মামলা নিতে গড়িমসি, গুলশান থানার ওসি সাময়িক বরখাস্ত
Published: 19th, January 2025 GMT
ডাকাতির ঘটনায় মামলা নিতে গড়িমসি করার অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানার ওসি তৌহিদ আহমেদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রোববার বিকেলে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) তালেবুর রহমান সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ১১ জানুয়ারি যৌথ বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে এক দল ডাকাত গুলশান অ্যাভিনিউর ২৯ নম্বর সড়কে এক ব্যবসায়ীর বাড়ি লুট করে। ৪৬ লাখ টাকা, ৬০ ভরি স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিস নিয়ে যায় তারা। ঘটনার পর ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মামলা করার জন্য গুলশান থানায় যান। কয়েক দিন ঘুরেও তিনি মামলা করতে পারেননি। অবশেষে বিষয়টি ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান তিনি। এর পরই ওসিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। গুলশান থানায় ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কদমতলী থানার ওসি মাহমুদুর রহমানকে।
এ ঘটনায় মন্তব্য জানতে তৌহিদ আহমেদের ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে সৌদিপ্রবাসীর অপহৃত শিশুসন্তান উদ্ধার
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়ন থেকে অপহৃত সাত বছরের একটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রুহুল আমিন (২০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মধ্যে অপহরণকারীরা গতকাল শুক্রবার গহিন জঙ্গলে মায়ের কাছে শিশুটিকে দিয়ে পালিয়ে গেছে। তবে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) রাঙ্গাঝির এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিনের দাবি, তিন লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহরণকারীরা শিশুটিকে মায়ের কাছে দিয়ে গেছে।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে সৌদি আরবপ্রবাসী সাইফুল ও শাহেদা বেগম দম্পতির সাত বছরের ছেলেকে বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের অভিযানে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মুক্তিপণ দিয়ে শিশুটিকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
বাইশারী ইউপির রাঙ্গাঝিরি এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার রাতে রাঙ্গাঝিরি পাড়ার শিশুটি অপহৃত হওয়ার পর পরিবার থেকে অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছিল। অন্যদিকে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনীও অভিযান পরিচালনা করেছে। গতকাল শুক্রবার শিশুটির মা রাঙ্গাঝিরি থেকে আলেক্ষ্যং এলাকায় যান। সেখান থেকে তাঁর অপহৃত সন্তানসহ বিকেলে ফিরে আসেন। সন্ত্রাসীরা প্রথমে ১০ লাখ টাকা দাবি করলেও পরে তিন লাখ টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে তাঁরা জেনেছেন।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, অভিযানের মুখে অপহৃত শিশুটিকে মুক্তি দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। অপহরণের ঘটনার পর থেকে অভিযান চালানো হয়েছে। উদ্ধারের পর শিশুটির পরিবার মামলা করার জন্য থানায় গেছে।