রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভর্তি কমিটি। এছাড়া আগামীকাল সোমবার (২৭ জানুয়ারি) থেকে স্থগিতকৃত প্রাথমিক আবেদন শুরু হবে বলে জানা গেছে।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকালে ভর্তি উপ-কমিটি ও ভর্তি কমিটির পৃথক দুই মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.

আবু সাদেক মো. কামরুজ্জামান।

তিনি বলেন, “আজকের সভায় পোষ্য কোটা না রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এছাড়া ফি কমিয়ে প্রাথমিক আবেদনের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। পোষ্য কোটা যেহেতু প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা, তাই এ সুবিধা কীভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেওয়া যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে একটা কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

উল্লেখ্য, স্থগিত হওয়া ভর্তি কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ রোববার ভর্তি উপ-কমিটি ও ভর্তি কমিটির পৃথক দুটো মিটিং বসে। সকাল ১০টায় ভর্তি উপ-কমিটির মিটিং এবং সকাল সাড়ে ১১টায় ভর্তি কমিটির মিটিং হয়। সেখানে এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

এদিকে স্থগিতকৃত প্রাথমিক আবেদন আগামীকাল সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে শুরু হবে। যা চলবে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এছাড়া প্রাথমিক আবেদন ফি পুনঃনির্ধারণ করে ২২ টাকা করা হয়েছে।

রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদারের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হয়েছে, চূড়ান্ত আবেদন তিন ধাপে যথাক্রমে ১১ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৮ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি ও ২৩ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সম্পন্ন হবে। ভর্তি পরীক্ষা পূর্বনির্ধারিত ‘বি’ ইউনিট ১২ এপ্রিল, ‘এ’ ইউনিট ১৯ এপ্রিল ও ‘সি’ ইউনিট ২৬ এপ্রিল সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রংপুরে অবস্থিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনুষ্ঠিত হবে।

ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ও প্রযোজ্য শর্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট http://admission.ru.ac.bd থেকে জানা যাবে।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কম ট র ত হয় ছ

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ