১০ বছর পর রঞ্জি ট্রফিতে খেলবেন রোহিত!
Published: 14th, January 2025 GMT
বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজটি ভুলে যেতে চাইবেন রোহিত শর্মা। যেটি তার কেটেছে দুঃস্বপ্নের মতো। যেখানে তিনি তিন টেস্ট খেলে রান করেছিলেন মাত্র ৩১টি। সিরিজ শেষে অনেকেই রোহিত ও বিরাট কোহলিকে পরামর্শ দিয়েছিলেন রঞ্জি ট্রফিতে খেলতে।
এবার সেই পথেই কি হাঁটছেন রোহিত? ভারতের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মুম্বাইর রঞ্জি ট্রফি দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে চেয়েছেন ভারতের অধিনায়ক। যাতে করে তিনি তার টেস্টের ফর্ম ফিরে পান।
এ বিষয়ে মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘‘মুম্বাইর রঞ্জি দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন রোহিত। তিনি এ বিষয়ে প্রধান কোচ ওমকার সালাভির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং জানতে চেয়েছেন রঞ্জি ট্রফির পরবর্তী ম্যাচের জন্য কবে থেকে তারা অনুশীলন শুরু করবে। পরের ম্যাচ শুরু হতে এখনও দশদিন বাকি।’’
আরো পড়ুন:
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি-২০২৫
বাভুমার নেতৃত্বে দ.
পিএসএলে দল পেলেন রিশাদও
আগামী ২৩ জানুয়ারি রঞ্জি ট্রফির পরবর্তী রাউন্ড শুরু হবে। সেক্ষেত্রে আজ মঙ্গলবার থেকে অনুশীলন শুরু করবে মুম্বাই। আর মুম্বাইর অনুশীলনে দেখা যেতে পারে রোহিতকে।
অবশ্য ২০১৫ সালের পর রোহিতকে আর রঞ্জি ট্রফিতে খেলতে দেখা যায়নি। দশ বছর পর রোহিত কি তাহলে রঞ্জি ট্রফিতে খেলবেন? অবশ্য মুম্বাইর হাতে যথেষ্ট সময় আছে পরবর্তী ম্যাচগুলোর জন্য দল নির্বাচন করার। এখন দেখার বিষয় রোহিত সেই দলে থাকেন কিনা।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের পরবর্তী শুনানি বুধবার
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের (রিভিউ) ওপর পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার দিন রেখেছেন আপিল বিভাগ। আজ মঙ্গলবার শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ১৮ মে শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ শুনানির জন্য ১ জুলাই দিন ধার্য করেছিলেন। ধার্য তারিখে বিষয়টি শুনানির জন্য রিভিউ আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবীর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ১৫ জুলাই পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। আজ বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ৭ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সংশোধন করে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। পরে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক পদধারীদের পদক্রম ওপরের দিকে রাখা ও অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়। পাশাপাশি জেলা জজদের পদক্রম আট ধাপ উন্নীত করে সচিবদের সমান করা হয়।
আপিল বিভাগের রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতির পদক্রম এক ধাপ উন্নীত করে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সমান এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ও মহান স্বাধীনতাসংগ্রামে অংশগ্রহণ করে যে মুক্তিযোদ্ধারা বীর উত্তম খেতাব পেয়েছেন) পদক্রমে যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়।
ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তৎকালীন চেয়ারম্যান ২০১৭ সালে পৃথক আবেদন করেন। রিভিউ আবেদনে রাষ্ট্রের ৯০ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পক্ষভুক্ত হন। পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের ওপর গত ২৭ এপ্রিল শুনানি শুরু হয়।
আজ আদালতে রিভিউ আবেদনকারী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন শুনানি করেন। রিট আবেদনকারী পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম শুনানিতে অংশ নেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে তা সংশোধন করা হয়।
সর্বশেষ সংশোধন করা হয় ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে। সংশোধিত এই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ, সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচের ক্রমিকে রাখা হয়েছে—এমন উল্লেখ করে এর বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ২০০৬ সালে রিট করেন।
রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট আট দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (সংশোধিত) অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালে করা আবেদনের ওপর শুনানি চলছে।