নিখোঁজের ৫৫ ঘণ্টা পার হলেও এখনো সন্ধান মেলেনি দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি থেকে পদ্মা নদীতে লাফ দেয়া তরুণী ফজিলাতুন নেছার (৩০)। বুধবার বিকেল ৫টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর এমরান মাহমুদ তুহিন।

এর আগে গত সোমবার বেলা ১১টার দিকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা দৌলতদিয়া ঘাটগামী বাইগার নামের একটি ফেরি থেকে ওই তরুণী পদ্মা নদীতে লাফ দেয়। ফজিলাতুন নেছা সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

ওই ফেরিতে থাকা কুষ্টিয়াগামী লালন পরিবহনের সুপারভাইজার সাইদুল ইসলাম বলেন, পাটুরিয়া ঘাট থেকে ফেরিটি দৌলতদিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে এসে মাঝ নদীতে পৌঁছার পর বাম পাশের পকেটের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা বোরকা পরিহৃত এক তরুণী পদ্মা নদীতে লাফ দেয়। ঘটনাটি সবার চোখের সামনে ঘটলেও কারো কিছুই করা ছিল না।

দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এমরান মাহমুদ তুহিন বলেন, খবর পাওয়ার পর থেকেই নৌপুলিশ পদ্মা নদীতে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেও সফল হয়নি। ওই তরুণীর পরিবারের লোকজন এসেছিল, তারা জানিয়েছেন তরুণীর মানসিক সমস্যা ছিল। পদ্মা নদীতে নৌ পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে। নিখোঁজের সন্ধান পাওয়া গেলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পদ ম

এছাড়াও পড়ুন:

কিউকমের সিইও রিপন কারাগারে, রিমান্ড শুনানি বুধবার

প্রতারণা করে ৩৪ গ্রাহকের ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় ই-কমার্স কোম্পানি কিউকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রিপন মিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আগামীকাল বুধবার তাঁর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ আদেশ দেন বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক জাকির হোসেন জানিয়েছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক আনিসুর রহমান মোড়ল আজ রিপন মিয়াকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। তবে আদালত রিমান্ড শুনানির জন্য আগামীকাল দিন ধার্য করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গতকাল সোমবার রাত ১২টার দিকে খিলক্ষেত থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩০০ ফিট এলাকা থেকে রিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রতারণা করে ৩৪ গ্রাহকের ১ কোটি ৩০ লাখ ৩ হাজার ৭৮৯ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সুজন মিয়া নামের একজন তাঁর বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় মামলা করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০২১ সালের ৩০ মে থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে তাঁরা ৩৪ জন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলসহ নানা পণ্য কেনার জন্য টাকা দেন। শর্ত অনুযায়ী ৭ থেকে ৩৫ কার্যদিবসের মধ্যে মোটরসাইকেল ডেলিভারি দেওয়ার কথা থাকলেও পণ্য বা টাকা ফেরত দেয়নি কিউকম। অফিসে যোগাযোগ করেও তাঁরা সাড়া পাননি। আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বললে তারা বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়।

এ মামলায় গত ১১ আগস্ট গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন প্রতিষ্ঠানটির জিএম অ্যান্ড হেড অব অফিসার মোহাম্মদ আমানউল্লাহ খান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ