খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, বিইউআরপি ও বি.আর্ক কোর্সের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে (https://adm.kuet.ac.bd) এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। 

দীর্ঘ চার বছর পর স্বতন্ত্রভাবে গত ১১ জানুয়ারি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ১৬টি বিভাগের ১ হাজার ৬৫টি আসনের বিপরীতে ২২ হাজার ৬৬১ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।

মেধাক্রম অনুযায়ী ১ থেকে ৯৯৩৩ পর্যন্ত শিক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। মেধাস্থানপ্রাপ্ত সকল শিক্ষার্থীকে আগামী ২৭ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২ টার মধ্যে (https://adm.

kuet.ac.bd) লিংকে প্রবেশ করে Online Choice From এর প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করে বিভাগের পছন্দক্রম প্রদান করতে হবে।

প্রথম পর্যায়ে ইঞ্জিনিয়ারিং  বিভাগ এবং ইউআরপি বিভাগে মেধাক্রম ১ থেকে ১০২০ পর্যন্ত, আর্কিটেকচার বিভাগে মেধাক্রম ১-৪০ পর্যন্ত, বান্দরবান জেলা মেধাক্রম ১ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য মেধাক্রম ১-৪ স্থান অর্জনকারীকে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি রোববার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টার মধ্যে উপস্থিত থেকে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।

এছাড়া মেধা তালিকা (দ্বিতীয় বার) থেকে ভর্তি (প্রয়োজন সাপেক্ষে) ৯ মার্চ এবং মেধা তালিকা (তৃতীয় বার) থেকে (প্রয়োজন সাপেক্ষে) ১৫ এপ্রিল ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন আগামী ২৪ এপ্রিল এবং একাডেমিক ক্লাস শুরু হবে ২৭ এপ্রিল।

গত বছর শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফি ছিল ১৮ হাজার ৫০০ টাকা। কিন্তু শিক্ষার্থীদের আর্থিক বিষয়টি বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদের সভপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংশ্লিষ্ট কমিটির সভায় এবারের ভর্তি ফি কমিয়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ