এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্সে স্থান পেয়েছেন সিকৃবির ১৮৯ গবেষক
Published: 20th, January 2025 GMT
অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স র্যাংকিংয়ে বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ১৮৯ জন শিক্ষক ও গবেষক।
সম্প্রতি প্রকাশিত অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স র্যংকিং-২০২৪ এ সিকৃবি শিক্ষক ও গবেষকদের এ অভাবনীয় সাফল্য দেখা যায়।
এ তালিকায় স্থান পাওয়া সিকৃবির শীর্ষ ১০ গবেষকের মধ্যে রয়েছেন- এক্যুয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড.
আন্তর্জাতিক মানের এ সূচকটির ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, গবেষকদের মোট ১৪টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স র্যাংকিং এর সর্বশেষ তালিকায় বাংলাদেশের ১৬ হাজার ৬৪২ জন গবেষক স্থান পেয়েছেন। গবেষকদের গুগল স্কলারের রিসার্চ প্রোফাইলের বিগত ছয় বছরের গবেষণার এইচ ইনডেক্স, আইটেন ইনডেক্স ও সাইটেশন স্কোরের ভিত্তিতে এ র্যাঙ্কিং করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মত একটি ছোট ক্যাম্পাস থেকে এতজন গবেষক শীর্ষ গবেষকদের তালিকায় এসেছেন, এটা অবশ্যই গর্বের বিষয়। ভালো মানের গবেষণা অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। গবেষনার মান বৃদ্ধির জন্য আমরা বাইরের দেশের সঙ্গে কোলাবরেশন বৃদ্ধি এবং অর্থায়নের বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউরেস (সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্স সিস্টেম) কেন্দ্রিক তিন বছর বা এক বছরের বিভিন্ন প্রজেক্ট আমরা দিচ্ছি। এতে করে ছাত্ররা এখানে বিভিন্ন প্রবলেম আইডেন্টিফাই করবে এবং তা সমাধানের জন্য কাজ করবে। এটা কার্যকর হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিদেশে যেতে উদ্বুদ্ধ হবে না, এখান থেকেই তারা ভালো মানের গবেষক হতে পারবে।”
ঢাকা/আইনুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স য় ন ট ফ ক ইনড ক স
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।
ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।
অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।
ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়