ছয় ম্যাচে কোনো হার নেই রংপুর রাইডার্সের। প্রতিপক্ষ হিসেবে সামনে যে-ই এসেছে তাদের স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে তারা। মুখোমুখি লড়াইয়ে এবার তাদের প্রতিপক্ষ খুলনা টাইগার্স। দুই দলের প্রথম দেখা এবারই। 

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে অবশ্য রংপুর ঠিক রংপুরের মতো করে আগাতে পারছিল না। মান রাখতে পারছিল না। টপ অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতায় এলোমেলো লাগছিল তাদের স্কোরবোর্ড। 

এর বড় কারণ তাদের বিদেশি ওপেনার অ্যালেক্স হেলসের অনুপস্থিতি। বিপিএল পর্ব রাঙিয়ে হেলস এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইএল টি-টোয়েন্টিতে। তার শূন্যতা শুরুতে টের পেয়েছে বিপিএলের সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। 

আরো পড়ুন:

রেকর্ড রানে জেতার ম্যাচে ঢাকার প্রাপ্তি লিটন-তানজিদের সেঞ্চুরি

লিটন-তানজিদের জোড়া সেঞ্চুরিতে রেকর্ডের মালা

১০.

৩ ওভারে রংপুরের রান ৩ উইকেটে ৭০। পরের চার ওভারে কোনো উইকেট না হারলেও যোগ হয় মাত্র ৩৫ রান। ১৪ ওভারে দলের রান ১০৫। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো শুরু। পরের ৬ ওভারে রীতিমত তান্ডব চালিয়ে খুশদীল শাহ স্কোরবোর্ডে হাসি ফিরিয়েছেন। 

বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ৩৫ বলে ৭৩ রান করেন ৪ চার ও ৬ ছক্কায়। ২০৮.৫৭ স্ট্রাইক রেটে সাজানো ইনিংস দিয়ে রংপুরের পুঁজিতে রান ৫ উইকেটে ১৮৬। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেওয়া ইফতেখার আহমেদ ৩৬ বলে ৫ চারে ৪৩ রান করেন। এই দুই পাকিস্তানি ক্রিকেটার ৫৭ বলে ১১৫ রানের জুটি গড়েন। তাতেই পার্থক্য তৈরি হয়।

১৫তম ওভারে নাসুমকে চারটি ছক্কা হাঁকান খুশদীল। তার ওই ওভারেই রংপুরের বড় স্কোরের পথে হাঁটা শুরু হয়। পরের ওভারে আবু হায়দারকে একটি করে ছক্কা ও চার উড়ান। 

হেলসের পরিবর্তে ওপেনিংয়ে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের টেলর। কিন্তু ৮ বলে ১টি করে চার ও ছক্কায় ১৩ রান করেন। আরেক ওপেনার তৌফিক খান ৩০ বলে ৩৬ রান করেন ৪ চার ও ১ ছক্কায়। তিনে নামা সাইফ হাসান মাত্র ৭ রান করে বোল্ড হন হাসান মাহমুদের বলে। এরপর ইফতেখার ও খুশদীলের দায়িত্বশীল ইনিংসে বড় পুঁজি পেয়েছে রংপুর। এবার বোলারদের পালা জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার। 

বল হাতে খুলনার হয়ে আবু হায়দার রনি ও হাসান মাহমুদ ২টি করে উইকেট নেন। 

ঢাকা/ইয়াসিন

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

‘হাদির ওপর হামলাকারীর শেকড় যতই শক্তিশালী হোক উপড়ে ফেলা হবে’

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘‘ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীর শেকড় যতই শক্তিশালী হোক না কেন তা উপড়ে ফেলা হবে। হাদি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক। আজ তিনি সন্ত্রাসীদের গুলিতে চিকিৎসাধীন। আমরা তার জন্য কায়মনোবাক্যে দোয়া করি।’’

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মালিথিয়া গ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আয়োজনে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

হাদির ওপর গুলির ঘটনাটি বিচ্ছিন্ন উল্লেখ করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বকে ধ্বংস করতে পতিত স্বৈরাচারের সন্ত্রাসী বাহিনী টার্গেট করেছে। কিন্তু, তারা সফল হবে না।’’

আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে দাবি করে তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশন বদ্ধ পরিকর। আগামী নির্বাচনে মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবে। জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে এবারের নির্বাচনে।’’

ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ