রিয়াল–বার্সার ট্রফি কেসে আছে ‘ছোট বিশ্বকাপ’ও
Published: 11th, July 2025 GMT
২০০০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন করে ফিফা। এর আগে অবশ্য ‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন’ ছিল ক্লাব ফুটবলে। ১৯৬০ সাল থেকেই যে প্রতিবছর ইউরোপিয়ান কাপ ও কোপা লিবার্তাদোরেস চ্যাম্পিয়নরা বিশ্বসেরা ক্লাব হতে মুখোমুখি হতো ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে। ২০০০ সালে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পরও ২০০৪ সাল পর্যন্ত চালু ছিল ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকার চ্যাম্পিয়নদের শ্রেষ্ঠত্বের এই লড়াই।
তবে শুধু এই দুই টুর্নামেন্টই নয়, পেকেনিয়া কোপা দেল মুন্দো বা ছোট বিশ্বকাপ নামেও একটি ক্লাব ফুটবলের বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট ছিল। ১৯৫২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ১৩ বার হয়েছে সেই ছোট বিশ্বকাপ। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলা আয়োজন করত সেই টুর্নামেন্টে। যে প্রতিযোগিতায় অংশ নিত রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মতো দলও। ১৯৫২ সালে প্রথম টুর্নামেন্টে ব্রাজিলের বোতাফোগোকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় রিয়াল মাদ্রিদ। ১৯৫৬ সালেও চ্যাম্পিয়ন হয় স্প্যানিশ ক্লাবটি। ১৯৫৭ সালে চ্যাম্পিয়ন হয় আরেক স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা।
১৯৫৫ সালে ইউরোপিয়ান কাপ শুরু হওয়ার পর গুরুত্ব হারায় এই টুর্নামেন্ট। এরপর অনিয়মিত হয়ে পড়ে। ১৯৬০ সালে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ চালুর পর মোটামুটি কোমায় চলে যায় ছোট বিশ্বকাপ। পরের ১৫ বছরে মাত্র সাতবার আয়োজনের পর চিরতরে বন্ধই হয়ে যায় ছোট বিশ্বকাপ। শেষ ছোট বিশ্বকাপ জয়ী দলটি কিন্তু আবার কোনো ক্লাব নয়, পূর্ব জার্মানি জাতীয় দল। ফাইনালে পর্তুগালের বোয়াভিস্তাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পূর্ব জার্মানরা।
আরও পড়ুনএক মৌসুমে দুই ক্লাবের সর্বোচ্চ গোলদাতা০৪ জুলাই ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ ট ব শ বক প
এছাড়াও পড়ুন:
চলে গেলেন পাকিস্তানের বিখ্যাত মোহাম্মদ ভাইদের বড়জন
চলে গেলেন ক্রিকেটের মোহাম্মদ ভাইদের সবচেয়ে বড়জন। হানিফ মোহাম্মদ ও মুশতাক মোহাম্মদদের ভাই সাবেক ক্রিকেটার ওয়াজির মোহাম্মদ আজ ৯৫ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে মারা গেছেন। তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পিসিবির এক্স হ্যান্ডলে বলা হয়, ‘পাকিস্তানের সাবেক টেস্ট ব্যাটসম্যান ওয়াজির মোহাম্মদের মৃত্যুতে পিসিবি গভীরভাবে শোকাহত। মোহাম্মদ ভাইদের মধ্যে চারজন টেস্ট ক্রিকেটে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৫২ থেকে ১৯৫৯ সালের মধ্যে তিনি দেশের হয়ে ২০টি টেস্ট খেলেন। তার পরিবার ও বন্ধুদের সমবেদনা জানাচ্ছে পিসিবি।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাকিস্তানের শুরুর দিনগুলোয় টেস্টে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন সাবেক ব্যাংকার ওয়াজির। তাঁরা মোট পাঁচ ভাই। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলা রাইস মোহাম্মদই শুধু টেস্ট খেলেননি। মোহাম্মদ ভাইদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত পাকিস্তানের হয়ে ৫৫ টেস্ট খেলা কিংবদন্তি হানিফ মোহাম্মদ মারা গেছেন ২০১৬ সালে। মুশতাক মোহাম্মদ পাকিস্তানের হয়ে ৫৭ টেস্ট খেলেছেন। আরেক ভাই সাদিক মোহাম্মদ ৪১ টেস্ট খেলেন পাকিস্তানের হয়ে।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ২০১৬ সালে ইসরার আলীর মৃত্যুর পর ওয়াজিরই ছিলেন পাকিস্তানের জীবিত থাকা সবচেয়ে বেশি বয়সী টেস্ট ক্রিকেটার। ১৯৫২ সালে প্রথম টেস্ট সিরিজ খেলতে ভারত সফরে যাওয়া পাকিস্তান দলের অংশ ছিলেন ওয়াজির।
লোয়ার-মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ২৭.৬২ গড় ওয়াজির প্রতিভার প্রতি সুবিচার করে না। তবে পঞ্চাশের দশকে টেস্টে পাকিস্তানের শুরুর দিনগুলোতে বেশ কিছু সাফল্যে তাঁর বড় অবদান আছে। ১৯৫৪ সালে ওভাল টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের ২৪ রানের জয়ে বড় ভূমিকা ছিল ওয়াজিরের। পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬০ মিনিট ক্রিজে থেকে তাঁর ৪২ রানের ইনিংসটি পাকিস্তানকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেয়। প্রথম দল হিসেবে ইংল্যান্ডে প্রথম সফরেই টেস্ট জয়ের নজির সেই সফরে গড়েছিল পাকিস্তান। দুই বছর পর করাচিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তানের ৯ উইকেটের জয়ে প্রথম ইনিংসে ৬৭ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন ওয়াজির।
আরও পড়ুন৩৪ বলের ফিফটিতে স্বর্ণার রেকর্ড, বাংলাদেশ ২৩২১ ঘণ্টা আগে১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর পাকিস্তান ক্রিকেটে বেশ কিছু কারণে স্মরণীয়। সেই সফরে গ্যারি সোবার্স যেমন ৩৬৫ রানের রেকর্ড গড়েন, তেমনি হানিফও খেলেন ৩৩৭ রানের মহাকাব্যিক এক ইনিংস। সেই সফরে ওয়াজির ৫ টেস্টে দুই সেঞ্চুরিসহ ৪৪০ রান করেন। পোর্ট অব স্পেনে পাকিস্তানের ইনিংস ও ১ রানের জয়ে দলের প্রথম ইনিংসে ১৮৯ রান করেন ওয়াজির।
১০৫টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৪০.৪০ ব্যাটিং গড়ের ওয়াজিরকে পাকিস্তান ক্রিকেটে আদর করে ‘উইজডেন’ নামে ডাকা হতো। কারণ ক্রিকেটের অনেক খুঁটিনাটি পরিসংখ্যান তাঁর ঠোঁটের ওপরে থাকত। ভাই মুশতাকের মতো ওয়াজিরও ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে বসবাস করতেন।
ওয়াজির মোহাম্মদ, হানিফ মোহাম্মদ, মুশতাক মোহাম্মদ ও সাদিক মোহাম্মদ মিলে টেস্ট খেলেছেন মোট ১৭৩টি। হানিফ মোহাম্মদের ছেলে শোয়েব মোহাম্মদের ৪৫ টেস্টও যোগ করলে মোহাম্মদ পরিবারে মোট টেস্টের সংখ্যা দাঁড়ায় ২১৮। ১৯৬৯ সালে করাচিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে একসঙ্গে তিন ভাই হানিফ, সাদিক ও মুশতাক পাকিস্তান দলে খেলেন। যা টেস্ট ইতিহাসে তিন ভাইয়ের একসঙ্গে টেস্ট খেলার তৃতীয় ঘটনা।
আরও পড়ুন১৬ রানে শেষ ৫ উইকেট নেই পাকিস্তানের, স্বস্তিতে নেই দক্ষিণ আফ্রিকাও১ ঘণ্টা আগে