পদ ছাড়াই ৭২১৫ জনের পদায়ন, ৪ ব্যাংকের সিইওকে চিঠি
Published: 18th, January 2025 GMT
রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকে সুপারনিউমারারি পদে পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়ে টনক নড়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের। বিভাগটি এ ধরনের পদোন্নতির বিস্তারিত জানাতে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে।
চিঠিতে কারণ ব্যাখ্যাসহ পদোন্নতির ফলে বছরভিত্তিক ব্যাংকের আর্থিক সংশ্লেষের পরিমাণ উল্লেখ করে আগামী ২২ জানুয়রির মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকে সুপারনিউমারারি পদে বিপুল সংখ্যক পদোন্নতি দেওয়া সংক্রান্ত সংবাদ পরিবেশিত হয়। এসব পদোন্নতিতে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে সংবাদে উল্লেখ করা হয়। সংবাদটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের দৃষ্টিগোচর হলে চার ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে এ চিঠি দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট ওই বিভাগ থেকে জানা যায়, গত ১৫ জানুয়ারি সোনালী ব্যাংক পিএলসি, জনতা ব্যাংক পিএলসি, অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি এবং রূপালী ব্যাংক পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের রাষ্ট্রমালিকাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক শাখা-১ এর উপ সচিব আফরোজা আক্তার রিবা’র স্বাক্ষর করা ‘পদ না থাকলেও রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকে ৭ হাজার ২১৫ জনের পদোন্নতি’ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ১৪ জানুয়ারি তারিখের পত্রিকায় ‘পদ না থাকলেও রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকে ৭ হাজার ২১৫ জনের পদোন্নতি' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। উক্ত পদোন্নতির ফলে ব্যাংকগুলোতে শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে মর্মে প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া প্রকাশিত সংবাদে উক্ত পদোন্নতির ফলে বেতন-ভাতা ও পদমর্যাদার বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত গাড়ি ক্রয় ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে মর্মে উল্লেখ রয়েছে। ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর বিপুল পরিমাণ আর্থিক সংশ্লেষ তৈরি করা হয়েছে মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সোনালী ব্যাংক পিএলসি, জনতা ব্যাংক পিএলসি, অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি ও রূপালী ব্যাংক পিএলসি রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক। এ ব্যাংকগুলোর সাংগঠনিক কাঠামো আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কর্তৃক অনুমোদিত হয়। রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংক হওয়ায় ব্যাংকগুলোতে জনবল নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নির্দেশনা অনুসরণ করার নিয়ম রয়েছে। এছাড়া পদোন্নতির ক্ষেত্রে অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী পদোন্নতি প্রদানের বাধ্যবাধকতাও রয়েছে।
জানা গেছে, ব্যাংকগুলোর শূন্য পদে জনবল নিয়োগ/যেকোন পদোন্নতির ক্ষেত্রে যথাযথ বিধি বিধান অনুসরণ করে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করার নির্দেশনা রয়েছে। এ ছাড়াও অপর এক নির্দেশনায় স্ব-স্ব ব্যাংকের সাংগঠনিক কাঠামোর বাইরে সুপারনিউমারারি পদ সৃষ্টি করে পদোন্নতি প্রদানের সুযোগ নেই মর্মে অবহিত করা হয়। উক্ত নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটিয়ে উল্লিখিত সাংগঠনিক কাঠামোতে পদ না থাকা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনক্রমে সুপারনিউমারারি পদে পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে যা প্রচলিত বিধিবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
চিঠিতে, সাংগঠনিক কাঠামোতে পদ না থাকা সত্ত্বেও সুপারনিউমারারি পদে পদোন্নতি প্রদানের কারণ ব্যাখ্যাসহ উক্ত পদোন্নতির ফলে বছরভিত্তিক ব্যাংকের আর্থিক সংশ্লেষের পরিমাণ উল্লেখ করে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে জরুরিভিত্তিতে ২০২৫ সালের ২২ তারিখের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকে প্রায় ১০ হাজার কর্মকর্তা পদোন্নতি পেয়েছেন। এর মধ্যে ৭ হাজার ২১৫ জনই পদোন্নতি পেয়েছেন সুপার নিউমারারি (পদ ছাড়াই পদায়ন) ভিত্তিতে। নজিরবিহীন এ পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে ব্যাংকগুলোর অর্গানোগ্রাম বা জনবল কাঠামো ভঙ্গ করে। পদ না থাকলেও এত বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়েছে সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ইতিহাসে এর আগে কখনই এভাবে গণপদোন্নতির ঘটনা ঘটেনি বলে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এরফলে ব্যাংকগুলোয় এখন শৃঙ্খলা আরো ভেঙে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
সুপার নিউমারারি ভিত্তিতে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম), সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম), সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (এসপিও), প্রিন্সিপাল অফিসার (পিও) ও সিনিয়র অফিসার (এসও) পদে। এর মধ্যে কেবল ১ হাজার ৬৭ জনকে এসপিও থেকে এজিএম বানানো হয়েছে। এজিএম হলো রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর নির্বাহী পদের প্রথম ধাপ। বেতন-ভাতা ও পদমর্যাদা বৃদ্ধির পাশাপাশি এজিএম হওয়া প্রত্যেক কর্মকর্তা ব্যক্তিগত গাড়ি কেনার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে সুদমুক্ত ৩০ লাখ টাকা ঋণ পান। ক্রয়কৃত গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ প্রতি মাসে পান ৪২ হাজার টাকা। এছাড়া এজিএমদের জন্য ব্যক্তিগত কক্ষও বরাদ্দ থাকে। পদের অতিরিক্ত পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত কক্ষ ও চেয়ার-টেবিল দিতেই ব্যাংকগুলো এখন হিমশিম খাচ্ছে।
মূলধন ও সঞ্চিতি (প্রভিশন) ঘাটতিতে সমস্যায় জর্জরিত ব্যাংকগুলোর অস্তিত্বও টিকে আছে কেবল সরকারি ব্যাংক পরিচয়ে। এগুলোর খেলাপি ও অবলোপনকৃত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকায়। আর রেকর্ডসংখ্যক পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পেছনে এ ব্যাংকগুলোর ব্যয় বাড়বে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা।
আর্থিক সংকটে থাকা রাষ্ট্রীয় চার ব্যাংকের এ ধরনের পদোন্নতির বিস্তারিত জানাতে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাদের বিস্তারিত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ মন্তব্য করেন।
ঢাকা/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গঠন ক ক ঠ ম আর থ ক স ক প এলস পর ম ণ
এছাড়াও পড়ুন:
পরিচালকদের কাজের বছরভিত্তিক মূল্যায়ন করা হবে
এখন থেকে সরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিচালকদের বছরভিত্তিক পারফরম্যান্স (কর্ম কৃতি) মূল্যায়ন করবে সরকার। সক্ষমতা বাড়াতে তাঁদের দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ। তাঁদের জন্য বিভিন্ন কর্মশালারও আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া আর্থিক ও নৈতিকতার বিষয় যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করে চেয়ারম্যান ও পরিচালকদের নিয়োগ দেওয়া হবে। তাঁরা প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কাজে অংশ নিতে পারবেন না। তাঁদের বয়স হবে ৪৫ থেকে ৭৫ বছর পর্যন্ত।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ গতকাল বৃহস্পতিবার এ নিয়ে একটি নীতিমালা জারি করেছে। নীতিমালাটির নাম ‘রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারের শেয়ার রয়েছে এমন বেসরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান/পরিচালক নিয়োগ নীতিমালা, ২০২৫।’ এর মাধ্যমে ২০২৪ সালের ৯ এপ্রিল জারি হওয়া এ-সংক্রান্ত নীতিমালা বাতিল করা হয়।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক প্রথম আলোকে বলেন, পরিচালনা পর্ষদকে অধিকতর দক্ষ ও কার্যকর করে তোলা, পর্ষদের পেশাদারি নিশ্চিতকরণ এবং আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চেয়ারম্যান ও পরিচালক নিয়োগের এ নীতিমালা জারি করা হয়েছে।
রাষ্ট্র খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারের মালিকানা (শেয়ার) রয়েছে এমন বেসরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১৬টি। এসব প্রতিষ্ঠানে চেয়ারম্যান ও পরিচালক নিয়োগের জন্যই প্রযোজ্য এ নীতিমালা।
এত দিন যে নীতিমালা ছিল, তাতে ব্যাংকের দৈনন্দিন কাজে চেয়ারম্যান ও পরিচালকেরা অংশ নিতে পারবেন না, এমন কথা বলা ছিল না। তবে চেয়ারম্যান ও পরিচালকদের কর্মপরিধিবিষয়ক বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ছিল। এবার নীতিমালায়ও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো।
নতুন নীতিমালায় কিছু বিষয় সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে বুঝতে পারছি। আমরা একে স্বাগত জানাই। তবে নীতিমালা করলেই হবে না, এর বাস্তবায়ন বেশি গুরুত্বপূর্ণ।হেলাল আহমেদ চৌধুরী, চেয়ারম্যান, বেসিক ব্যাংকনতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, ঋণখেলাপি ও করখেলাপি হলে এবং ১০ বছরের প্রশাসনিক বা ব্যবস্থাপনা বা পেশাগত অভিজ্ঞতা না থাকলে কেউই ব্যাংকের পর্ষদ সদস্য হতে পারবেন না। ফৌজদারি অপরাধ বা জালজালিয়াতি, আর্থিক অপরাধ বা অন্য কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বা আছেন, এমন কেউ পর্ষদ সদস্য হতে পারবেন না।
এ ছাড়া দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলায় আদালতের রায়ে বিরূপ পর্যবেক্ষণ বা মন্তব্য থাকলে এবং আর্থিক খাতসংশ্লিষ্ট কোনো সংস্থার বিধিমালা, প্রবিধান বা নিয়মাচার লঙ্ঘন করে দণ্ডিত হলেও পর্ষদ সদস্য হওয়া যাবে না। একটি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক থাকতে কেউ অন্য কোনো ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না।
নীতিমালা অনুযায়ী আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বাছাই কমিটি নাম চূড়ান্ত করবে। চেয়ারম্যান নিয়োগের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন প্রধানমন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টা। তবে পরিচালক নিয়োগের চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন অর্থমন্ত্রী বা অর্থ উপদেষ্টা।
২০০৯ সালে থেকে খেয়ালখুশিমতো পরিচালক নিয়োগ দিয়ে আসছিল আওয়ামী লীগ সরকার। বিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাবেক সেনা কর্মকর্তা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাবেক আমলা, সাংবাদিক, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ এর ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ, সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন ব্যাংকের পর্ষদে বসানোর উদাহরণ তৈরি করা হয়েছিল।
তিন বছরের জন্য নিয়োগ পাওয়া এসব পরিচালকের অনেকেরই দেশের অর্থনীতি, ব্যাংকিং, মুদ্রানীতি ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞানের অভাব ছিল বলে সমালোচনা রয়েছে। সমালোচনার পরও আওয়ামী লীগ সরকার একইভাবে একই ধরনের ব্যক্তিদের নিয়োগ দেয়। বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুর ২০০৯-১২ সময়ের অপকর্ম ধরা পড়ার পরও ২০১২ সালে তাঁকে দ্বিতীয় দফায় দুই বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া যার অন্যতম উদাহরণ।
তবে ২০১৪ সাল থেকে পরিচালক নিয়োগের জন্য লোক বাছাই করে ব্যাংকগুলোর পর্ষদের কাছে চিঠি পাঠানো শুরু করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। কিন্তু এর পর থেকে বেশির ভাগ নিয়োগ দেওয়া হচ্ছিল দলীয় আনুগত্য পোষণকারী সাবেক আমলাদের। সমানতালে চলতে থাকে শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়াও।
নতুন নীতিমালায় সনদপ্রাপ্ত হিসাবরক্ষক (সিএ), সাবেক জেলা জজ বা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সাবেক একজন ব্যাংকার নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, পর্ষদে এক-তৃতীয়াংশ নারী সদস্য রাখার বিষয় বিবেচনা করা হবে। ২০২৪ সালের নীতিমালায়ও এ কথা বলা ছিল।
জানতে চাইলে বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান হেলাল আহমেদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘নতুন নীতিমালায় কিছু বিষয় সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে বুঝতে পারছি। আমরা একে স্বাগত জানাই। তবে নীতিমালা করলেই হবে না, এর বাস্তবায়ন বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’