নতুন বছরে দ্বৈত সুবিধার পণ্য সামনে আসতে শুরু করেছে। দুটি যন্ত্রের সুবিধা মিলবে একটি ডিভাইসে– এমন ধারণায় ফ্যাশন ডিভাইসের চাহিদা বাড়ছে। বিশ্বসেরা সবকটি প্রযুক্তি ব্র্যান্ড এমন ধারণায় পণ্য ডিজাইন করছে। তেমনই ল্যাপটপ ও ট্যাবলেট ডিভাইসকে একটি ডিজাইনে নিয়ে এসেছে কিছু প্রযুক্তি নির্মাতা।
দৃষ্টিনন্দন ডিজাইন, সময়োপযোগী পারফরম্যান্স ও বহুমুখী ব্যবহারের কথা বিবেচনা করে নতুন সেভেনআই
টু-ইন-ওয়ান সিরিজের ল্যাপটপ উন্মোচন করেছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড লেনোভো। প্রসেসরে ইনটেল কোর আলট্রা ৭-১৫৫এইচ সিরিজ, ১৬ জিবি র্যাম থাকায় মাল্টি-টাস্কিং ও মানোন্নত গ্রাফিকসের জন্য স্মুথ সুবিধা পাওয়া যায় বলে নির্মাতারা জানান।
জানা গেছে, ল্যাপটপ অবয়বে কমপ্যাক্ট ও বহনযোগ্য দুটি ভিন্ন সুবিধা দেওয়া হয়েছে ডিজাইনে। পরিপূর্ণ ল্যাপটপ অন্যদিকে ট্যাবলেট, যেভাবে প্রয়োজন সেভাবেই ব্যবহার করতে পারবেন। ডিসপ্লে ১৪ ইঞ্চি ওএলইডি টাচস্ক্রিন। উজ্জ্বল ও স্বচ্ছ ছবি নিশ্চিত করে।
সঙ্গে থাকা ব্র্যান্ডের ডিজিটাল পেন গ্রাহককে সহজে নেভিগেট করতে, ড্রয়িং করতে ও ক্রিয়েটিভ কাজে বিশেষ সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে।
নির্মাতারা জানান, ওজন ১.
টু-ইন-ওয়ান ডিজাইনে পাতলা ও হালকা গড়ন হওয়ায় যে কোনো স্থানে ও সময়ে পোর্টেবিলিটি সুবিধা দেয়।
কারিগরি বৈশিষ্ট্যে থাকছে ডলবি অ্যাটমোস অপ্টিমাইজড স্পিকার, ১০৮০পি ক্যামেরা, জেনুইন উইন্ডোজ ১১ হোম সংস্করণ। ব্যাটারি লাইফে দীর্ঘস্থায়িত্ব শর্ত পূরণ করে। রং স্টর্ম গ্রে। ডিভাইসটি শিক্ষার্থী, বিশেষ কাজ ও ক্রিয়েটিভ পেশাজীবীদের জন্যই ডিজাইন করেছে নির্মাতা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহে সাহিত্য আড্ডার স্থানসহ নানা স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন
ময়মনসিংহ ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে যৌথ অভিযানে নেমেছে জেলা প্রশাসন ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন। এ সময় সাহিত্য সংসদের ‘বীক্ষণ’ আসরের সাহিত্য আড্ডার স্থাপনাসহ পার্কের ভেতরে এবং বাইরে গড়ে উঠা ভ্রাম্যমাণ দোকান, বিজয়ী পিঠা বাড়িসহ সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। আজ বুধবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত নগরীর সার্কিট হাউজ মাঠ সংলগ্ন জয়নুল উদ্যান পার্কে এই অভিযান চালানো হয়।
এ অভিযানের এক পর্যায়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মুফিদুল আলম নিজে উপস্থিত থেকে উচ্ছেদ কার্যক্রম তদারকি করেন। এ সময় পার্কের সৌন্দর্য রক্ষা এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান নগরবাসী। তবে এ উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষোভ ও অসেন্তাষ প্রকাশ করেছেন কবি সাহিত্যিকরা। তারা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, প্রায় ৪০ বছর ধরে এই স্থানটিতে দেশের খ্যাতনামা এবং নবীণ কবি সাহিত্যকদের নিয়ে সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার বসে সাহিত্য সংসদের ‘বীক্ষণ’ আসর নামে সাহিত্য আড্ডা। এতে কবিতা পাঠের পাশাপাশি শিল্প সংস্কৃতি নিয়ে চলে আলোচনা ও মতবিনিময়।
স্থানীয়রা জানান, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ফলে পার্কটি তার স্বরূপ ফিরে পাবে। এতে আমার মত অন্য দর্শনার্থীরা প্রকৃতির নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটাতে পারবে।
নতুন বাজার এলাকার শাহজাহান কবির বলেন, একাধিকবার পার্কেও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হলেও প্রভাবশালী মহলের মদদে ফের তৈরি হয় অবৈধ স্থাপনা। কিন্তু দর্শনার্থীরা চায় পার্কের নিরিবিলি ও মনোরম পরিবেশ। তবে এ উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষোভ ও অসেন্তাষ প্রকাশ করেছেন কবি সাহিত্যিকরা। তারা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, প্রায় ৪০ বছর ধরে এই স্থানটিতে দেশের খ্যাতনামা এবং নবীণ কবি সাহিত্যকদের নিয়ে সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার বসে সাহিত্য সংসদের ‘বীক্ষণ’ আসর নামে সাহিত্য আড্ডা। এতে কবিতা পাঠের পাশাপাশি শিল্প সংস্কৃতি নিয়ে চলে আলোচনা ও মতবিনিময়।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সচিব সুমনা আল মজীদ বলেন, মূলত জেলা প্রশাসনের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য জয়নুল উদ্যোনের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি এবং প্রকৃতির নির্মল পরিবেশ গড়ে তোলা। তাছাড়া পার্কের বেশ কয়েকটি স্থাপনায় দীর্ঘদিন ধরে অসামসাজিক কার্যকলাপ চলার অভিযোগে অভিযান চালানো হয়েছে।