অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স র‌্যাংকিংয়ে বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ১৮৯ জন শিক্ষক ও গবেষক।

সম্প্রতি প্রকাশিত অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স র‌্যংকিং-২০২৪ এ সিকৃবি শিক্ষক ও গবেষকদের এ অভাবনীয় সাফল্য দেখা যায়।

এ তালিকায় স্থান পাওয়া সিকৃবির শীর্ষ ১০ গবেষকের মধ্যে রয়েছেন- এক্যুয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড.

মো. সাখাওয়াত হোসেন, কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, জলজ সম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ডু, প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাছুদুর রহমান, এপিডেমিওলজি ও পাবলিক হেলথ বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ, মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. বাশির উদ্দিন, কীটতত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. চন্দ্রকান্ত দাশ, কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ বিজ্ঞান  বিভাগের ড. রানা রায়, কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা সামছুজ্জামান, ফার্মাসিউটিক্যালস ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহকারী  অধ্যাপক  মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।

আন্তর্জাতিক মানের এ সূচকটির ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, গবেষকদের মোট ১৪টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স র‌্যাংকিং এর সর্বশেষ তালিকায় বাংলাদেশের ১৬ হাজার ৬৪২ জন গবেষক স্থান পেয়েছেন। গবেষকদের গুগল স্কলারের রিসার্চ প্রোফাইলের বিগত ছয় বছরের গবেষণার এইচ ইনডেক্স, আইটেন ইনডেক্স ও সাইটেশন স্কোরের ভিত্তিতে এ র‌্যাঙ্কিং করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মত একটি ছোট ক্যাম্পাস থেকে এতজন গবেষক শীর্ষ গবেষকদের তালিকায় এসেছেন, এটা অবশ্যই গর্বের বিষয়। ভালো মানের গবেষণা অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। গবেষনার মান বৃদ্ধির জন্য আমরা বাইরের দেশের সঙ্গে কোলাবরেশন বৃদ্ধি এবং অর্থায়নের বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।”

তিনি বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউরেস (সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্স সিস্টেম) কেন্দ্রিক তিন বছর বা এক বছরের বিভিন্ন প্রজেক্ট আমরা দিচ্ছি। এতে করে ছাত্ররা এখানে বিভিন্ন প্রবলেম আইডেন্টিফাই করবে এবং তা সমাধানের জন্য কাজ করবে। এটা কার্যকর হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিদেশে যেতে উদ্বুদ্ধ হবে না, এখান থেকেই তারা ভালো মানের গবেষক হতে পারবে।”

ঢাকা/আইনুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স য় ন ট ফ ক ইনড ক স

এছাড়াও পড়ুন:

কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের মন্তব্যে ভারতে ক্ষোভ, কী বলেছেন তিনি

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির সাধারণত আলোচনার কেন্দ্রে আসেন না। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে খবরের শিরোনাম হয়ে উঠেছেন তিনি—শুধু পাকিস্তানে নয়, সীমানা পেরিয়ে ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন কূটনৈতিক কেন্দ্রেও।

ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর কয়েক দিন আগে কাশ্মীর নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন আসিম মুনির। তাঁর এসব মন্তব্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবস্থান ও আঞ্চলিক উত্তেজনায় তাদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মীরকে পুরোপুরি নিজেদের বলে দাবি করে। কিন্তু তারা এটির একেক অংশ শাসন করে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রে রয়েছে এ ভূখণ্ড।

জেনারেল মুনিরের বক্তব্য যদিও প্রত্যক্ষভাবে পেহেলগামের হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, তবু তাঁর বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এটিকে বেশি আগ্রাসী মনোভাবের হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল আসিম মুনিরকে বর্তমানে পাকিস্তানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়। দেশটির রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ, সরকারকে ক্ষমতায় বসানো ও অপসারণে দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনী নানা ভূমিকা রাখছে বলে অভিযোগ করা হয়ে থাকে। এখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী প্রতিবেশী এ দুই দেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছেন তিনি।

ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’

২০২২ সালের নভেম্বরে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেন জেনারেল মুনির। দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁকে প্রকাশ্যে তেমন কথা বলতে শোনা যায়নি। তবে তাঁর একটি বক্তব্য ব্যাপকভাবে মনোযোগ কেড়েছে।

আরও পড়ুনভারতে অনলাইনে ছড়ানো হচ্ছে মুসলিমবিদ্বেষী গান, কনটেন্ট২৯ এপ্রিল ২০২৫

ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’

জেনারেল মুনিরের এ বক্তব্যের সঙ্গে পেহেলগামে হামলার কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকতে পারে। কেননা পাকিস্তানের নেতারা অনেক বছর ধরেই এমন ধরনের আদর্শিক বক্তব্য–বিবৃতি দিয়ে আসছেন।

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার স্থলে ছড়িয়ে আছে চেয়ার–টেবিল

সম্পর্কিত নিবন্ধ