রুবেল হোসেনের দুই ওভার বাকি ছিল। হাসান মাহমুদের এক। ডেথ ওভারে রুবেলের বোলিং কখনো হয় অতি প্রশংসনীয়। কখনো একেবারে দলকে ডুবিয়ে আসেন। 

দুর্বার রাজশাহীর জয়ের জন্য শেষ ওভারে লাগত ১৭ রান। আগে-পিছে কোনো কিছু না ভেবে খুলনার অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ বল তুলে দেন হাসান মাহমুদের হাতে। আগের ৩ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেওয়া হাসান বিশেষ কিছু করবেন সেই বিশ্বাসটাই ছিল খুলনার। দলের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন ডানহাতি পেসার। 

দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে থাকা এনামুলকে ওই ওভারে ৯ রানের বেশি নিতে দেননি। ৪১১ রানের ম্যাচে ৭ রানে জয় পায় খুলনা। ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে রান উৎসবের ম্যাচে সেরা হয়েছেন হাসান। 

শেষ ওভারে নিজের বোলিং পরিকল্পনা নিয়ে হাসান বলেছেন, ‘‘আমার জন্য সেন্টারে বল করাটা একটু কঠিন ছিল। কারণ পেছনেও শট খেলছিল সামনেও শট খেলছিল। চিন্তা করেছিলাম ওয়াইড ইয়র্কার। পরিকল্পনা সফল হয়েছে। শেষ পর্যন্ত দেখছিলাম।’’ 

শেষ ওভারে ম্যাচ যে কোনো দিকেই যেতে পারত। তবে কত রান নিরাপদ হতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে হাসান বলেছেন, ‘‘আমি চেয়েছিলাম শেষ ওভারে ১০-১৫ রান যেন থাকে। আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে ম্যাচ বের করে আনতে পারব।’’ 

পুরো ইনিংসে নিজের বোলিং নিয়ে ডানহাতি পেসার বলেছেন, ‘‘আমি শুধু আমার লাইন লেন্থে ফোকাস করছিলাম। শুরুতে বল গ্রিপ হচ্ছিল, কঠিন ছিল ব্যাটসম্যানদের জন্য মারাটা। চেষ্টা করেছি এক জায়গায় বল করে যাওয়ার।’’

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ২-৫ টাকা কমেছে

বাজারে সরু তথা মিনিকেট চালের দাম কিছুটা কমেছে। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি মিনিকেট চালের দাম কেজিতে দুই থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে মোটা ও সরু নাজিরশাইল চালের দাম আগের মতোই রয়েছে। এ ছাড়া বাজারে আগের মতোই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ ও মুরগি।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে খুচরা দোকানে ডায়মন্ড, মঞ্জুর, সাগর, রশিদ প্রভৃতি ব্র্যান্ডের প্রতি কেজি মিনিকেট চালের দাম কেজিতে দুই থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত কমেছে। গত সপ্তাহে মঞ্জুর ও সাগর ব্র্যান্ডের প্রতি কেজি মিনিকেট ৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল, যা আজ বিক্রি হয়েছে ৮৫ টাকায়। একইভাবে ডায়মন্ড ব্র্যান্ডের মিনিকেটের দাম ৮৮ টাকা থেকে কমে ৮৫ টাকা ও রশিদ ব্র্যান্ডের মিনিকেটের দাম ৭৮ টাকা থেকে কমে ৭৬ টাকা হয়েছে।

সবচেয়ে বেশি কমেছে মোজাম্মেল মিনিকেট চালের দাম। এই চালের দামই এত দিন সবচেয়ে বেশি ছিল। গত সপ্তাহেও খুচরায় মোজাম্মেল ব্র্যান্ডের প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আজ বাজারে সেটি বিক্রি হয় ৯২ টাকায়। অর্থাৎ কেজিতে ৮ টাকা কমেছে এই মিনিকেট চালের দাম।

তবে নাজিরশাইল, ব্রি-২৮, ব্রি-২৯ ও স্বর্ণা চালের দাম আগের মতোই রয়েছে। বর্তমানে মানভেদে প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল ৮০ থেকে ৯৫ টাকা, ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ চাল ৬০ টাকা এবং স্বর্ণা চাল ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের খুচরা চাল বিক্রেতা তৌহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এখন বোরো ধানের মৌসুম চলছে। অর্থাৎ বোরো ধান থেকে যে চাল হয়, সেটি বাজারে এসেছে। সাধারণত মিনিকেট হিসেবে পরিচিত ছাঁটাই করা চালগুলো এ ধান থেকেই আসে। ফলে বাজারে নতুন মিনিকেট চালের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দামও কমেছে।

চড়া পেঁয়াজ, মুরগির দাম

বাজারে এখন মূলত দেশি পেঁয়াজই বেশি বিক্রি হয়। এই পেঁয়াজের দাম তিন সপ্তাহ ধরে বাড়তি রয়েছে। বর্তমানে ঢাকার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। পাড়া-মহল্লায় এ দাম আরেকটু বেশি। গত এক মাসের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া আমদানি করা পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি এবং ডিমের দাম কিছুটা বেড়েছে। আজ বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৬০ থেকে ৩১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা ও সোনালির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। পাশাপাশি ফার্মের মুরগির বাদামি ডিমের দামও আগের মতোই বেশি রয়েছে। আজ এই মানের এক ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে সবজি কিনছেন দুই ক্রেতা

সম্পর্কিত নিবন্ধ