ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৩তম আসরের পর্দা নামল রোববার। ১০ টি ভিন্ন ভিন্ন বিভাগে ৭৫ টি দেশের ২০৩ টি চলচ্চিত্র নিয়ে ঢাকার ৫ টি ভেন্যুতে ৯ দিন ব্যাপী আয়োজিত এই উৎসবে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন ৪৪ জন বিদেশি প্রতিনিধি। চীন ও বাংলাদেশের ৫০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্কের উদযাপন লক্ষ্যে এবার উৎসবের ওয়াইড অ্যাঙ্গেল সেকশনটি চীনা চলচ্চিত্রের জন্য উৎসর্গ করা হয়।   

উৎসবে অংশ নেওয়াচিলড্রেন ফিল্ম সেকশনের বাদল রহমান অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে মাইকেল লুকাচেভস্কি পরিচালিত রাশিয়ান সিনেমা ‘কিতালিকতাখ কির্দালিম্’।স্পেশাল অডিয়্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে জোসেলিটো আলতারেজোস পারিচালিত ফিলিপাইনস  সিনেমা ‘গার্ডিয়া ডি অনার’।  বেস্ট অডিয়্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে সৃজিত মুখার্জী পরিচালিত ভারতীয় সিনেমা ‘পদাতিক’। 

উইম্যান ফিল্মমেকার সেকশনে স্পেশাল মেনশন অ্যাওয়ার্ড যৌথভাবে পেয়েছে ক্লাভদিয়া কোরশুনোভা পরিচালিত ‘মলডোভা’ এবং রাশিয়ার যৌথ প্রযোজনার সিনেমা ‘তাকোই ইমেনো ডেন’।  একই সেকশনের বেস্ট শর্ট ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে মারিয়া বোবেভা নির্মিত বুলগেরিয়ার সিনেমা ‘স্কারলেট’। বেস্ট ফিচার ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত সিনেমাটি হচ্ছে সারাহ মালেগোল পরিচালিত ফ্রান্সের সিনেমা ‘কুমভা হুইচ কাম ফ্রম সাইনলেন্স’।

বেস্ট ডিরেক্টর অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত সিনেমাটি হচ্ছে আগুস্টিনা সানচেজ গ্যাভিয়ে পরিচালিত আর্জেন্টিনা ও জার্মানীর যৌথ প্রযোজিত  ‘নুয়েস্ট্রা সোমব্রা’। স্পিরিচুয়াল ফিল্ম সেকশনের বেস্ট শর্ট ফিল্ম  লুইস ক্যাম্পোস পরিচালিত পর্তুগিজ সিনেমা ‘মন্টে ক্লেরিগো’। উক্ত বিভাগের স্পেশাল মেনশন অ্যাওয়ার্ডটি পেয়েছে অভিলাষ শর্মা পরিচালিত ‘স্বাহা’ এবং বেস্ট ফিচার ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডটি জিতে নেয় ইভান সোসনের রাশিয়ান সিনেমা ‘প্রিশেলেক (দ্য এলিয়েন)।’

বাংলাদেশ প্যানোরামার ট্যালেন্ট সেকশনে ৩ টি সিনেমা পুরষ্কৃত হয়। এরমধ্যে সেকেন্ড রানার আপ হয়েছে মোবারক হোসেন পরিচালিত ‘পৈত্রিক ভিটা’,  ফার্স্ট রানার আপ সিনেমাটি হচ্ছে আসিফ উদ্দিন পরিচালিত ‘ফুলেরা পোসাক পরে না’।  বেস্ট শর্ট ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডটি পায় চলচ্চিত্র পরিচালক মনন মুন্তাকা  নির্মিত‘অ্যা লেজি মুন’।

বেস্ট ফুল লেন্থ সিনেমা অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে শঙ্খ দাসগুপ্ত পরিচালিত ‘প্রিয় মালতী’।

এশিয়ান ফিল্ম কমপিটিশন সসের ব্যাস্ট স্ক্রিপ্টরাইটার অ্যাটওয়ার্ডটি পায় টাকাতো নিশি এবং নরিকো ইউয়াসার সিনেমা ‘পারফমিং কাউরুর ফিউরেনা’।  এছাড়াও ‘পান মেন কিয়ান বাও দি’ সিনেমার জন্য হাওফেং জু এবং জুনফেং জু বেস্ট ডিরেক্টর অ্যাওয়ার্ড পায়। 

সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সমাপনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বে ছিলেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ। এদিন সমাপনী সিনেমা হিসেবে প্রদর্শিত হয় ইকবাল এইচ চৌধুরী পরিচালিত সিনেমা ‘বলী’। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র পর চ ল ত স কশন

এছাড়াও পড়ুন:

‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

রাজধানীর বাংলা মোটরের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে শিশুসাহিত্যিক অমিত কুমার কুণ্ডুর শিশুতোষ ছড়ার বই ‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা উৎসব হয়েছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠানের আয়োজনে ছিল বইটির প্রকাশনা সংস্থা পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড।

শিক্ষাবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন সাহিত্যিক রফিকুর রশীদ। এছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক ও সাংবাদিক দন্ত্যস রওশন, লোকসংস্কৃতিবিদ তপন বাগচী, শিশুসাহিত্যিক সঙ্গীতা ইমাম, কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার। অনুষ্ঠানে বক্তারা বইটির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

আরো পড়ুন:

নদী স্মৃতিনির্ভর সংকলন গ্রন্থ ‘আমার নদী’ প্রকাশিত 

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

প্রধান অতিথির আলোচনায় রফিকুর রশীদ বলেন, “১২৪টি ফলের ওপর লেখা এই বইয়ের ছড়াগুলো কেবল পাঠকের রসাস্বাদনই করাবে না, শিশু শিক্ষামূলক এই ছড়াগুলো রসোত্তীর্ণও বটে।”

তিনি দেশের প্রকাশকদের অংশগ্রহণের ওপর জোর দিয়ে বলেন,“প্রকাশকদের বেশি বেশি এরকম প্রকাশনা উৎসব আয়োজন করা উচিত।”

বইটির ব্যতিক্রমী আকৃতির দিকে ইঙ্গিত করে দন্ত্যস রওশন বলেন, “পাঠক তৈরির প্রয়াসেই পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স এমন ক্ষুদ্রাকৃতির ও নতুন নতুন সাইজের বইয়ের ধারণা বাজারে আনছে। এটা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।”

শিক্ষাবিদ সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেন, “শিক্ষার দুটো দিক রয়েছ।একটি হলো ট্রাডিশনাল, যা আমরা পড়েছি, আপনারাও পড়েন। আরেকটি  হলো জাঁ জ্যাক রুশোর পদ্ধতি। তিনি বলেছে, প্রকৃতির সঙ্গে শেখা।রবীন্দ্রনাথ যা বিশ্বভারতীর মাধ্যমে করিয়ে দেখিয়েছেন।অমিত কুমার কুণ্ডুর ছড়ার বইটি সে রকমই।এর মাধ্যমে প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ করবে শিশুরা ও ওরা শিখবে। এরকম বই প্রকাশ করার জন্য প্রকাশকে ধন্যবাদ। আমাদের প্রকাশকদের এ ধরনের বই বেশি বেশি করতে হবে।”

কাঁচামিঠে ফলের ছড়া বইটির পাতায় পাতায় দেশি-বিদেশি বিচিত্র ফলের পরিচয়, পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা নান্দনিক অলংকরণে ছন্দে-ছড়ায় তুলে ধরা হয়েছে। বইটি থেকে ছড়া আবৃত্তি করে বাচিক শিল্পী জান্নাতুল ফেরদৌস মুক্তা।

অনুষ্ঠান শেষে ছিল মৌসুমী ফল দিয়ে অতিথিদের অ্যাপায়নের ব্যবস্থা।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চুয়েটে দিনভর তারুণ্যের ‘তর্ক-যুদ্ধ’
  • ‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
  • জুলাইয়ের ১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় উৎসব
  • ১৬ কোটি টাকায় সারা দেশে ফুটবলের তিন টুর্নামেন্ট
  • দুদিনের সফরে কলকাতায় ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু
  • ভৌতিক গল্প নিয়ে কানাডায় নুহাশ
  • তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন