অস্ট্রেলিয়ার উৎসবে ‘দ্য লাস্ট ওয়ার্ড’
Published: 22nd, January 2025 GMT
নির্মাতা সাদেক সাব্বির পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘দ্য লাস্ট ওয়ার্ড’ অস্ট্রেলিয়ার সোলাস্টা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফ্যাস্টিভ্যালে [এসআইএফএফ] আমন্ত্রণ পেয়েছে। আগামী মে মাসে সিডনি শহরে অনুষ্ঠিতব্য চার দিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক উৎসবে ২৫টি দেশের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। সোলাস্টা ক্রিয়েটিভি কাউন্সিল আয়োজিত এ উৎসবের মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে ‘দ্য লাস্ট ওয়ার্ড’।
চলচ্চিত্রটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ, মনিরুজ্জামান লিপন, রাজু খান, সাবরিন আজাদ এবং আইমন শিমলা।
উৎসবের আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে সাদেক সাব্বির বলেন, ‘এটি শুধু আমার জন্য নয়, বরং পুরো বাংলাদেশের জন্য আনন্দের একটি সংবাদ। এর আগে এ চলচ্চিত্র নিয়ে আমরা দক্ষিণ কোরিয়ায় দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছি। দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দাঁড়ানো সবসময়ই গর্বের বিষয়। বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের জন্য এটি একটি গর্বের মুহূর্ত। এবার অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় আসরে অংশগ্রহণ করতে পারাটা আমাদের জন্য আরেকটি বড় অর্জন।’
‘দ্য লাস্ট ওয়ার্ড’ চলচ্চিত্রটি ইতোমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়ুসো ইন্টারন্যাশনাল ওয়েব ফেস্টে আমন্ত্রণ পেয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রশংসা অর্জন করেছে। দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের আমন্ত্রণে সাদেক সাব্বির এবং চলচ্চিত্রটির অন্যতম অভিনেতা ইমতিয়াজ বর্ষণ সে উৎসবে অংশ নেন। এবার অস্ট্রেলিয়ার সোলাস্টা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে আমন্ত্রণ পেল ‘দ্য লাস্ট ওয়ার্ড’।
সোলাস্টা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মতো বৃহৎ আসরে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে তুলে ধরার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের সংস্কৃতি ও গল্পের অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।
কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।
এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।
অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।
একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।
যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’