সংস্কার নিয়ে যৌথভাবে কাজ করবে সিপিডি ও ডেনমার্ক
Published: 14th, January 2025 GMT
ডেনমার্ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) একটি নতুন কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষর করেছে। কার্যক্রমটি গবেষণা, সংলাপ ও নীতি সমর্থনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সংস্কার এবং সবুজ রূপান্তর এজেন্ডার ওপর জোর দেবে। মঙ্গলবার বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনিশ রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার ও সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড.
ডেনিশ রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার বলেন, এখন সময় এসেছে প্রাতিষ্ঠানিক শক্তিশালীকরণ, সুশাসন এবং বাংলাদেশের সব প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রমকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করে তোলার জন্য কাজ করার। সিপিডি বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশের রূপান্তর প্রক্রিয়া সহজতর করার জন্য সরকারকে বিভিন্ন নীতি-পরামর্শ দিয়ে আসছে। তারা বিশ্বাস করেন, এই কার্যক্রম নীতিনির্ধারকদের জন্য অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন এবং মধ্যম আয়ের ফাঁদের চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে ওঠার সম্ভাব্য উপায় নিয়ে সঠিক দিকনির্দেশনা দেবে।
ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, সিপিডিকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শক্তিশালীকরণে ডেনমার্কের এই সমর্থনের জন্য আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ২০১৯ সালেও ডেনমার্ক সিপিডির প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থায় অবদান রেখেছিল। ডেনিশ সরকার ধারাবাহিকভাবে আইনের শাসন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করে আসছে। এটি একটি সময়োপযোগী কার্যক্রম। কারণ, আমরা একটি রূপান্তরের সময় পার করছি এবং দেশের জন্য কাঠামোগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তনের আশা করছি। আমরা মনে করি, আমাদের এই কার্যক্রম চলমান সংস্কার প্রক্রিয়ার জন্য সহায়ক হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন এই কার্যক্রম বিভিন্ন অংশীজন, নীতিনির্ধারক, ছাত্র, সরকারি কর্মকর্তা এবং অন্যান্য দায়িত্বশীল অংশীজনের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তনের প্রত্যাশা করছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
শত্রুতার জেরে সাত গরুকে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ, মারা গেছে ৩টি
গোপালগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তিনটি গরু হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আরো চারটি গরু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ফলে দুই কৃষক পরিবারের অন্তত পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। গত শনিবার (১ নভেম্বর) মধ্যরাতে সদর উপজেলার সিংগারকুল পূর্বপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ ও পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কীভাবে গরুগুলো মারা গেছে তা খতিয়ে দেখতে নমুনা সংগ্রহ করেছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। পুলিশ বলছে, তারা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।
আরো পড়ুন:
নামাজরত বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, ৩ পুলিশ আহত
গাইবান্ধায় ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা: মামলা দায়ের
এলাকাসাসী জানান, সিংগারকুল পূর্বপাড়া গ্রামের দুই ভাই মো. রাসুল গাজী ও হাসিব গাজী কৃষি কাজ করে সংসার চালান। তারা খামার করে কয়েকটি গরু লালন-পালন করছেন। শনিবার মধ্যরাত সাড়ে ১২টার দিকে গরুর গোঙানির শব্দ শুনে পাশের বাড়ির এক আত্মীয় ছুটে গিয়ে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন দুই ভাইকে। তারা স্থানীয় পশু চিকিৎসককে খবর দেন। সকাল হওয়ার আগেই তিনটি গরু মারা যায়। একই গোয়াল ঘরে থাকা একটি বড় ষাঁড়, একটি বাছুর ও অপর গোয়ালে থাকা দুটি ষাঁড় এখনো অসুস্থ।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মো. রাসুল গাজী জানান, শত্রুতা করেই খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে তাদের গরুগুলোকে হত্যা করা হয়েছে। রাতেই টের পেয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেও বাঁচানো যায়নি গরুগুলো। দুই ভাইয়ের আরো চারটি গরু অসুস্থ রয়েছে। এতে তাদের অন্তত ৫-৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
তিনি জানান, এ ঘটনায় সদর থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
কারা তাদের গরু হত্যা করেছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাসুল গাজী বলেন, “ঘর থেকে বের হয়ে কয়েকজনকে দৌঁড়ে যেতে দেখেছি। তাদের চেহারা দেখতে পারিনি। ফলে কাউকে চিনতে পারিনি।”
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক হাসিব গাজী বলেন, “কারো সঙ্গে আমাদের শত্রুতা থাকতেই পারে। এই অবলা পশুগুলো কার কী ক্ষতি করেছে। কোন অপরাধে এদের হত্যা করা হলো। আমরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
এলাকাবাসী মো. ইমদাদ শেখ বলেন, “গত শনিবার রাতে বৃষ্টি হয়। এই সুযোগে গরুগুলোকে বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা চাই দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।”
গোপালগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোবিন্দ চন্দ্র সর্দার বলেন, “সিংগারকুল পূর্বপাড়া গ্রামে কয়েকটি গরুকে বিষ খাওয়ানো হয় এমন খবর পেয়ে সকালে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যান। তিনি অসুস্থ গরুগুলোকে চিকিৎসা দেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পয়জনজনিত কারণেই গরুগুলো মারা গেছে। মারা যাওয়া গরুর নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই গরু তিনটির মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, “আমি ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে তদন্ত শুরু করি। মারা যাওয়া গোরুগুলোর নমুনা সংগ্রহ ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/বাদল/মাসুদ