সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার এনসিটিবি কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভে Students for Sovereignty" এর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে প্রতিবাদী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ প্রতিবাদী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন থেকে হামলা ও পুলিশের নিরব ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানানো হয় এবং সকল জাতিসত্তার সাংবিধানিক স্বীকৃতি নিশ্চিত করার দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন তোলারাম কলেজের শিক্ষার্থী এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্র দল নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজীজুল ইসলাম রাজীব, ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান, বাধন তোলারাম কলেজ পরিবারের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম সম্পাদক নিরব রায়হান, তোলারাম কলেজ শহীদ মানিক-রহমান-পান্থ-নাঈম স্মৃতি সংসদ এর সংগঠক মুন্নি আক্তার প্রত্যাশা, তোলারাম কলেজ ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি আশিকুজ জামান অনু, তোফায়েল আহমেদ, জাকারিয়া, হাসান, খেলাফত মজলিসের নেতা জাহিদ হাসান সহ তোলারাম কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

মানবন্ধনে আজীজুল ইসলাম রাজীব তার বক্তব্যে বলেন, গতকালকের হামলার ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ যেমন ছাত্রদের আন্দোলনে লাঠিসোঁটা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তো, তেমনি 'ঝঃঁফবহঃং ভড়ৎ ঝড়াবৎবরমহঃু' পাহাড়ি ছাত্রদের উপর হামলা করেছে। আমরা মনে করি, এই হামলায় উগ্র জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার করতে হবে এবং পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

সাইদুর রহমান বলেন, সকল জাতিসত্তার সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার যৌক্তিক আন্দোলনে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ সকল জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গের জন্য সমান। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে সকল সংগ্রামে বাঙালি ও আদিবাসীরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছে। পাঠ্যপুস্তক থেকে 'আদিবাসী' শব্দ মুছে দেওয়া অত্যন্ত নিন্দনীয়।

আমিনুল ইসলাম বলেন, সকল যুক্তি-তর্কের ঊর্ধ্বে হামলাকারীদের বিচারের বিষয়টি আগে নিশ্চিত করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক শ্রেষ্ঠা তনচঙ্গার উপর যেই বর্বরোচিত হামলা হয়েছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। দ্রুত তদন্ত এবং বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

মানববন্ধন থেকে শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধভাবে নিজেদের দাবি পূরণের আহ্বান জানান এবং সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার যৌক্তিক আন্দোলনের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ত ল র ম কল জ ন শ চ ত করত ন শ চ ত কর ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের উপর অটো চালকদের হামলা, আহত ২০

নারায়ণগঞ্জ শহরে যানজট নিরসনে সড়কে কাজ করা শিক্ষার্থীদের ওপর ব্যাটারিচালিত রিকশা (ইজিবাইক) চালকরা হামলা চালিয়েছে। এ নিয়ে ইজিবাইক চালকদের সাথে সংঘাতে জড়ালে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। 

এ ঘটনায় ইজিবাইকচালকরা প্রায় দুই ঘণ্টা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড অবরোধ করে রাখেন। তাদের অবরোধে পুরো শহরজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের চাষাঢ়া ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রবেশ গেটে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রশাসন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, শিক্ষার্থী ও ইজিবাইক চালকদের প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে বিষয়টি সমাধান হয়।

এদিকে আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৯ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলো- মোঃ আবু সাঈদ (১৯), মারুফ (১৯), আসিফ (৩০), মাহিম (২২), ফয়সাল আহমেদ (২৮), হুমায়ন কবির (২৬), এনামুল হক শান্ত (২৩), শাহীন খন্দকার (২২) ও নুহেল মুন্সী আপন (২২)। তবে আহত ইজিবাইক চালকদের নাম পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সড়কে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা শিক্ষার্থীরা চাষাড়ায় ঢুকতে বাঁধা দেয় ইজিবাইক চালকদের। এ নিয়ে কথাকাটাকিাটি হয় উভয়ের মধ্যে এক পর্যায়ে ইজিবাইকরা চালকরা সংঘবদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ করতে গেলে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ও সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অনেকেই আহত হয়। 

এ ঘটনার প্রতিবাদে  ইজিবাইক চলকরা সড়ক অবরোধ করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। ফলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়ে হাজার হাজার যাত্রী সাধারণ। পরে আইনশৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। 

এদিকে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, সংঘর্ষের সময় ইজিবাইক চালকদের অনেকেই তাদের গাড়ির সিটের নিচ থেকে লাঠি ও লোহার রড বের করে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়।

ধারণা করা হয়, আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল ইজিবাইক চালকরা যে শিক্ষার্থীদের উপর সুযোগ পেলেই হামলা করবে। কারণ গত এক দেড় মাস ধরেই চাষাড়ায় ইজিবাইক ঢুকতে বাধা দিয়ে আসছিল শিক্ষার্থীরা। এতে ক্ষোভ জমতে থাকে ইজিবাইক চালকদের মধ্যে। আজকে তারা সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে।

ওদিকে যানজট নিরসনে কাজ করা শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত বলেন, ‘আমরা এক মাস ধরে শহরের যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছি। চেম্বার অব কমার্স এবং বিকেএমই থেকে আমাদেরকে ট্রাফিক মনিটরিং সেলে দেওয়া হয়। আমাদের দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকেই বড় অটোরিকশাগুলো চাষাঢ়ায় প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল।

কিন্তু তারা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চাষাঢ়ায় প্রবেশ করেন। পরে বাধা দিলে তারা আমাদের ওপর ক্ষেপে যান। এবং পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

তবে উজ্জল নামে এক অটোরিকশাচালক জানায়, ‘আমাদের চাষাঢ়া যাওয়া নিষেধ। আমরা নিষেধ উপেক্ষা করে চাষাঢ়া গেছি, এটা আমাদের অপরাধ। কিন্তু তারা আমাদের অটোরিকশার গ্লাস ভেঙে দিয়েছে। গ্লাস ভাঙার কারণ জানতে চাইলে তারা আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমাদের অনেককে তারা মারধর করেছে। কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি আছে।’

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে ভালো একটি সমাধানে আসা সম্ভব হয়েছে। আলোচনা সভায় দুই পক্ষই ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় জেলা প্রশাসনের সব সিদ্ধান্ত মানতে একমত হয়েছেন। এ ঘটনায় একটি কমিটি গঠন করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • “শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, ইন্ধন থাকতে পারে তৃতীয় পক্ষের”
  • শিক্ষার্থীদের উপর অটো চালকদের হামলা, আহত ২০ (ভিডিও)
  • শিক্ষার্থীদের উপর অটো চালকদের হামলা, আহত ২০
  • প্রস্তাবিত কাঠামোয় বিশ্ববিদ্যালয় চান না সাত কলেজের শিক্ষকেরা
  • দুর্গাপূজায় অরাজকতা রোধে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান মহিলা পরিষদের
  • বন কর্মকর্তার ১৭ বিয়ে: আদালতে মামলা, তদন্তে পিবিআই
  • শিবচরে তরুণকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
  • সুনামগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান পরিবর্তনের দাবিতে ৫টি পরিবেশবাদী সংগঠনের মানববন্ধন
  • ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনী রোডম্যাপের দাবিতে মানববন্ধন
  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাঁর মাকে হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন