Samakal:
2025-05-01@09:11:07 GMT

হঠাৎ অতিথি আপ্যায়নে

Published: 28th, January 2025 GMT

হঠাৎ অতিথি আপ্যায়নে

আগে থেকে না জানিয়ে হঠাৎ করে বাসায় অতিথি এলে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। কীভাবে তাদের আপ্যায়ন করা যায় সেটি চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এমন পরিস্থিতি এড়াতে ফ্রিজে কিছু ফ্রোজেন স্ন্যাকস রাখা যেতে পারে। রেসিপি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী জিনিয়া ইসলাম

হাফ মুন পাই 
উপকরণ: চিকেন কিমা ১ কাপ, আদা ও রসুন বাটা ১ চা চামচ করে, লবণ পরিমাণমতো, তেল ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি হাফ কাপ, কাঁচামরিচ কুচি ২ চা চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া হাফ চা চামচ, গাজর কুচি হাফ কাপ, ময়দা দেড় টেবিল চামচ, দুধ ১ কাপ, ধনেপাতা ২ টেবিল চামচ। পাইয়ের ডো: পানি দেড় কাপ, চিনি দেড় চা চামচ, বাটার দেড় টেবিল চামচ, ময়দা দেড় কাপ। ডিপিংয়ের জন্য: ডিম ফেটানো ২টি, ব্রেড ক্রাম্বস, ভাজার জন্য তেল ১ কাপ।
প্রস্তুত প্রণালি: তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাজুন। নরম হলে আদা, রসুন বাটা, কাঁচামরিচ কুচি, লবণ, গোলমরিচ গুঁড়া দিন। পরে চিকেনের কিমা দিয়ে ভেজে নিন। গাজর দিন। এখন ময়দা চেলে ছিটিয়ে ভালো করে নাড়তে হবে, যেন ময়দা দলা হয়ে না যায়। দুধ ঢেলে নাড়তে থাকুন। চিকেন দুধে মিশে ঘন হলে ধনেপাতা দিয়ে নামান। প‍্যানে পানি নিন। গরম হলে তাতে বাটার-চিনি দিন। ময়দা চেলে ঢেলে দিন এবং নাড়ুন। ঢেকে 
রাখুন ১০ মিনিট। ডোটা হাত দিয়ে ভালো করে মথে নরম করুন। এখন ডো নিয়ে পাতলা রুটি তৈরি করে লুচি সেপে কেটে নিন। তার মধ‍্যে চিকেনের ফিলিং দিয়ে হাফ মুন সেপে পাই তৈরি করুন। সব বানানো হলে ব্রেড ক্রাম্বসে গড়িয়ে হাফ মুন ফ্রিজে রেখে দিন। পরে তেল গরম করে তাতে ভেজে নিন। 

বিফ পানতারাস   
উপকরণ: বিফ কিমা সেদ্ধ ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি হাফ কাপ, কাঁচামরিচ কুচি ১ চামচ, টমেটো সস ৩ চা চামচ, তেল ২ টেবিল চামচ, লবণ ১চা চামচ, আদা বাটা হাফ চা চামচ, রসুন বাটা হাফ চা চামচ, জিরা গুঁড়া হাফ চা চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ। পান্তারাসের ব‍্যাটার: ময়দা ১ কাপ, কর্নফ্লাওয়ার ২ চা চামচ, লবণ হাফ চা চামচ, ডিম ১টি, ধনেপাতা কুচি ১ চা চামচ, পানি দেড় কাপ। ডিপিংয়ের জন্য: ডিম ১টি, ব্রেড ক্রাম্ব ভাজার জন্য তেল হাফ কাপ।
প্রস্তুত প্রণালি: তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ ও মরিচ কুচি দিন। হালকা ভাজা হলে লবণ, আদা বাটা, রসুন বাটা, জিরা গুঁড়া দিন। নেড়ে কষিয়ে সেদ্ধ বিফ কিমা দিন। একটু ভেজে টমেটো সস দিন। সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে দিন। পানি শুকিয়ে গেলে কর্নফ্লাওয়ার পানিতে গুলে ঢেলে দিন। ঘন হলে নামিয়ে নিন। একটি বাটিতে ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার, লবণ, ধনেপাতা নিন। পানির সঙ্গে ডিম ভালো করে ফেটে নিন। এখন ময়দার মধ‍্যে পানি ঢালুন অল্প অল্প করে। খুব ঘন বা খুব পাতলা হবে না ব‍্যাটার। মাঝারি হবে। একটি প‍্যান চুলায় দিয়ে গরম করে তেল ব্রাশ করে নিন। এখন ময়দার ব্যাটার প‍্যানে সামান‍্য ঢেলে প‍্যান ঘুরিয়ে নিন; যাতে প‍্যানের চারপাশে ব্যাটার না লেগে যায়। ঢেকে দিন। এক-দুই মিনিট পর ঢাকনা খুলে পানতাসের সিট তুলে নিন। এখন কিমা ওই সিটের মাঝখানে দিন। চারপাশ থেকে মুড়িয়ে নিন। শেপ ইচ্ছামতো করতে পারেন। রোলের মতো বা চারকোনা করে বানিয়ে নিন সব পানতারাস। ফেটানো ডিমে ডিপ করে ব্রেড ক্রাম্ব দিয়ে গড়িয়ে নিন। এভাবে ডিপে সংরক্ষণ করতে পারেন।

বিফ চাপালি কাবাব   
উপকরণ: বিফ কিমা ১ কাপ, কর্নফ্লাওয়ার ৩ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, গোলমরিচ গুঁড়া হাফ চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি মাঝারি ১টা, কাঁচামরিচ কুচি ২-৩টি, বেরেস্তা ২ টেবিল চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ, টমেটো কুচি ২ টেবিল চামচ, ডিম ১টি, পুদিনা পাতা কুচি ২ টেবিল চামচ। টমেটো স্লাইস ৬টি, তেল হাফ কাপ।
প্রস্তুত প্রণালি: বিফ ধুয়ে পানি ঝরিয়ে কিমা করুন। তেল ছাড়া সব উপকরণ মিশিয়ে মাখান। কাবাবের জন্য কিমা ১৫ থেকে ২০ মিনিট মথে নিতে হয়। ১০ মিনিট রেস্টে রেখে দিন ম্যারিনেশনের জন্য। এরপর কিমা হাতের তালুতে নিয়ে চেপে চেপে গোল চ‍্যাপটা করে কাবাব বানিয়ে নিন। এভাবে বানিয়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে ফ্রোজেন করে রাখতে পারেন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ ফিউশন খাবার উপস্থাপনা

মানজু রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এক ব্যতিক্রমধর্মী খাবার আয়োজন, যেখানে দেশি স্বাদের সাথে ছিল আন্তর্জাতিক রান্নার কৌশল ও উপকরণ। আয়োজনে ঐতিহ্য ও আধুনিকতা একসূত্রে গাঁথা হয়েছে।

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, এ আয়োজনের মূল আকর্ষণ ছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রন্ধনশিল্পী ইনারা জামাল, যিনি ফুড স্টাডিজে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর এবং ইনস্টিটিউট অব কালিনারি এডুকেশন, নিউইয়র্ক থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।

ইনারা জামাল বলেন, ‘খাবার শুধু স্বাদের বিষয় নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গ। আমি চাই বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারকে ভিন্ন দেশের উপকরণ ও কৌশলের সঙ্গে মিশিয়ে বিশ্বদরবারে নতুন রূপে উপস্থাপন করতে। সৃজনশীল উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাংলাদেশি খাবারকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা। একইসঙ্গে, তার লক্ষ্য বাংলাদেশের খাদ্যসংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে গবেষণার আলোয় তুলে ধরা, যেন এই সমৃদ্ধ উত্তরাধিকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষিত থাকে। খাবারে তিনি সবসময় প্রাধান্য দেন প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান এবং টেকসই উপস্থাপনাকে।

এই আয়োজনকে আরও রঙিন করে তোলে রন্ধনশিল্পী মালিহার বাহারি পরিবেশনা, যেখানে দেশি উপাদান ব্যবহার করে তৈরি করা হয় নানান স্বাদের সুস্বাদু খাবার।

আয়োজকরা জানান, এই আয়োজনের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশি খাদ্যসংস্কৃতিকে আধুনিক উপস্থাপনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরা এবং ভোজনরসিকদের সামনে এক নতুন স্বাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে আসা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা খাবারের স্বাদ, গন্ধ ও পরিবেশনায় মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা রক্ষার ওপর জোর দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আহারে চার পদ
  • মাটির গুণগত বৃদ্ধিতে ‘বিনা বায়োচার’ উদ্ভাবন
  • সুন্দর ভবনে পরিত্যক্ত কক্ষ, কমেছে শিক্ষার্থী, ঢিমেতালে চলে কার্যক্রম
  • ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ ফিউশন খাবার উপস্থাপনা