সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ১৬ জনকে নতুন করে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।

সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তাদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখান।

সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক ছাড়া বাকিরা হলেন- সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা.

দীপু মনি, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিম ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এদিন সকালে আসামিদের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট থানার তদন্ত কর্মকর্তা। পরে আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখান।

এরমধ্যে সালমান এফ রহমানকে যাত্রাবাড়ী থানার ৪টি ও মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায়, আনিসুল হককে যাত্রাবাড়ী থানার ৭টি, মোহাম্মদপুর থানার একটি এবং খিলগাঁও থানার একটি মামলায়, ডা. দীপু মনিকে যাত্রাবাড়ী থানার ২টি মামলায়, জুনাইদ আহমেদ পলককে যাত্রাবাড়ী থানার ২টি ও সূত্রাপুর থানার একটি মামলায়, রাশেদ খান মেননকে যাত্রাবাড়ী থানার ৫টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।

এছাড়া হাসানুল হক ইনুকে যাত্রাবাড়ী থানার ৫টি মামলায়, হাজী সেলিমকে যাত্রাবাড়ী থানার একটি মামলায় এবং চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে যাত্রাবাড়ী থানার ৬টি, মোহাম্মদপুর থানার ২টি, সূত্রাপুর থানার ২টি এবং খিলগাঁও থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ ড দ প মন থ ন র একট মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

রূপগঞ্জে টেক্সটাইল কারখানায় গ্যাসের মিটার বিস্ফোরণে চারজন দগ্ধ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি টেক্সটাইল কারখানায় গ্যাসের মিটার বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডে চার নিরাপত্তা প্রহরী দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রূপসী কাজীপাড়া এলাকার জৈনপুরী আশরাফিয়া টেক্সটাইল কারখানায় (মঞ্জু টেক্সটাইল) এ ঘটনা ঘটে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মে দিবসের কারণে কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ। এ জন্য লাইনে গ্যাসের উচ্চ চাপ সৃষ্টি হয়ে মিটারে বিস্ফোরণ হয়। সেখান থেকে আগুন ধরে চারজন নিরাপত্তা প্রহরী দগ্ধ হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস পৌঁছানোর আগেই কারখানার লোকজন ও স্থানীয় লোকজন মিলে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।

এ ঘটনায় দগ্ধ আবদুল হান্নান (৫০), কবির হোসেন (৪৫) ও সাইফুল ইসলামকে (২৫) রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধ অন্যজনের নাম জানা যায়নি। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

হাসপাতালের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়। আঘাত গুরুতর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি তিনজনের শরীরের ৩৪ থেকে ৫৩ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁদের শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, রাতের ডিউটি (দায়িত্ব) শেষে সকাল আটটার দিকে শ্রমিকেরা কারখানা ছেড়ে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর তিতাস গ্যাস সংযোগের আরএমএস কক্ষে বিকট শব্দে একটি দেয়াল ধসে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। তখনই চারজন দগ্ধ হন। পরে কারখানার লোকজন ও স্থানীয় লোকজন মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ঘটনাটি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ দাবি করে কারখানার মালিক মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়া বলেন, ঘটনার পর আপাতত কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে। শ্রমিকদের সব চিকিৎসার ব্যয় কারখানা থেকে বহন করা হবে। তাঁদের প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ