তাশদিক নমিরা আহমেদ। অভিনেত্রী ও মডেল । ২০১১ সালে পথচলা শুরু। টানা আট বছর ব্যস্ত ছিলেন নৃত্য, মডেলিং ও অভিনয় নিয়ে। হঠাৎ করেই বিরতি দিয়েছেন। বিরতি ভেঙে ফের কাজে ফিরেছেন তিনি। গেলো বছরে শুরু থেকেই অভিনয়ে নিয়মিত হয়েছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন বুলবুল ফাহিম।

বছরের শুরুতে ওয়েব সিরিজ ‘ব্ল্যাকমানি’ মুক্তি পেলো.

..
হ্যাঁ। এটির অনুভূতি দারুণ। চরিত্র ছোট হলেও দারুণ এনজয় করেছি।

আট বছর কাজের পর হঠাৎ দীর্ঘ বিরতির কারণ?
চার-পাঁচ বছরের একটি লম্বা বিরতিতে ছিলাম। মূলত পারিবারিক ও মাতৃত্বজনিত কারণে এ বিরতি নেওয়া। আমার ছেলেমেয়ে দুইজন। ওরা একদম ছোট। বিরতির ফাঁকে ফাঁকে দু’একটা নাচের অনুষ্ঠান করেছি। এক বছর আগে একটি সিনেমা দিয়ে আবারও শুরু করলাম। সবাই স্বাগত জানিয়েছে। বিষয়টি আমার খুবই ভালো লেগেছে।

বিরতি থেকে ফিরে ইন্ডাস্ট্রিতে কী পরিবর্তন দেখেছেন?
অনেক পরিবর্তন। কারণ, আমি যখন নিয়মিত কাজ করেছি তখন ইউটিউবও অতটা জনপ্রিয় ছিল না। এখন টেলিভিশন, ইউটিউব, ওটিটিসহ আরও অনেক মাধ্যম। এখন অনেকেই টিটিভির জন্য ফোন দিয়ে বলেন আপু, একটি ওভিসি আছে। তখন অবাক হই। কারণ, এটি নিয়ে আমার জানাশোনাই ছিল না। মনে হয় আমি এখন নতুন জগতে এসেছি। বলা চলে, আবার নতুন করে শুরু হয়েছে। এখন নতুন ও পুরাতন পরিচালক, নতুন শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করছি। সবার সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি।

বাচ্চা হওয়ার পর নায়িকাদের ফিটনেস নিয়ে একটা সমস্যা থাকে। কিন্তু আপনার ক্ষেত্রে সেটা উল্টো।
এটার পেছনে আছে কঠোর পরিশ্রম। পরপর মা হওয়ার পরও আমি নিজেকে অনেক ফিট রাখার চেষ্টা করেছি। কারণ, আমার চিন্তুা ছিল আমাকে কামব্যক করতেই হবে। যেহেতু আমার ব্যকগ্রাউন নাচ সেহেতু কিছু করি বা না করি পৃথিবী উল্টে গেলেও এটা আমাকে নাচ করতেই হবে। সেই জায়গা থেকে সবকিছু নিয়ম মাফিক করেছি।

একটা সময় একসঙ্গে আপনি অনেক কাজ করেছেন...
আমার মনে আছে, আমি বিরতিতে যাওয়ার এক দিন আগেও আমি একসঙ্গে ৮টি সিরিয়ালে কাজ করেছি। সেই সঙ্গে একক নাটক তো ছিলই। কয়েক মাস হলো আমি আবার সেটি অনুভব করছি। ব্যাক টু ব্যাক কাজের মধ্যেই আছি।

নাটকের মান নিয়ে এখন অনেক প্রশ্ন। বিশেষ করে ইউটিউবে...
এ জায়গায় অন্তত তাল মেলানো যাবে না। কারণ, আমার যে জায়গা সেখান থেকে আমি যদি বিচ্যুত হই তাহলে আমার দর্শকই আমাকে গালি দেবে। এখন ইউটিউবে যে নাটক হচ্ছে তার মধ্যে বেশির ভাগই মানহীন। এমন অনেক নাটকে অভিনয়ের প্রস্তাব এসেছে। সোজা না করে দিয়েছি। আমি যে মানে আগে কাজ করতাম এখনও সে মানেই কাজ করছি। আগামীতেও মান বজায় রেখে কাজ করার চেষ্টা করব।

আপনি যে সময়টাতে কাজ করেছেন সেই সময়ের শিল্পীরা এখন ওটিটিমুখী...
এটা ঠিক। কিন্তু আমিও এই প্ল্যাটফর্মে কাজ করছি। তবে ভালো লাগছে এই ভেবে আমার যে জায়গা আমি রেখে গিয়েছিলাম সে জায়গাটা ফিরে এসে আমি পেয়েছি। হয়ত ম্যাচিভ পিপলের কাছে আমার জনপ্রিয়তা অনেক কম কিন্তু নির্মাতা, গুণীশিল্পীসহ আরও যারা আছেন তাদের কাছে আমি নমিরাই আছি। যাদের সঙ্গে কাজ করেছে তার আমাকে দারুনভাবে গ্রহণ করেছে। এটাই আমার জন্য বড় পাওয়া। সুতরাং মাধ্যম কোনো বিষয় নয়, কাজটাই আসল।

এখন কোন ধরনের অভিনয়ে মনোযোগ বেশি দিচ্ছেন?
একটু চিন্তাভাবনা করেই কাজে হাত দিচ্ছি। আমাকে বেজ করে রোমান্টিক, থ্রিলারসহ যেকোনো কাজেই বেশি মনোযোগী হচ্ছি। তার মানে এই না যে শুধু নায়িকার চরিত্রেই অভিনয় করতে হবে। ভালো চরিত্র হলে রাজি হয়ে যাচ্ছি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক জ কর ছ

এছাড়াও পড়ুন:

গ্রিল কেটে বাসায় চুরি, গ্রেপ্তার ৫

রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মাটিকাটা এলাকায় একটি বাসার গ্রিল কেটে চুরি করা মালামাল উদ্ধারসহ পাঁচ চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপরে ক্যান্টনমেন্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল আলিম এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, গত ২৮ এপ্রিল রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মাটিকাটা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ চোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি স্বর্ণের গলার হার, এক জোড়া স্বর্ণের দুল, একটি স্বর্ণের আংটি, দুই জোড়া স্বর্ণের বালা, এক জোড়া রুপার বালা, দুই জোড়া সিটিগোল্ডের চুড়ি, এক জোড়া ব্রোঞ্জের চুড়ি, একটি মোবাইল ফোন ও চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি সেলাই রেঞ্জ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা পেশাদার চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য।

গ্রেফতার পাঁচ চোর হলো—মো. শাহ আলম (২২), মো. সাব্বির হোসেন (২০), মো. রাজু, মো. মুরাদ (২১) ও মো. স্বপন মিয়া (২৫)। 

গত ২৫ এপ্রিল সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৯টার মধ্যে মো. আলী আকবরের বাসার গ্রিল কেটে ভিতরে ঢোকে চোরের দল। তারা ১৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, একটি মোবাইল ফোন এবং ১২ লাখ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। 

আলী আকবরের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি চুরির মামলা হয়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে ওই পাঁচ চোরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা/এমআর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ