জেনিফারের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন, ওবামার সংসার ভাঙার খবর কতটা সত্য
Published: 24th, January 2025 GMT
‘দ্য ট্রুথ অ্যাবাউট জেন অ্যান্ড বারাক’— শিরোনামে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেলিব্রিটি গসিব ম্যাগাজিন ‘ইনটাচ’ গত বছর কভার স্টোরি প্রকাশ করেছিল। পাশাপাশি লেখা হয়েছিলে, “জেনিফার অ্যানিস্টন মিশেলের স্বামীর মনোযোগ কেড়ে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তারা (জেনিফার-বারাক) পরস্পরের প্রতি মোহাচ্ছন্ন।”
ম্যাগাজিনটির এই সংখ্যা প্রকাশের পর হইচই পড়ে গিয়েছিল। তারপর জল অনেক গড়িয়েছে; আলোচনার আগুন স্তিমিত হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে হলিউড অভিনেত্রী জেনিফার অ্যানিস্টনের প্রেমের খবর নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে। এখানেই যবনিকাপাত করা যাচ্ছে না। কারণ বারাক ওবামার সঙ্গে তার স্ত্রী মিশেল ওবামার সংসারও ভেঙে যাচ্ছে বলে আজব দুনিয়ায় গুজব উড়ছে!
মূলত, ‘মেলানি কিং’ নামে একটি এক্স (টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া পোস্টকে কেন্দ্র করে আলোচনায় বারাক ওবামা-জেনিফার। এ পোস্টে বলা হয়েছে, “ জেনিফার অ্যানিস্টনের এক বন্ধুর ফাঁস হওয়া ক্ষুদে বার্তা থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে, বারাক ওবামার সঙ্গে ডেটিং করছেন জেনিফার এবং মিশেলকে ডিভোর্স দিচ্ছেন। সে (বারাক ওবামা) এখন জেনিফারের সঙ্গে আছেন। জেনিফার বন্ধুদের আড্ডায় এ কথা স্বীকার করেছেন।”
আরো পড়ুন:
যারা পেলেন এবারের অস্কার মনোনয়ন
প্রখ্যাত পরিচালক ডেভিড লিঞ্চ মারা গেছেন
সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘মেলানি কিং’-এর পোস্টটি এখন ভাইরাল। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন একটি ঘটনা। গত ২০ জানুয়ারি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি হিসেবে স্বামী বারাক ওবামার সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল মিশেল ওবামার। কিন্তু সেখানে দেখা যায়নি তাকে। মিশেলের অনুপস্থিতি ওবামার সঙ্গে সংসার ভাঙার গুঞ্জনের আগুনে ঘি হিসেবে কাজ করেছে। ফলে, নেটিজেনরাও দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়েছেন।
বারাক ওবামার সঙ্গে দাম্পত্য জীবন ভালো যাচ্ছে না— এ কারণে ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে যাননি মিশেল। এ যুক্তির পাল্টা যুক্তিও রয়েছে। তা হলো— ট্রাম্প-মিশেলের দ্বন্দ্ব। আটলান্টায় এক সমাবেশে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি মিশেলকে ‘বিদ্বেষী’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। এ নিয়েও পাল্টা মন্তব্য করেছিলেন মিশেল। সঙ্গত কারণে ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে মিশেলের না যাওয়াই স্বাভাবিক!
বারাক ওবামার সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন নিয়ে নানা চর্চা হাওয়ায় ভেসে বেড়ালেও মুখ খুলেননি অভিনেত্রী জেনিফার অ্যানিস্টন। তবে ‘ইনটাচ’ খবর প্রকাশের পর গত বছর কথা বলেছিলেন ‘দ্য ব্রেক আপ’খ্যাত এই তারকা। টিভি সাক্ষাৎকারে পরিষ্কারভাবে এই অভিনেত্রী বলেছিলেন— “এটি একেবারেই মিথ্যা।” পরে মজা করে বলেছিলেন, “আমি কি পাগল।”
বারাক ওবামার সঙ্গে জেনিফার একবার দেখা করার সুযোগ পেয়েছিলেন। তা স্মরণ করে এ অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘আমি তার সঙ্গে একবার দেখা করেছিলাম। তার চেয়ে মিশেলকে আমি ভালো জানি।”
এসব উটকো ব্যাপার নিয়ে বারাক ওবামার কথা বলার ফুসরত আছে বলে মনে করেন না নেটিজেনদের একাংশ। বরং ভালোবাসার মানুষ নিয়ে দিব্যি ভালো সময় পার করছেন ৬৬ বছরের বারাক ওবামা। তার প্রমাণ মেলে প্রাক্তন এই প্রেসিডেন্টের একটি পোস্টে।
গত ১৭ জানুয়ারি ছিল মিশেল ওবামার জন্মদিন। বিশেষ দিনে স্ত্রীর সঙ্গে তোলা ছবি মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে পোস্ট করে লেখেন— “শুভ জন্মদিন আমার ভালোবাসা, আমার জীবন মিশেল ওবামা। তোমার উষ্ণতা, বুদ্ধিমত্তা, হাস্যরস, লাবণ্যতা দিয়ে আমার প্রতিটি ঘর ভরিয়ে দিয়েছো।”
তথ্যসূত্র: ডেইলি মেইল, পিপল
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র জ ন ফ র অ য ন স টন কর ছ ল
এছাড়াও পড়ুন:
খাদি কাপড়ের জিআই স্বীকৃতিতে আনন্দে ভাসছেন কুমিল্লাবাসী
কুমিল্লার ঐতিহ্যের স্মারক খাদি কাপড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় আনন্দিত জেলার মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা দাবি জানিয়ে আসছিলেন, অবশেষে পেয়েছেন সেই সুখবর। গতকাল বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে স্বীকৃতির এই সনদ দেওয়া হয়।
কুমিল্লা নগরের কান্দিরপাড় এলাকার রামঘাটলা থেকে শুরু করে রাজগঞ্জ পর্যন্ত অন্তত ৩০০ খাদি পোশাকের দোকান। কান্দিরপাড়ের খাদি বসুন্ধরা দোকানের স্বত্বাধিকারী জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, শৈল্পিক ছোঁয়ায় কুমিল্লার খাদি এখন দেশ-বিদেশে বেশ সমাদৃত। ঐতিহ্যের খাদিতে এখন লেগেছে আধুনিকতা ও নান্দনিকতার ছোঁয়া। শত বছরের বেশি পুরোনো খাদির আরও অনেক আগেই জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়া উচিত ছিল। অবশেষে স্বীকৃতি মিলেছে, এতেই আনন্দিত সবাই।
একই এলাকার খাদি জ্যোৎস্না স্টোরের মালিক তপন পাল বলেন, ‘কুমিল্লার প্রতিটি মানুষ খাদির এমন স্বীকৃতিতে আনন্দিত। শত বছর পার হলেও এখনো দেশ-বিদেশে খাদি কাপড়ের ব্যাপক চাহিদা।’
কুমিল্লার ইতিহাস গবেষক আহসানুল কবীর প্রথম আলোকে বলেন, ১৯২১ সালে মহাত্মা গান্ধীর ডাকে সমগ্র ভারতবর্ষে অসহযোগ আন্দোলনের সময় কুমিল্লায় খাদিশিল্প প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ওই সময় বিদেশি পণ্য বর্জন করার জন্য আওয়াজ ওঠে। সর্বত্র এক আওয়াজ ‘মোটা কাপড়-মোটা ভাত’। সে সময় ভারতবর্ষের মানুষ দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে খাদি পোশাক ব্যবহার শুরু করেছিলেন। খাদের (গর্তে) চরকায় বসে এ কাপড় তৈরি করা হয় বলে এর নামকরণ হয় ‘খাদি’। শুরুতে মহাত্মা গান্ধী নিজেও কুমিল্লায় এসে খাদের চরকায় বসে খাদি কাপড় তৈরিতে উৎসাহ দেন।
এই গবেষক আরও বলেন, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ভারত পৃষ্ঠপোষকতা প্রত্যাহার করে নিলে কুমিল্লার খাদিশিল্প সংকটে পড়ে। এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হাল ধরেন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বার্ড) প্রতিষ্ঠাতা আখতার হামিদ খান।
কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার বলেন, জেলা প্রশাসনের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় গত বছর কুমিল্লার রসমালাই জিআই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কুমিল্লার খাদি ও বিজয়পুরের মৃৎশিল্পের জিআই স্বীকৃতির জন্য তখন থেকেই কাজ শুরু হয়। কুমিল্লার ‘ব্র্যান্ড’ হিসেবে পরিচিত তিনটি পণ্যের মধ্যে দুটি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। যে একটি বাকি আছে, সেটিও দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বীকৃতি পাবে বলে তিনি আশাবাদী।