নির্বাচনের চাপ বাড়াতে ‘দ্রুত আন্দোলনে যাবে’ বিএনপি
Published: 29th, January 2025 GMT
জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে চাপ সৃষ্টি করতে বিএনপি ‘দ্রুত আন্দোলনের যাবে’—এমন ইঙ্গিত দিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে এক আলোচনা সভায় দেশের জনগণের মধ্যে আলোচনার বিষয়বস্তু তুলে ধরে দলের এই অবস্থান স্পষ্ট করেন তিনি।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর আত্মপ্রকাশ হয়েছে। এ উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে সংগঠনের উদ্যোগে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান: গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই প্রধান অতিথি ছিলেন সালাহ উদ্দিন আহমেদ।
সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘সরকার মাত্রই সিদ্ধান্তের মধ্যে ভুল করতে পারে। সেটা সকল সরকারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এখন অন্তর্বর্তী সরকার সকল সিদ্ধান্ত নির্ভুলভাবে নেবে, এটা তো সঠিক নয়। ভুল তাদেরও হতে পারে। কিন্তু সেটা সঠিকভাবে পরিচালনা করার দায়িত্ব এদেশের সাংবাদিক সমাজের যেমন আছে; রাজনৈতিক দল, গণতান্ত্রিক শক্তি ও সামাজিক শক্তিগুলোরও আছে।”
আরো পড়ুন:
তিন জেলার কর্মশালায় তারেক রহমান
ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সব দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে
জামায়াত-বিএনপির মধ্যে কোনো সংঘাত নেই: দুদু
‘‘সেই জায়গা থেকে আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে চিন্তা করছি, সরকারের ভুল শুধরিয়ে সঠিক রাস্তায় এনে গণতান্ত্রিক রাস্তা বিনির্মাণের জন্য এবং একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারের পথ পরিষ্কার করতে আমরা খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেব। সেটা (পদক্ষেপ)-কে আপনারা আন্দোলনও বলতে পারেন, সরকারের সমালোচনাও বলতে পারেন।”
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য তুলে ধরে সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মাঝেমধ্যে বলেন যে, আমরা বেশি বেশি করে যেন সমালোচনা করি, যাতে সরকার সঠিক পথে থাকে।”
‘‘এই সরকারের একটি ভালো গুণ আছে। তা হচ্ছে, সরকার মাঝেমধ্যে ভুল সিদ্ধান্ত নিলেও সমালোচনার মুখে সেগুলো শুধরায়, গো ধরে বসে থাকে না। সরকার যখন ভুল শুধরায়, তখনই মনে করতে হবে এই সরকার জনগণের।”
অন্তর্বর্তী সরকারকে সঠিক রাস্তায় রাখতে ‘যথেষ্ট সমালোচনা’র ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আজকের দিনে প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা সামনের দিকে কী কী সংস্কার চাই, কীভাবে নির্বাচন চাই, কখন নির্বাচন চাই ইত্যাদি। প্রশ্ন হচ্ছে, এই সরকারের সফলতা-ব্যর্থতা, সিদ্ধান্ত এবং সিদ্ধান্তহীনতা।”
‘‘আমরা যদি এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সফল হতে দিতে চাই, তাহলে সরকারকে গাইড করতে, পরিচালনা করতে আমাদের যথেষ্ট সমালোচনা করতে হবে। এমনকি, আমাদের সড়কে আন্দোলনও করতে হতে পারে সরকারকে সঠিক রাস্তায় নিয়ে আসার জন্য।”
সংস্কার প্রসঙ্গে
সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘নির্বাচন যদি বিলম্বিত করবেন, সেই যৌক্তিকতা আপনাদের জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। ইতোমধ্যে ৬ মাস পার হয়েছে। সংস্কার কমিশনগুলো রিপোর্ট প্রদান করেছে, সরকারের কাছে সেই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক দলগুলো, সামাজিক শক্তিগুলো এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলার কথা। রিপোর্ট দেওয়ার পর প্রায় ১৪/১৫ দিন পার হয়ে গেছে, সেই উদ্যোগ অবশ্য এখনো দেখা যায়নি। আমি আশা করি, আপনারা (সরকার) যেসব বিষয়গুলো রাজনৈতিক দল, সামাজিক শক্তিগুলো, বিশেষজ্ঞগণ ঐক্যমত্য পোষণ করতে পারে; সেগুলো আগে চিহ্নিত করুন সংস্কারের মধ্যে।”
‘‘সংস্কার কমিশনের রিপোর্টগুলো অত্যন্ত সুন্দর, বুঝলাম। কিন্তু সকল বিষয়গুলো কী এসেছে? অবশ্যই না। আবার কিছু বিষয় কি অতিরিক্ত এসেছে? অবশ্যই হ্যাঁ। আর কিছু বিষয় এসেছে যেগুলো বাস্তবায়ন করা যাবে না। যে বিষয়গুলো বাংলাদেশের রাজনৈতিক কালচারে, সামাজিক কালচারে যায় না; সেগুলো আমাদের চিন্তা করতে হবে। কারণ, যারা সংস্কার কমিশনের বসেছেন আপনারাও মানুষ। আপনাদের সব বক্তব্য রিকমন্ডেশন শতভাগ সঠিক, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। সেজন্য আলোচনার কথা এসেছে।”
আওয়ামী লীগের বিচার প্রসঙ্গে
সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘আমরা বিভিন্নভাবে বিচ্ছিন্নভাবে কথা বলছি। কালকেও দেখলাম, আওয়ামী লীগ এ দেশে নির্বাচন করতে পারবে না, করতে দেয়া হবে না, নিষিদ্ধ করা হবে। এ বিষয়ে আমরা পরিষ্কার বলেছি, বাংলাদেশের জনগণ নির্ধারণ করবে। যে দল ফ্যাসিবাদী চরিত্রে দেশে গণহত্যা চালিয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য যে দল দায়ী, যে দলের নির্ধারিত সরকার দায়ী। শেখ হাসিনা অনির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীত্ব করেছেন। তার সিদ্ধান্তে, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে এদেশে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। সুতরাং, ব্যক্তির সঙ্গে সেই সংগঠনের বিচার করতে হবে।”
‘‘ব্যক্তির বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও অন্যান্য আদালতে মামলা হয়েছে, কিন্তু সংগঠন হিসেবে বিচার করার প্রভিশন সংবিধানের আর্টিকেল-৪৭ আছে। কিন্তু সংগঠনের বিচারের বিষয়ে আমরা তো তত বেশি সোচ্চার নই কেন?”
তিনি বলেন, ‘‘আপনরা শুনেছেন, সংগঠন হিসেবে বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে একটা সংশোধনী আনার কথা ছিল। কিন্তু সেখান থেকে সরকার সরে গেল। এখন যদি সরকারের অংশ হিসেবে কোনো কোনো উপদেষ্টা বলেন যে, আমরা আওয়ামী লীগের বিচার চাই।”
‘‘তো বিচার চাওয়ার বিষয়ে আপনারা কিছু করলেন না। আর বিচার করার জন্য আমরা দাবি করছি, আপনারা দাবি করছেন, এদেশের জনগণ দাবি করছে। ফ্যাসিবাদী শক্তি, গণতন্ত্র হত্যাকারী, গণহত্যাকারী মানবতাবিরোধী অপরাধী যারা তারা এবং সেই সংগঠনের বিচার হোক। বিচারের মাধ্যমে নির্ধারিত হোক। তা হলে জনগণ মেনে নেবে।”
ফ্যাসিবাদীবিরোধী জাতীয় ঐক্যে যাতে কোনো বিভেদ সৃষ্টি না হয়, সেজন্য অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ থাকা উচিত বলে মনে করেন সালাহ উদ্দিন আহমেদ।
‘নতুন দলের আত্মপ্রকাশ হলে সাধুবাদ’
সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘আমি ছাত্র নেতাদের সম্মান করি। তাদের আকাঙ্ক্ষাকে সম্মান করি। তাদের রাজনৈতিক দল গঠনের প্রয়াসকে স্বাগত জানাই। কিন্তু, নির্বাচিত হওয়ার জন্য যদি বিভিন্ন কৌশলের সরকারের শক্তিকে প্রয়োগ করতে হয়, সেটা ফ্যাসিবাদকে দোষারোপ করে আপনার কী লাভ হবে?’’
‘‘আমরা যদি অতীতের ইতিহাস অনুসরণ করি, তাহলে আমরা কীভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাব?”
সংবিধানের মৌলিক সংশোধনের বিষয় তুলে ধরে ‘স্বাধীনতার সঙ্গে অন্যকিছু সমকক্ষ করা ঠিক হবে না’ বলে মন্তব্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ।
বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পার্থ সারথি দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক আল ইমরান। সভায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি বাছির জামালসহ সাংবাদিকরা বক্তব্য রাখেন।
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পার্থ সারথি দাস বলেন, ‘‘গণমাধ্যমকর্মীরা কারো তাঁবেদারি করবে না। তারা সব সময় দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করবে। আজকের অনুষ্ঠানে সেই বার্তা আমরা সবার কাছে পৌঁছে দিতে চাই।’’ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণ করেন।
এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রায়হান বলেন, ‘‘জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে ধারণ করে আগামীতে সবাই নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা করবে, এমনটাই প্রত্যাশা করে দেশের মানুষ। সে উদ্যোগে এই সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়েছে।’’
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘‘জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে পাহারা দিয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলো। কেউ এটা ভাববেন না, এই আন্দোলন ১০ থেকে ১৫ দিনে হয়ে সফল হয়েছে। এটা ঠিক নয়। বিগত ১৬ বছরের আন্দোলনের মাধ্যমে জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থান সফল হয়েছে।’’
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘‘গত ১৬ বছরে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন গণমাধ্যমের অধিকারের জন্য, স্বাধীনতার জন্য আমরা দীর্ঘ আন্দোলন করেছি। ২০১৩ সালে ফ্যাসিবাদী সরকার গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নামে কালো আইনের খসড়া তৈরি করেছে। সেখান থেকে আমাদের আন্দোলনের শুরু হয়েছে। সেখানে আমাদের বক্তব্য সব গণমাধ্যম প্রকাশ ও প্রচার করতে পারেনি। ৫ আগস্টের আগে ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে ৫৮ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, তাদের পেটোয়া বাহিনীর হামলায়। জুলাই বিপ্লবে ৫ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।’’
ঢাকা/নাজমুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ সরক র র স গঠন র র জনগণ র র জন চ র কর র জন য আপন র ব এনপ অপর ধ আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
স্বচ্ছতার জন্য ডিএনসিসির প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে:
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সব প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) ডিএনসিসির ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত পশ্চিম শেওড়াপাড়া, পশ্চিম কাজীপাড়া ও সেনপাড়া পর্বতা এলাকায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা, ৫ কিলোমিটার নর্দমা ও দেড় কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণকাজের উদ্বোধন ও গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা জানান।
ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, ডিএনসিসির সব প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। প্রকল্পটি কবে শুরু হবে, কবে শেষ হবে, কতা টাকা বরাদ্দ আছে—এসব তথ্য ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। এছাড়া, রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ হলে নির্মাণ সামগ্রী কী, সেটা জনগণের জানা দরকার। যখন জনগণ জানবে, তখন তারা জবাবদিহি করতে পারবে।
তিনি বলেন, “আমি গত সপ্তাহে কাউকে না জানিয়ে ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে চলমান কাজ পরিদর্শন করতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম, রাস্তাকে ধরে রাখার জন্য যে ওয়াল (বিশেষ দেয়াল) দেওয়া হয়েছে, সেটার পিলার বানানোর কথা ছিল স্টোন দিয়ে; কিন্তু বানিয়ে রেখেছে ব্রিক দিয়ে। এটা বড় দুর্নীতি। স্থানীয় মানুষ যদি না জানে, কী নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হবে, তাহলে দুর্নীতি করাটা সহজ। তথ্যের যত বেশি আদান-প্রদান হবে, তথ্য যত বেশি পাবলিক করা হবে, জনগণ তত বেশি জবাবদিহি করতে পারবে। আমি ঠিকাদারকে জানিয়ে দিয়েছি, সঠিক নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার না করলে বিল দেব না। তারা বলেছে, এটা ঠিক করে দেবে।”
মোহাম্মদ এজাজ বলেন, যার যার এলাকার কাজ তারা বুঝে নেবেন। বুঝে নেওয়ার জন্য যত তথ্য ও সহযোগিতা লাগবে, সেটা আমরা দেব। ডিএনসিসির ওয়েবসাইটে প্রকল্পের সব তথ্য ও ঠিকাদারের ফোন নম্বরসহ দেওয়া থাকবে। স্থানীয় জনগণ স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী কাজ বুঝে নেবেন। আমরা চাই, সকলের অংশগ্রহণে উন্নয়নকাজ সম্পন্ন হবে। এতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।”
তিনি বলেন, “আমরা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে গিয়ে স্থানীয় সোসাইটি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সহযোগিতা পাচ্ছি। সবার অংশগ্রহণ বাড়াতে আমি বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের নিয়ে গণশুনানি করছি। প্রতি মাসে ফেসবুক লাইভে দেশে-বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সাথে যুক্ত হচ্ছি। ডিএনসিসির সবার ঢাকা অ্যাপ আছে, সেটির পাসওয়ার্ড পর্যন্ত আমাদের দিচ্ছে না। আগে যারা ক্ষমতায় ছিলেন, তারা ৪ কোটি টাকা খরচ করে এই অ্যাপ বানিয়েছে। পাসওয়ার্ড না দিলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।”
ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় হকারদের জন্য হাটা যায় না। মানুষের অবাধ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা যাবে না। ঢাকা শহরে মানুষের চলাচলের অধিকার সবার আগে, সেই অধিকার আমরা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব। মিরপুর-১০ এর প্রধান সড়কের যত হকার ও অটোরিকশা আছে, সেগুলো আমরা বন্ধ করে দেব। যারা এ ধরনের ইনফরমাল পেশায় যুক্ত আছেন, তাদের পুনর্বাসনের জন্যও আমরা প্ল্যাটফর্ম করব। তাদের জন্যও বিকল্প ব্যবস্থা আমরা তৈরি করব। এই শহরটা সবার, সবাই একসাথে বসবাস করব; কিন্তু অন্যদের কষ্ট না দিয়ে, অন্যের অধিকার নষ্ট না করে।
বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন এবং মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
ঢাকা/এএএম/রফিক