Risingbd:
2025-06-15@21:13:47 GMT

মিষ্টি কুমড়ার মণ ৫০০ টাকা

Published: 22nd, January 2025 GMT

মিষ্টি কুমড়ার মণ ৫০০ টাকা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলায় ক্ষেতেই পচে নষ্ট হচ্ছে মিষ্টি কুমড়া। অধিক লাভের আশায় গতবারের থেকে বেশি জমিতে চাষ করা এ সবজিটি বাজারজাতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন কৃষকরা। ফলে লোকসান হচ্ছে তাদের। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের মিষ্টি কুমড়া সংরক্ষণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

কৃষকরা জানান, মৌসুমের শুরুতে এই সবজি ১২০০-১৪০০ টাকা মণ বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকার কম দামে। 

উপজেলা কৃষি অফিসের পরিসংখ্যান মতে- ভোলাহাটে এবার মিষ্টি কুমড়া চাষ হয়েছে ১ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে। গত বছর কৃষকেরা মিষ্টি কুমড়া আবাদ করে লাভবান হওয়ায় এবার ৭০০ হেক্টর বেশি জমিতে এই সবজি চাষ করেছেন সেখানকার কৃষকরা।

আরো পড়ুন:

পতিত জমিতে ওলকপি চাষে সফল কৃষক আউয়াল

ঠাকুরগাঁওয়ে ফুলকপির কেজি ২ টাকা 

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার তালপল্লী থেকে ফলিমারি রাস্তার দুই পাশে মিষ্টি কুমড়া স্তূপ করে রেখেছেন কৃষকরা। আগের বছরগুলোয় জমি থেকে সবজিটি বিক্রি হয়ে গেলেও এখন তা হচ্ছে না। জমিতে থেকে বিক্রি না হওয়ায় ক্ষেত থেকে তুলে রাস্তার পাশে অস্থায়ী বাজার বানিয়ে মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করছেন কৃষকরা। তবে, এবার পাইকারদের মধ্যে মিষ্টি কুমড়া কেনার আগ্রহ কম। যে কারণে মৌসুমের শুরুতে এই সবজি ১২০০-১৪০০ টাকা মণ বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকার কম দামে। 

মিষ্টি কুমড়ার চাষি আব্দুস সামাদ বলেন, “মৌসুমের শুরুতে ১৪০০ টাকা মণ ছিল মিষ্টি কুমড়া। এখন ৫০০ টাকা মণেও বিক্রি করতে পারি না। আমার মিষ্টি কুমড়া ক্ষেতেই পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।”

কৃষক মো.

হুসেন আলী বলেন, “জমিতে বোরো ধান চাষ করব ভেবে মিষ্টি কুমড়া তুলে রাস্তায় নিয়ে রেখেছি। এখন বিক্রি করতে পারছি না। এখানে ৪০০-৪৫০ টাকা মণ দরে পাইকাররা কিনতে চাচ্ছে।”

চাষি মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, “সময় মতো বীজ না পাওয়ার কারণে জমি চাষা করতে দেরি হওয়ায় ফলন দেরিতে হয়েছে। শীতকালীন সবজি বাজারে আসার কারণে মিষ্টি কুমড়ার দাম কমে যাচ্ছে।” 

মিষ্টি কুমড়ার পাইকারি ব্যবসায়ী মো. মাসুদ বলেন, “এখন মিষ্টি কুমড়ার চাহিদা খুব কম। এলাকা থেকে কিনে এই সবজিটি ঢাকায় নিয়ে যায়। তাও বিক্রি করতে পারি না। অধিক পরিমাণ উৎপাদন ও শীতকালিন সবজি বাজারে ভরপুর থাকায় ভোক্তাদের কাছে মিষ্টি কুমড়ার চাহিদা কমেছে।” 

ভোলাহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সুলতান আলী বলেন, “বাজারে সবজির যোগান বেশি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে সব কৃষি পণ্যের দাম কমে গেছে। ভোলাহাটে মিষ্টি কুমড়ার উৎপাদন ভালো হওয়াতে তুলনামূলক দাম কমেছে।” 

তিনি আরো বলেন, “আগামী ছয় মাস পর্যন্ত পরিপক্ক মিষ্টি কুমড়া ভালো থাকবে। মিষ্টি কুমড়া সংরক্ষণ রেখে কয়েকমাস পরে বিক্রি করলে ভালো দাম পাবেন কৃষকরা।”

ঢাকা/মেহেদী/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফসল ৫০০ ট ক ন ক ষকর হওয় য় উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সাগরে ইলিশ মিলছে কম, চড়া দাম আড়তে

নিষেধাজ্ঞা শেষে দীর্ঘ বিরতির পর আবারও সরগরম হয়ে উঠেছে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বৃহত্তম সামুদ্রিক মৎস্য আড়ত কেবি বাজার। সাগরে প্রায় দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় আবারও সরগরম হয়ে উঠেছে বাগেরহাটের ভৈরবতীরের এ মাছ বাজার। 

সাগরে মাছ আহরণ শেষে শুক্রবার ভোরে কেবি বাজার ঘাটে দুটি ট্রলার ভেড়ে। তবে মাছের পরিমাণ চাহিদার তুলনায় অনেক কম। ব্যবসায়ীরা জানান, ৫৮ দিনের অবরোধ শেষে সাগর থেকে এই প্রথম দুটি ট্রলার এসেছে। তবে এসব ট্রলারে মাছের পরিমান খুবই কম। ফলে দাম অনেক বেশি। 

জেলে রুহুল জানান, তাদের ট্রলার সাগরে যাওয়ার পরে মাত্র কয়েকবার জাল ফেলতে পেরেছেন। এতে অল্প কিছু ইলিশসহ নানা ধরনের মাছ পেয়েছেন। পরে ট্রলারে সমস্যা হওয়ায় চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন। 

শুক্রবার বাজারে ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, আধা কেজি থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি এবং এক কেজি ওজনের ইলিশ ২ হাজার থেকে ২৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

এ ছাড়া রূপচাঁদা আকার ভেদে প্রতিকেজি ৫০০ থেকে ১২০০ টাকা, কঙ্কন, তুলারডাটি, ঢেলা চ্যালা, ভেটকি, লইট্টা, ছুরি, জাবা, বিড়াল জাবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ একশ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সাগর থেকে বেশি করে ট্রলারের আগমন ও মাছের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে দাম কমবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। 

মোরেলগঞ্জ থেকে মাছ কিনতে আসা তৈয়ব মুন্সি বলেন, সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা চলাকালে তিনি বাজারে আসেননি। অনেক দিন পরে আজই বাজারে এসেছেন, তবে দাম অনেক বেশি। তারপরও কিছু মাছ কিনেছেন। বেশি দামে মাছ কিনে এলাকায় বিক্রি করে লোকসানের শঙ্কা জানান তিনি। 

কেবি বাজার আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনুপ কুমার বিশ্বাস বলেন, নিষেধাজ্ঞার পর শুক্রবার প্রথমবারে সাগর থেকে ট্রলার এসেছে। জেলেরা তেমন মাছ পায়নি। তবে বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক পাইকার আসছে। যার কারণে দাম কিছুটা বেশি। সাগরে বেশি পরিমাণ মাছ ধরা পড়লে দাম কিছুটা কমবে বলে জানান তিনি।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত সাগরে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ ছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাগরে ইলিশ মিলছে কম, চড়া দাম আড়তে