ভারতের দক্ষিণী সিনেমার তারকা অভিনয়শিল্পী ধানুশ ও নয়নতারা। একসঙ্গে কাজও করেছেন তারা। ব্যক্তিগত সম্পর্কও মন্দ ছিল না। তারপরও এক পলকে বদলে গেছে তাদের সম্পর্কের রসায়ণ। ৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে চুলোচুলি শুরু করেছেন এই নায়ক-নায়িকা।

মূলত, গত বছরের নভেম্বরে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে নয়নতারার তথ্যচিত্র ‘নয়নতারা: বিয়ন্ড দ্য ফেয়ারিটেল’। এই তথ্যচিত্রে ব্যবহৃত ৩ সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজ নিয়ে বৈরিতার সূত্রপাত্র। মাস দুয়েক আগে বিবৃতি-পাল্টাবিবৃতি দেয় নয়নতারা ও ধানুশ। তারপরই তাদের দ্বন্দ্ব গড়ায় আদালতে। অনুমতি না নিয়ে ভিডিও ফুটেজ ব্যবহার করার অভিযোগে নয়নতারা ও তার স্বামী ভিগনেশ শিবানের বিরুদ্ধে মামলা করেন ধানুশ।

তথ্যচিত্রে নয়নতারা অভিনীত ‘নানুম রাউডি ধান’ সিনেমার কয়েকটি ছবি ও বিহাইন্ড দ্য সিন ব্যবহার করা হয়েছে। ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমার প্রযোজক ছিলেন ধানুশ। তার অভিযোগ, অনুমতি ছাড়াই তথ্যচিত্রে ওই সব দৃশ্য ব্যবহার করেছেন নয়নতারা। নয়নতারা ও ভিগনেশ ছাড়াও ধানুশের অভিযোগ রয়েছে লস গাটোস প্রোডাকশন সার্ভিসেস ইন্ডিয়া এলএলপির বিরুদ্ধেও। 

আরো পড়ুন:

নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছেন না রাশমিকা

যে তারকারা পাচ্ছেন পদ্ম পুরস্কার

নয়নতারা-ধানুশের চুলোচুলি শেষ হয়নি। ধানুশের দায়েরকৃত মামলার খারিজ চেয়ে পিটিশন দায়ের করেছিল নেটফ্লিক্স। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) এ মামলার শুনানি ছিল। ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ধানুশের দায়েরকৃত মামলার খারিজ চেয়ে দায়েরকৃত নেটফ্লিক্সের পিটিশন খারিজ করে দিয়েছেন মাদ্রাজ হাই কোর্ট। ধানুশের ওয়ান্ডারবার প্রোডাকশনের দায়ের করা মূল কপিরাইট মামলার শুনানি আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

নয়নতারার ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ একটি মাইলফলক এই তথ্যচিত্র। ফলে অভিনেত্রী চেয়েছিলেন, সিনেমার কিছু ফুটেজ ও গানের অংশবিশেষ ব্যবহার করবেন তথ্যচিত্রে। যেহেতু কপিরাইটের বিষয় রয়েছে, তাই ধানুশের কাছে অনুমতি চান নয়নতারা। দীর্ঘ দুই বছর বারবার অনুরোধ করার পরও রাজি হননি ধানুশ। 

পরে ‘নয়নতারা: বিয়ন্ড দ্য ফেয়ারিটেল’-এর ট্রেইলারে ‘নানুম রাউডি ধান’ সিনেমার ৩ সেকেন্ডের একটি ফুটেজ ব্যবহার করা হয়। এতেই চটে যান ধানুশ। আইনি নোটিশ পাঠিয়ে ১০ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ দাবি করেন নয়নতারার কাছে। ধানুশের এমন ব্যবহারে কষ্ট পান অভিনেত্রী। তার অভিযোগ, প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে এমনটা করেছেন ধানুশ।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ