বর্ষার দিনে শরীরের বিভিন্ন অংশে লাল লাল দানা দেখা দিতে পারে। এই সময় শরীরে বেশি চুলকানি দেখা দেয় এবং অস্বস্তি তৈরি করে। বর্ষায় শরীরে হাইড্রেশন বজায় রাখার পাশাপাশি আরও কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি।  

এক. বৃষ্টিতে জুতো ভিজে গেলে ভেজা জুতো পায়ে বেশিক্ষণ একেবারেই রাখা উচিত নয়। সুযোগ থাকলে পা থেকে জুতো খুলে বসুন। এমনটা সম্ভব না হলে অন্তত মোজাটা বদলে পা ভাল করে মুছে নিন। বর্ষাকালে জল-কাদায় পা ভিজে গিয়ে পায়ের পাতায় সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। তাই এ সময়ে বাড়ি ফিরে ভাল করে গরম জলে পা ডুবিয়ে রাখুন কিছু ক্ষণ।

দুই.

বর্ষার অন্যতম সমস্যা জামাকাপড় ভিজে যাওয়া। ব্যাগে শুকনো জামা রাখুন। গন্তব্যে গিয়ে তা বদলে ফেলতে পারলে খুবই ভাল হয়। অতিরিক্ত মোজাও রাখুন ব্যাগে। ভিজে পোশাক গায়ে শুকোনো বা এসিতে শুকিয়ে নেওয়া একেবারেই ঠিক কাজ নয়। এই অভ্যাসের কারণেই শরীরে ছত্রাকের সংক্রমণ হয়।

আরো পড়ুন:

ভাইরাস জ্বর হলে কী করবেন, কী করবেন না

সাইনাসের সমস্যা দূর করতে যে কাজটি করা দরকার

তিন. অন্তর্বাস বাছার সময়েও সতর্ক হোন। বর্ষায় কোনও ভাবেই স্যাঁতসেঁতে কিংবা ভিজে অন্তর্বাস পরবেন না। অন্তর্বাসের ভেজা দিক ত্বকের সংস্পর্শে এলে ঘর্ষণের ফলে ছত্রাকঘটিত সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায়। বর্ষায় গুমোট আবহাওয়া বা কড়া রোদের কারণে ভালই ঘাম হয়। তাই চেষ্টা করুন সুতির পোশাক বাছতে। সুতির অন্তর্বাসই পরার চেষ্টা করুন।

চার. বৃষ্টি ভিজলে বাড়ি ফিরেই গরম জল-সাবান দিয়ে স্নান সারুন। মাথায় বৃষ্টির জল বসে গেলে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা তো আছেই, সঙ্গে বৃষ্টির জল থেকে মাথার ত্বকেও ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটতে পারে। বৃষ্টিতে ভিজে গেলে মাথায় শ্যাম্পু করে নেওয়াই শ্রেয়।

পাঁচ. সংক্রমণ ঠেকাতে ত্বক ভেতর থেকেও সুস্থ রাখতে হবে। এই সময় ডায়েটের দিকেও নজর দিতে হবে। বিশেষ করে ভিটামিন সি যুক্ত ফল, সবুজ শাকসবজি বেশি করে খান। এ ছাড়া বেশি তেল রয়েছে, এমন মাছ যেমন রুই, কাতলা বেশি করে খান। এসব মাছে থাকা ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকে কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে।  যার প্রভাবে ত্বকের জেল্লাভাব বজায় থাকে।

উল্লেখ্য, র‍্যাশ দীর্ঘস্থায়ী হলে এবং এর সঙ্গে জ্বর বা অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চর্মবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব স থ যকর জ বন যত ন প য় র যত ন স ক রমণ বর ষ য়

এছাড়াও পড়ুন:

তেলবাহী ট্যাংকারের সঙ্গে ঝুলছিল যুবকের মরদেহ

ফেনীর দাগনভূঞায় তেলবাহী ট্যাংকার লরির সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থান এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বসুরহাট রোডের নতুন পোলের পাশে ভূঁইয়া এলপিজি ফিলিং স্টেশন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত যুবকের নাম সুজন চন্দ্র ভৌমিক (৪০)। তিনি নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর ফকিরা ইউনিয়নের চরখালী গ্রামের প্রফুল্ল কুমার ভৌমিকের ছেলে। সুজন ভূঁইয়া এলপিজি ফিলিং স্টেশনে কর্মরত ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী, ফিলিং স্টেশন ও পুলিশ সূত্র জানায়, সুজন রাতে কাজ শেষে দিনে একটি দোকান পরিচালনা করতেন। আজ সকালে স্থানীয় লোকজন পাম্প ভবনের উত্তর পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা তেলের গাড়ির রেলিংয়ের সঙ্গে সুজনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠান।

ফিলিং স্টেশনের মালিক আবুল হোসেন ভূঁইয়া জানান, ‘সুজনের কাছে আমি প্রায় তিন লাখ টাকার বেশি টাকা পেতাম। তিনি টাকা না দেওয়ায় ফিলিং স্টেশনের কাজে আসতে নিষেধ করেছিলাম। এরপরের বিষয়গুলো আমার জানা নেই।’

নিহত সুজনের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁর বাবা সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবং মা ভারতে থাকেন। সুজন নোয়াখালীর বাড়িতে একাই থাকতেন।

দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহিদ পারভেজ জানান, ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে—এটি হত্যা না আত্মহত্যা। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা চলমান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ