শেষ ওভারে ১০-১৫ রান চেয়েছিলেন হাসান
Published: 20th, January 2025 GMT
রুবেল হোসেনের দুই ওভার বাকি ছিল। হাসান মাহমুদের এক। ডেথ ওভারে রুবেলের বোলিং কখনো হয় অতি প্রশংসনীয়। কখনো একেবারে দলকে ডুবিয়ে আসেন।
দুর্বার রাজশাহীর জয়ের জন্য শেষ ওভারে লাগত ১৭ রান। আগে-পিছে কোনো কিছু না ভেবে খুলনার অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ বল তুলে দেন হাসান মাহমুদের হাতে। আগের ৩ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেওয়া হাসান বিশেষ কিছু করবেন সেই বিশ্বাসটাই ছিল খুলনার। দলের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন ডানহাতি পেসার।
দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে থাকা এনামুলকে ওই ওভারে ৯ রানের বেশি নিতে দেননি। ৪১১ রানের ম্যাচে ৭ রানে জয় পায় খুলনা। ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে রান উৎসবের ম্যাচে সেরা হয়েছেন হাসান।
শেষ ওভারে নিজের বোলিং পরিকল্পনা নিয়ে হাসান বলেছেন, ‘‘আমার জন্য সেন্টারে বল করাটা একটু কঠিন ছিল। কারণ পেছনেও শট খেলছিল সামনেও শট খেলছিল। চিন্তা করেছিলাম ওয়াইড ইয়র্কার। পরিকল্পনা সফল হয়েছে। শেষ পর্যন্ত দেখছিলাম।’’
শেষ ওভারে ম্যাচ যে কোনো দিকেই যেতে পারত। তবে কত রান নিরাপদ হতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে হাসান বলেছেন, ‘‘আমি চেয়েছিলাম শেষ ওভারে ১০-১৫ রান যেন থাকে। আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে ম্যাচ বের করে আনতে পারব।’’
পুরো ইনিংসে নিজের বোলিং নিয়ে ডানহাতি পেসার বলেছেন, ‘‘আমি শুধু আমার লাইন লেন্থে ফোকাস করছিলাম। শুরুতে বল গ্রিপ হচ্ছিল, কঠিন ছিল ব্যাটসম্যানদের জন্য মারাটা। চেষ্টা করেছি এক জায়গায় বল করে যাওয়ার।’’
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের
ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।