রাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিল, আবেদন শুরু কাল
Published: 26th, January 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভর্তি কমিটি। এছাড়া আগামীকাল সোমবার (২৭ জানুয়ারি) থেকে স্থগিতকৃত প্রাথমিক আবেদন শুরু হবে বলে জানা গেছে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকালে ভর্তি উপ-কমিটি ও ভর্তি কমিটির পৃথক দুই মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.
তিনি বলেন, “আজকের সভায় পোষ্য কোটা না রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এছাড়া ফি কমিয়ে প্রাথমিক আবেদনের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। পোষ্য কোটা যেহেতু প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা, তাই এ সুবিধা কীভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেওয়া যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে একটা কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, স্থগিত হওয়া ভর্তি কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ রোববার ভর্তি উপ-কমিটি ও ভর্তি কমিটির পৃথক দুটো মিটিং বসে। সকাল ১০টায় ভর্তি উপ-কমিটির মিটিং এবং সকাল সাড়ে ১১টায় ভর্তি কমিটির মিটিং হয়। সেখানে এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এদিকে স্থগিতকৃত প্রাথমিক আবেদন আগামীকাল সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে শুরু হবে। যা চলবে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এছাড়া প্রাথমিক আবেদন ফি পুনঃনির্ধারণ করে ২২ টাকা করা হয়েছে।
রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদারের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হয়েছে, চূড়ান্ত আবেদন তিন ধাপে যথাক্রমে ১১ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৮ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি ও ২৩ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সম্পন্ন হবে। ভর্তি পরীক্ষা পূর্বনির্ধারিত ‘বি’ ইউনিট ১২ এপ্রিল, ‘এ’ ইউনিট ১৯ এপ্রিল ও ‘সি’ ইউনিট ২৬ এপ্রিল সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রংপুরে অবস্থিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনুষ্ঠিত হবে।
ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ও প্রযোজ্য শর্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট http://admission.ru.ac.bd থেকে জানা যাবে।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কম ট র ত হয় ছ
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিপীড়ন বন্ধের দাবি সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের
গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা, ন্যায্য মজুরি, অবাধ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত ও শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। একই সঙ্গে তারা বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকনেতাদের মুক্তির দাবিও জানায়।
মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জুলফিকার আলী, আইনবিষয়ক সম্পাদক বিমল চন্দ্র সাহা, নির্বাহী সদস্য আফজাল হোসেন, নির্বাহী সদস্য ও বোম্বে সুইটস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রতন মিয়া প্রমুখ।
সমাবেশে নেতারা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন করার চেষ্টার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে গার্মেন্টস উইংয়ের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, রবিনটেক্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সীমা আক্তারসহ ৭ জনকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে এবং রিকশা শ্রমিকদের রুটি–রুজির আন্দোলনে সংহতি জানানোর অপরাধে চট্টগ্রামে রিকশা সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি আল কাদেরি জয়, মিরাজ উদ্দিন ও রোকন উদ্দিনকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। অথচ সরকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তারা শ্রমক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রমমান বাস্তবায়ন করবে।
এ সময় নেতারা শ্রম সম্পর্ক উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হচ্ছে কি না, তা জানতে চান। তাঁরা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার অধিকার চর্চায় বাধা দেওয়া বন্ধ না হলে, শ্রমিকের ওপর নিপীড়ন বন্ধ না হলে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র পরিচালনা বা বৈষম্য নিরসনের প্রতিশ্রুতি শ্রমজীবী মানুষের কাছে প্রতারণা হিসেবে পরিগণিত হবে।
মে দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশের শ্রমজীবী মানুষের ৮৫ শতাংশ শ্রম আইনের সুরক্ষার বাইরে। শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শ্রম খাতের দুর্দশার যে ভয়ানক চিত্র ফুটে উঠেছে, তা প্রমাণ করে স্বাধীনতা–পরবতী প্রতিটি সরকার শ্রম শোষণকে তীব্র থেকে তীব্রতর করার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।
এ সময় গ্রেপ্তার সব শ্রমিকের মুক্তি, শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধ এবং মে দিবসের প্রকৃত চেতনায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতারা।