টিএইচই সাবজেক্ট র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে যশোর বিশ্ববিদ্যালয়
Published: 26th, January 2025 GMT
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক বিশ্ববিখ্যাত শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশনের (টিএইচই) ‘ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি সাবজেক্ট র্যাঙ্কিং ২০২৫’ এ শীর্ষস্থান অর্জন করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)।
ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফিজিক্যাল সায়েন্স উভয় বিষয়েই দেশের মধ্যে এ শীর্ষস্থান অর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) টিএইচই’র ওয়েবসাইটে এ র্যাঙ্কিং প্রকাশিত হয়েছে।
প্রকাশিত র্যাঙ্কিং অনুযায়ী, বাংলাদেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিজিক্যাল সায়েন্স বিষয়ে প্রথম স্থান এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ৬০১ থেকে ৮০০তম স্থান অর্জন করেছে যবিপ্রবি। র্যাঙ্কিংয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ৬০১ থেকে ৮০০ এর মধ্যে থাকা দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
অন্যদিকে, ফিজিক্যাল সায়েন্স বিষয়ে ৬০১ থেকে ৮০০ অবস্থানের মধ্যে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রকাশিত ইঞ্জিনিয়ারিং র্যাঙ্কিং তালিকাটি প্রতিষ্ঠানের জেনারেল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিকাল অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং- এ পাঁচটি প্রধান ডিসিপ্লিনের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়। এ বছর ৯৭টি দেশের ১ হাজার ৪৮৮টি প্রতিষ্ঠানের ১৮টি পারফর্মেন্স সূচকের উপরে ভিত্তি করে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
অপরদিকে, লাইফ সায়েন্স র্যাঙ্কিং তালিকাটি প্রতিষ্ঠানের পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, পরিসংখ্যান, জ্যোতির্বিদ্যা, ভূতত্ত্ব, পরিবেশবিদ্যা, পৃথিবী ও সমুদ্রবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের উপর ভিত্তি করে প্রকাশ করা হয়।
ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?