Samakal:
2025-05-01@04:53:31 GMT

ভারত কি চীনের দিকে ঝুঁকছে

Published: 29th, January 2025 GMT

ভারত কি চীনের দিকে ঝুঁকছে

সীমান্ত নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই ফের সরাসরি বিমান চলাচল শুরু করতে সম্মত হয়েছে ভারত ও চীন। দুই প্রতিবেশীর মধ্যে প্রাণঘাতী সামরিক সংঘাতের প্রায় পাঁচ বছর পর আবার ফ্লাইট চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। সোমবার চীন সফররত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির সঙ্গে চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী উন ওয়েইদংয়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। খবর এনডিটিভির।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এ ঘোষণাকে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভারতের শীতল সম্পর্কের বরফ গলানোর ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা ফের চালুর বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুই দেশের কারিগরি কর্তৃপক্ষ দ্রুত এ বিষয়ে একটি হালনাগাদ কাঠামো নিয়ে আলোচনা করবে। চীন আবারও হিন্দু দেবতা কৃষ্ণের জনপ্রিয় তীর্থযাত্রার অনুমতি দিয়েছে, যা মহামারির শুরুতে স্থগিত করা হয়েছিল। বিবৃতিতে দুই দেশ সম্পর্ক পুনর্গঠনে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার এবং বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক ইস্যুগুলো সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে উল্লেখ করা হয়। মহামারির আগে ভারত-চীনের মধ্যে প্রতি মাসে প্রায় ৫০০টি সরাসরি ফ্লাইট পরিচালিত হতো।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বিমান পরিষেবা ফের চালুর বিষয়ে উল্লেখ না থাকলেও বলা হয়েছে, গত বছর থেকে দুই দেশ সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছে। চীন-ভারত সম্পর্ক উন্নয়ন দুই দেশের মৌলিক স্বার্থের সঙ্গে পুরোপুরি সংগতিপূর্ণ।

২০২০ সালে হিমালয় সীমান্তে ভারত ও চীনের মধ্যে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর দুই দেশের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ওই সংঘর্ষের জেরে চীনা সংস্থাগুলোর জন্য বিনিয়োগের পথ কঠিন করে তোলে ভারত। ভারতীয় সরকার দেশটিতে জনপ্রিয় শতাধিক চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে এবং সরাসরি যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পরর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ