ডিজিটালাইজেশন বিশ্বকে সমূলে বদলে দিয়েছে। বিপরীতে সাইবার আক্রমণ, সিস্টেমের দুর্বলতার অপব্যবহার ও র‌্যানসমওয়্যার হামলার ঝুঁকি বেড়ে চলেছে। ফলে তথ্য চুরি, ক্ষতি ও হারানোর ঘটনা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। কিন্তু ডিজিটাল অর্থনীতির উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির জন্য তথ্যের গুরুত্ব ও নিরাপত্তা দুটোই জরুরি। ডিজিটাল অর্থনীতির মেরুদণ্ড ও তথ্য সুরক্ষার শেষ স্তর হলো ডেটা স্টোরেজ, যা বহুমুখী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জরুরি উপাদান।
কমন ক্রাইটেরিয়া (সিসি) ইভ্যালুয়েশন অ্যাসুরেন্স লেভেল (ইএএল) ফোরপ্লাস নিরাপত্তা সনদ অর্জন করেছে ওশানস্টোর ডোরাডো অল-ফ্ল্যাশ স্টোরেজ। সনদটি স্টোরেজ পরিষেবায় সর্বোচ্চ স্তরের নিরাপত্তা নির্দেশ করে। নেদারল্যান্ডসের ডেলফ্‌টে অবস্থিত এসজিএস ব্রাইটসাইট ও ট্রাস্টসিবি সনদটি অনুমোদন ও প্রদান করে।
ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে তথ্য অবকাঠামোর অন্যতম নিরাপদ ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে ওশানস্টোর ডোরাডো অল-ফ্ল্যাশ স্টোরেজ। যার নির্মাতা প্রযুক্তি ব্র্যান্ড হুয়াওয়ে। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অভ্যন্তরীণ সংশ্লিষ্ট ফিচার ও বহুস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার সমন্বয়ে তৈরি। আর্কিটেকচার ডিজাইন, সোর্স কোড ডেভেলপমেন্ট এনভায়রনমেন্ট, রিলিজ ও ডেপ্লয়মেন্ট তার মধ্যে অন্যতম। র‌্যানসমওয়্যার থেকে সুরক্ষা, ডেটা চুরি প্রতিরোধ, ব্যাকআপ, পুনরুদ্ধারসহ নির্ভরযোগ্য ডেটা সঞ্চালনের সুবিধার মাধ্যমে এটি ডেটার স্থায়িত্ব বাড়ায়।
পরিষেবায় আইটি পণ্য বা সল্যুশনের নিরাপত্তা, নির্ভরযোগ্যতা ও সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেয় সিসি ইএএল। ডিজিটাল পণ্যের নিরাপত্তা সনদ প্রদানে এটি বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত। সনদে ইএএল-ওয়ান থেকে শুরু করে ইএএল-সেভেন পর্যন্ত মান নির্ধারিত হয়। প্রতিটি স্তরে পৌঁছাতে প্রয়োজন হয় বিস্তারিত ডকুমেন্টেশন ও কঠোর পরীক্ষা। প্রতিটি স্তরে উন্নীত হলে উচ্চতর মাত্রার নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।
ইএএল থ্রিপ্লাসের তুলনায় ইএএল ফোরপ্লাস উচ্চ মাত্রার নিরাপত্তা দেয়। নির্মাতা ব্র্যান্ড ২০২১ সালে সনদটি পেয়েছিল। নিরাপত্তা ফাংশন, পরীক্ষা ও ডিজাইন, সিকিউরিটি ও সোর্স কোডের ইন-ডেপথ রিভিউ ইএএল ফোরপ্লাসকে স্টোরেজ পণ্যের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা স্তর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

৩০ ক্রাসার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

সিলেটে অবৈধ ক্রাসার মেশিনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। শনিবার (১৪ জুন) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সিলেট সফরকালে এ মেশিনের জন্য বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার ঘোষণা দেন।

ক্রাসার মেশিন হলো এক ধরনের যন্ত্র যা পাথর, আকরিক বা অন্যান্য উপকরণকে ছোট ছোট টুকরায় ভেঙে ফেলার জন্য ব্যবহৃত হয়।

সোমবার (১৬ জুন) সিলেট শহরতলীর ধোপাগুল এলাকায় যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে ৩০টি ক্রাসার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। এ সময় ২৬টি বৈদ্যুতিক মিটার জব্দ করা হয়।

আরো পড়ুন:

নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু

গ্রাহকদের জরুরি বার্তা দিল ডেসকো

পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ধোপাগোলসহ আশপাশের এলাকায় কোনো ধরনের পরিবেশগত ছাড়পত্র (ইআইএ) ও বৈধ অনুমোদন ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে বেশকিছু ক্রাসার মিল চলছিল। এতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল স্থানীয় পরিবেশ। পরিবেশ রক্ষার অংশ হিসাবে অভিযান চালিয়ে ৩০টি ক্রাসার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ২৬টি মিটার জব্দ করা হয়েছে।

সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোশূর রুবাইয়াত জানান, ধোপাগোলে বিদ্যুৎ বিভাগসহ সমন্বিত অভিযান হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‌্যাবের একাধিক টিম।

এদিকে, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রবিবার (১৫ জুন) রাতে গোয়াইনঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওবায়েদ উল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদ জানান, সরকারি কাজে বাধা দেয়া, উপদেষ্টাদের সড়ক অবরোধ ও জনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগে একটি মামলা রুজু হয়েছে। মামলায় গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ খানকে প্রধান করে ১৫৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র জাফলং পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় বালু–পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকেরা। শনিবার (১৪ জুন) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে গোয়াইনঘাটের বল্লাঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও শ্রমিক দলের স্থানীয় কয়েকজন নেতাকে এ বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়।

শনিবার সকালে জাফলং এলাকা পরিদর্শনে যান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। সেখান থেকে ফেরার পথে বল্লাঘাট এলাকায় তাঁদের গাড়িবহর আটকে বালু–পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকেরা বন্ধ থাকা জাফলংসহ সিলেটের পাথর কোয়ারি চালুর দাবিতে স্লোগান দেন।

একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, দুই উপদেষ্টা জাফলং পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা জানান, পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে জাফলংসহ সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি আর ইজারা দেয়া হবে না। এরপরই কিছু ব্যক্তি বিক্ষোভ শুরু করেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর উপদেষ্টারা গাড়িতে ওঠেন। ফেরার পথে বল্লাঘাট এলাকায় স্থানীয় বালু-পাথর ব্যবসায়ী, শ্রমিকসহ কয়েকশত মানুষ পাথর কোয়ারির ইজারা দেয়ার দাবিতে তাদের গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভ করেন। পাঁচ থেকে সাত মিনিট দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে রাখেন তারা। পরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিলে উপদেষ্টারা সিলেটে চলে আসেন।
 

ঢাকা/নূর/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ