নিরাপত্তায় স্বীকৃতি পেল বিশেষ স্টোরেজ
Published: 21st, January 2025 GMT
ডিজিটালাইজেশন বিশ্বকে সমূলে বদলে দিয়েছে। বিপরীতে সাইবার আক্রমণ, সিস্টেমের দুর্বলতার অপব্যবহার ও র্যানসমওয়্যার হামলার ঝুঁকি বেড়ে চলেছে। ফলে তথ্য চুরি, ক্ষতি ও হারানোর ঘটনা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। কিন্তু ডিজিটাল অর্থনীতির উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির জন্য তথ্যের গুরুত্ব ও নিরাপত্তা দুটোই জরুরি। ডিজিটাল অর্থনীতির মেরুদণ্ড ও তথ্য সুরক্ষার শেষ স্তর হলো ডেটা স্টোরেজ, যা বহুমুখী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জরুরি উপাদান।
কমন ক্রাইটেরিয়া (সিসি) ইভ্যালুয়েশন অ্যাসুরেন্স লেভেল (ইএএল) ফোরপ্লাস নিরাপত্তা সনদ অর্জন করেছে ওশানস্টোর ডোরাডো অল-ফ্ল্যাশ স্টোরেজ। সনদটি স্টোরেজ পরিষেবায় সর্বোচ্চ স্তরের নিরাপত্তা নির্দেশ করে। নেদারল্যান্ডসের ডেলফ্টে অবস্থিত এসজিএস ব্রাইটসাইট ও ট্রাস্টসিবি সনদটি অনুমোদন ও প্রদান করে।
ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে তথ্য অবকাঠামোর অন্যতম নিরাপদ ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে ওশানস্টোর ডোরাডো অল-ফ্ল্যাশ স্টোরেজ। যার নির্মাতা প্রযুক্তি ব্র্যান্ড হুয়াওয়ে। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অভ্যন্তরীণ সংশ্লিষ্ট ফিচার ও বহুস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার সমন্বয়ে তৈরি। আর্কিটেকচার ডিজাইন, সোর্স কোড ডেভেলপমেন্ট এনভায়রনমেন্ট, রিলিজ ও ডেপ্লয়মেন্ট তার মধ্যে অন্যতম। র্যানসমওয়্যার থেকে সুরক্ষা, ডেটা চুরি প্রতিরোধ, ব্যাকআপ, পুনরুদ্ধারসহ নির্ভরযোগ্য ডেটা সঞ্চালনের সুবিধার মাধ্যমে এটি ডেটার স্থায়িত্ব বাড়ায়।
পরিষেবায় আইটি পণ্য বা সল্যুশনের নিরাপত্তা, নির্ভরযোগ্যতা ও সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেয় সিসি ইএএল। ডিজিটাল পণ্যের নিরাপত্তা সনদ প্রদানে এটি বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত। সনদে ইএএল-ওয়ান থেকে শুরু করে ইএএল-সেভেন পর্যন্ত মান নির্ধারিত হয়। প্রতিটি স্তরে পৌঁছাতে প্রয়োজন হয় বিস্তারিত ডকুমেন্টেশন ও কঠোর পরীক্ষা। প্রতিটি স্তরে উন্নীত হলে উচ্চতর মাত্রার নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।
ইএএল থ্রিপ্লাসের তুলনায় ইএএল ফোরপ্লাস উচ্চ মাত্রার নিরাপত্তা দেয়। নির্মাতা ব্র্যান্ড ২০২১ সালে সনদটি পেয়েছিল। নিরাপত্তা ফাংশন, পরীক্ষা ও ডিজাইন, সিকিউরিটি ও সোর্স কোডের ইন-ডেপথ রিভিউ ইএএল ফোরপ্লাসকে স্টোরেজ পণ্যের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা স্তর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম
উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।
এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঢাকা/রায়হান/রফিক