গাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এ উৎসবকে ঘিরে বিভাগ ভিত্তিক স্টলগুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়। পুরো কলেজ আঙিনা পরিণত হয়েছিল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায়।

গত বছরের ন্যায় সোমবার (২০ জানুয়ারি) কলেজ মাঠে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পিঠাপুলির সঙ্গে নতুন প্রজন্মের পরিচয় করিয়ে দিতেই এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, কন্ট্রোল রুমসহ মাঠে ২৪টি স্টল বরাদ্দ ছিল। এতে অংশ নেন উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক (সম্মান), স্নাতক (পাস) শ্রেণির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীসহ বিএনসিসি, রোভার ও রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা। অংশগ্রহণকারীরা তাদের নিজস্ব উদ্যোগ ও সৃজনশীলতায় পিঠার স্টলগুলো সাজিয়েছেন ভিন্ন সাজে। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ফুটে ওঠেছে স্টলগুলোতে। প্রতিটি স্টলেই ছিল নিজস্বতার শৈল্পিক ছোঁয়া। 

কলেজ আঙিনায় জুলাই বিপ্লবের বীরত্ব গাঁথার গল্প ফুটিয়ে তোলা হয় বিভিন্ন ফেস্টুনে। শহীদ আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধের হাস্যোজ্জ্বল ছবির পাশাপাশি আগত দর্শনার্থীদের অশ্রুসিক্ত করেছে কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী শহীদ তানজিল মাহমুদ সুজয়ের হাসিমাখা ছবির ফেস্টুন।

প্রতিটি স্টলে পরিবেশিত হয় ঐতিহ্যবাহী ও সুস্বাদু পিঠার নানা রকমফের। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- চিতই, পাটিসাপটা, নারকেলের সন্দেশ, দুধপিঠা এবং পুলি।

চেনা-জানা পিঠাকেও আকর্ষণীয় উপস্থাপন করা হয় বাহারি নামে। অতিরঞ্জিত কোনো অফার ছাড়াই সাশ্রয়ী মূল্য তালিকায় আস্থা ছিল দর্শনার্থী ও পিঠা প্রেমীদের।

বিভিন্ন বিভাগের ফটো বুথেও ছিল আগতদের দৃশ্যমান ভিড়। উৎসবময় দিনকে ফ্রেমবন্দি করে অনেকেরই স্মৃতি জমাতে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়।

কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও অভিভাবক, অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষার্থীসহ অনেকেই ভিড় করেন এ আয়োজনে। কেউ এসেছেন একা, আবার কেউ পরিবার, বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে দলবেঁধে।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, এ উৎসবের মাধ্যমে তারা পিঠা তৈরি ও পরিবেশনের মাধ্যমে নিজেদের সাংস্কৃতিক শেকড়ের সঙ্গে গভীরভাবে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। অনেকে পিঠার সঙ্গে নিজেদের শৈশবের স্মৃতি ভাগ করে নিয়ে পরিবেশটিকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলেন।

সকালে অধ্যক্ষ অধ্যাপক ছানোয়ারা সুলতানার উদ্বোধনের মাধ্যমে শুরু হয় উৎসব। পিঠার স্বাদ এবং সৃজনশীল উপস্থাপনার ওপর ভিত্তি করে সেরা স্টলগুলোকে পুরস্কৃত করা হয়।

উৎসব শেষে উপস্থিত সবাই এই আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং প্রতি বছর এ ধরনের আয়োজনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

(লেখক: শিক্ষার্থী, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ, গাজীপুর)
 

ঢাকা/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

চ্যাম্পিয়নস লিগ: কোথায় হবে ২০২৮ ও ২০২৯ সালের ফাইনাল

ইউরোপের সেরা ক্লাবগুলোর লড়াই চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল মানেই তো এক বিরাট উৎসব। আর সেই উৎসবের মঞ্চ হতে পারাটাও বিশাল ব্যাপার। উয়েফার এক বিবৃতিতে জানা গেছে, ২০২৮ সালে আবারও চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল হবে বায়ার্ন মিউনিখের মাঠে। তার ঠিক পরের বছর, অর্থাৎ ২০২৯ সালের ফাইনালের আয়োজক হওয়ার দৌড়ে মুখোমুখি লন্ডন স্টেডিয়ামের ওয়েম্বলি ও বার্সেলোনার নবসাজে সজ্জিত ক্যাম্প ন্যু স্টেডিয়াম।

ইউরোপিয়ান ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা উয়েফা গতকাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে যেসব সংস্থা ফাইনাল আয়োজনের আগ্রহ দেখিয়েছে, সেই তালিকা তৈরি হয়েছে। যে তালিকা থেকেই বোঝা যাচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে যে গুঞ্জন ছিল—নিউইয়র্কে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল হবে, তা অন্তত ২০৩০ সালের আগে হচ্ছে না।

২০২৮ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের আয়োজক হওয়ার জন্য একমাত্র প্রার্থী মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘নয়া মানুষ’
  • সুন্দরবনে দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু আজ, এবারও নেই মেলার আয়োজন
  • শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
  • ‘মবের’ পিটুনিতে নিহত রূপলাল দাসের মেয়ের বিয়ে আজ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • চ্যাম্পিয়নস লিগ: কোথায় হবে ২০২৮ ও ২০২৯ সালের ফাইনাল
  • ডাইনির সাজে শাবনূর!
  • প্রার্থনার সুরে শেষ হলো ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব 
  • ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
  • টগি ফান ওয়ার্ল্ডে উদযাপিত হলো হ্যালোইন উৎসব