছিলেন। এর কোনোটিরই যথাযথ উত্তর দিতে পারেননি সিনহা।
শুনানি শেষে ডাকওয়ার্থ বিরক্ত হয়ে বলেন, “আমার মনে হচ্ছে আপনি এটাকে গুরুত্বের সাথে নিচ্ছেন না। আপনি মনে করেন এটি একটি গ্ল্যামার পোস্টিং, যেখানে আপনি সিঙ্গাপুরে একটি সুন্দর জীবনযাপন করতে যাচ্ছেন। অথচ আমাদের যা দরকার তা হচ্ছে এমন একজন যিনি আসলে কাজটি করতে পারেন। আপনি বর্তমানে এই পোস্টিংয়ের জন্য প্রস্তুত নন এবং আপনাকে কিছু হোমওয়ার্ক করতে হবে।”
শুনানির এই ভিডিও পোস্ট হওয়ার পরে ট্রাম্পের এই পছন্দের ব্যক্তির তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।
একজন মন্তব্যকারী লিখেছেন, “কোনটি সবচেয়ে খারাপ অপমান, শুল্ক নাকি তাকে সিঙ্গাপুরে রাষ্ট্রদূত হিসেবে রাখা?”
আরেকজন লিখেছেন, “এই লোকটি রাষ্ট্রদূত হওয়ার জন্য অনেক বেশি বিব্রতকর।”
ঢাকা/শাহেদ