১১টি পদে নিয়োগ দিচ্ছে বিমান বাংলাদেশ
Published: 28th, January 2025 GMT
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেড নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ১১টি পদে জনবল নিয়োগের লক্ষ্যে এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। আবেদন করা যাবে আগামী ০৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস
পদসংখ্যা: ১১টি
লোকবল নিয়োগ: ২২ জন
পদের নাম: জুনিয়র অফিসার (মেইনটেন্যান্স)
পদসংখ্যা: ১টি
বেতন: ২২,৫০০-৫৪,২৯০ টাকা।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: চার বছর মেয়াদি বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (মেকানিক্যাল/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস)।
অভিজ্ঞতা: এয়ার কন্ডিশনিং, রেফ্রিজারেশন রক্ষণাবেক্ষণ ও ইলেকট্রিক ইনস্টলেশনের কাজে ২ বছরের অভিজ্ঞতা।
পদের নাম: মেনু প্ল্যানিং অ্যাসিস্ট্যান্ট
পদসংখ্যা: ১টি
বেতন: ১৫,৯০০-৩৮,৪০০ টাকা।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন অথবা অ্যাপ্লাইড নিউট্রিশন বিষয়ে বিএসসি ডিগ্রি।
পদের নাম: জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট (ক্যাটারিং সার্ভিসেস অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন)
পদসংখ্যা: ৪টি
বেতন: ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি।
পদের নাম: অ্যাকাউন্টস অ্যাসিস্ট্যান্ট
পদসংখ্যা: ২টি
বেতন: ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা।
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: বাণিজ্য, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা বিজনেস স্টাডিজে স্নাতক ডিগ্রি।
পদের নাম: স্টোরকিপার
পদসংখ্যা: ৩টি
বেতন: ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি।
পদের নাম: আইটি অ্যাসিস্ট্যান্ট
পদসংখ্যা: ১টি
বেতন: ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিজ্ঞান অথবা বাণিজ্যে স্নাতক ডিগ্রি
পদের নাম: হাইজিন অ্যাসিস্ট্যান্ট
পদসংখ্যা: ৪টি
বেতন: ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি
পদের নাম: টেইলর
পদসংখ্যা: ১টি
বেতন: ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি অথবা সমমান পাস
অভিজ্ঞতা: টেইলারিং কাজে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
পদের নাম: জুনিয়র ইলেকট্রিশিয়ান
পদসংখ্যা: ১টি
বেতন: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ইচএসসি বা সমমান পাস।
পদের নাম: জুনিয়র এয়ারকন্ডিশন মেকানিক
পদসংখ্যা: ১টি
বেতন: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস
পদের নাম: জুনিয়র জেনারেল টেকনিশিয়ান
পদসংখ্যা: ৩টি
বেতন: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস
আবেদন ফি: ১ ও ২ নং পদের জন্য ২২৩ টাকা, ৩ থেকে ৮ নং পদের জন্য ১৬৮ টাকা এবং ৯ থেকে ১১ নং পদের জন্য ১১২ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মুঠোফোন নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আবেদনের শেষ সময়: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চ কর সমম ন প স পদ র ন ম পদস খ য
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের ঘোষণা
রাজশাহীতে আর্থিক অনিয়ম, অসদাচরণসহ একাধিক অভিযোগে সহকর্মী শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন এবং শিক্ষার্থীদের দিনভর বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন মুসলিম উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. একরামুল হক। আজ রোববার দুপুরে বিদ্যালয়ের প্যাডে লিখিতভাবে তিনি এ ঘোষণা দেন। আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব ছাড়বেন বলে পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেছেন।
এর আগে সকালে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে একযোগে আন্দোলনে নামেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। সহকর্মী শিক্ষকেরা একটি কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি ও অসদাচরণের নানা অভিযোগ তুলে ধরেন। এই সময় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সহকারী শিক্ষক মো. তরিকুল ইসলাম। তিনি অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক একরামুল হক শিক্ষার্থী ভর্তি ফি, বিদ্যালয়ের পুকুর ইজারা এবং বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয়কে পরীক্ষাকেন্দ্র বা ভেন্যু হিসেবে ভাড়া দেওয়ার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কোচিং করানোর কথা বলে ৪০ হাজার টাকা আদায় করলেও কোচিং না করিয়ে পুরো অর্থ তিনি আত্মসাৎ করেন। এ ছাড়া তিনি ক্রয় কমিটিকে পাশ কাটিয়ে এককভাবে বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনাকাটা করেছেন এবং এক নারী সহকর্মীর বিষয়ে প্রধান শিক্ষক অশালীন মন্তব্য করেছেন।
শিক্ষকদের অভিযোগ, রাজশাহীর এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকলেও একরামুল হক নওগাঁর একটি স্কুলের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নওগাঁয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে প্রচার চালিয়েছেন। এ ছাড়া ব্যবস্থাপনা কমিটির ভোটার তালিকা জালিয়াতির মতো গুরুতর অভিযোগও আছে তাঁর বিরুদ্ধে।
সহকারী শিক্ষক তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির বিষয়টি সবাই জানেন। শিক্ষার্থীরাও তাঁর প্রতি ক্ষুব্ধ। আমরা কর্তৃপক্ষকে বারবার জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। তাই আমরা তাঁর পদত্যাগ চাই।’
শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলনের সময়ই শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের কক্ষের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। তারা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। কয়েক দফা অবরুদ্ধ করে রাখে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে দুপুরে প্রধান শিক্ষক মো. একরামুল হক পদত্যাগের লিখিত ঘোষণা দেন।
বিদ্যালয়ের প্যাডে লেখা ঘোষণাপত্রে প্রধান শিক্ষক লিখেছেন, ‘আমি মো. একরামুল হক এই মর্মে অঙ্গীকার করতেছি যে এই বিদ্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় ঝামেলা হওয়ার জন্য স্বেচ্ছায় আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পদত্যাগ করে চলে যাব। আমি সজ্ঞানে ও কারও প্ররোচনা ছাড়াই নিম্নে স্বাক্ষর করলাম।’
এই ঘোষণা পাওয়ার পর শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক একরামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাকে ঘেরাও করে রেখেছিল, কোনো সহকর্মী এগিয়ে আসেননি। আমি চাপের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়েছি। এখানে কাজের পরিবেশ নেই, সবাই আমার বিরুদ্ধে। আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা।’
এই সময়ের মধ্যে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে বদলি করার জন্যও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান প্রধান শিক্ষক একরামুল হক। বিষয়টি তিনি বিদ্যালয়ের সভাপতিকে জানাবেন বলেও উল্লেখ করেন।
বিদ্যালয়টির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আগে থেকেই তদন্তাধীন আছে। তবে আজকের বিক্ষোভ বা পদত্যাগের ঘোষণার বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি এ বিষয়ে খোঁজখবর নেব।’