পাকাকরণের মেয়াদ শেষ হলেও কাজই শুরু হয়নি
Published: 16th, January 2025 GMT
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার উলুকান্দি পাঠানবাড়ি থেকে শ্রী নারায়ণকান্দি সড়ক পাকাকরণের মেয়াদ শেষ হলেও কাজই শুরু করেননি ঠিকাদার। এতে তিন গ্রামের ১৫ হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ে নির্মাণকাজ শুরু না করলেও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে রহস্যজনক কারণে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, বলরামপুর ইউনিয়নের উলুকান্দি পাঠানবাড়ি থেকে শ্রী নারায়ণকান্দি পর্যন্ত রাস্তাটির বক্স কাটা হয়েছে। আশপাশের বাড়ির ব্যবহৃত পানি কিছু কিছু অংশে জমে আছে। রাস্তাটির প্রথম অংশের একটু পর পর প্রায় এক বছর আগে ঠিকাদারের রাখা কংক্রিট দেখা গেলেও দুর্বা ঘাসে ঢেকে গেছে। রাস্তাটি বক্স কাটা থাকায় দুটি গাড়ি পার হতে পারে না। এ রাস্তা দিয়ে উলুকান্দি, উত্তর নারায়ণকান্দি ও দক্ষিণ নারায়ণকান্দির গ্রামের লোকজন উপজেলা সদরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করে।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যলয়ের তথ্যমতে, বলরামপুর ইউনিয়নের উলুকান্দি থেকে শ্রী নারায়ণকান্দি সড়কের ৮০০ মিটার পাকাকরণের জন্য দরপত্র আহ্বান করেন।
মেসার্স তন্বী এন্টারপ্রাইজ ৮২ লাখ ৮৩ হাজার ৪৩৯ টাকায় কাজটি পায়। ২০২৩ সালের ২ জুলাই কার্যাদেশ দেওয়া হয়। যার মেয়াদ ছিল ২০২৪ সালের ১ এপ্রিল পর্যন্ত। বিষয়টি একাধিক প্রকল্প পর্যালোচনা সভায় উত্থাপন করার পর প্রকল্প রেজ্যুলেশনে কাজটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিকে নির্মাণকাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও কাজটি বাতিল করা হয়নি। নেওয়া হয়নি ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা।
উলুকান্দি ও শ্রী নারায়ণকান্দি গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান, রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য দুই গ্রামবাসী একাধিকবার বৈঠক করেছিল। ঠিকাদার রাস্তার কাজ শুরুও করেছিলেন। রাস্তার মাটি দুই পাশে নেওয়ার পর ঠিকাদারকে আর দেখা যায়নি।
মেসার্স তন্বী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোফাজ্জল হোসেন বলেন, উলুকান্দি গ্রামের দুই পক্ষের সীমানা নিয়ে মামলা জটিলতার কারণে কাজটি যথাসময়ে শেষ করা যায়নি। তবে নতুন করে কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের লোকজন রাস্তাটি পরিদর্শন করে সিদ্ধান্ত জানালে কাজ শুরু করা হবে।
তিতাস উপজেলা প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামের ভাষ্য, চূড়ান্ত নোটিশের পর কাজটি বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছিল। জমি বরাদ্দ নিয়ে সমস্যার কারণে প্রকল্পটি বাতিল না করে স্থিতিবস্থায় রাখা হয়েছিল। এ সমস্যা সমাধানে কয়েক দফা বৈঠক করা হয়। সে সমস্যার সমাধান হয়েছে। দ্রুতই এ রাস্তার কাজ শুরু হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।
সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।
জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।
তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।
এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ রিকোভারীবৃন্দ।