ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানী সরকারি সাত কলেজের সোমবারের সব চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। রোববার দিবাগত রাত ২টা ৪৪ মিনিটের দিকে ঢাবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। 

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরীর সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে সাত কলেজের সোমবার (২৭ জানুয়ারি) এর সব পরীক্ষা স্থগিত করা হলো। এই পরীক্ষার তারিখ পরবর্তীতে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, সোমবার সাত কলেজের স্নাতক ২য় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাবির প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড.

তানভীর আহমেদের অশোভন আচরণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে তার বাসভবন ঘেরাও করতে গেলে বাঁধা দেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা। যার জেরে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায় উভয়পক্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয় বিজিবি। এমন পরিস্থিতিতে পরীক্ষা স্থগিতের আহ্বান জানান ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের সমন্বয়ক অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস। যার প্রেক্ষিতেই পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ত কল জ পর ক ষ স ত কল জ র স পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ